জলসংরক্ষণ
জলসংরক্ষণ (Warer Conservation)
জলসংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Water Conservation) :
- (1) খরা বা অনাবৃষ্টির সময় উদ্ভিদ ও প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখা।
- (2) কৃষিকার্য চালানো।
- (3) মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ চালানোর জন্য বিশুদ্ধ জলের সরবরাহ রাখা।
- (4)ভূমিক্ষয় রোধ করা।
- (5) বন্যা রোধ করা।
- (6) জলজ প্রাণীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
- (7) প্রাকৃতিক জলচক্র বজায় রাখা।
- (৪) দূষণের থেকে রক্ষা পাওয়া, প্রভৃতির জন্য সংরক্ষণের প্রয়োজন।
জলসংরক্ষেণের উপায় (Ways of Water Conservation) :
(1) জলাশয় খনন : বড়ো বড়ো জলাশয় খনন করে বৃষ্টির জল ধরে রাখা।
(2) বাঁধ (Dam) নির্মাণ : নদীর জল আটকে বৃহৎ জলাধার বা বাঁধ নির্মাণ করে বর্ষাকালে জল ধরে রাখা এবং গ্রীষ্মকালে নালার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে চাষের সরবরাহ করা।
(3) ক্যাচমেন্ট অঞ্চল (Catchment areas) গঠন : ঢালু জায়গাতে আড়াআড়ি নিকাশীনালি খনন করে বৃষ্টির বা ঝরনার জল দূরবর্তী স্থানে সরবরাহ করা। এরূপ ব্যবস্থাকে ক্যাচমেন্ট অঞ্চল বা ড্রেনেজ বেসিন (Drainage Basin) বলে।
(4) অপব্যবহার রোধ : চাষের জন্য বা দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল ব্যবহার না করা। নলকূপের দ্বারা মাটির ভিতরের জল যথেচ্ছেভাবে না তোলা।
(5) বনাঞ্চল সৃষ্টি : উপযুক্ত বনাঞ্চল সৃষ্টি করে পাহাড়ি অঞ্চলে মাটিতে জল ধরে রাখা এবং বৃষ্টি হতে সহায়তা করে।
(6) মৃত্তিকা কর্ষণ : মাটিকে ভালোভাবে কর্ষণ করে জল ধারণে সহায়তা করা।
(7) আগাছা দমন : আগাছা উৎপাটন করে অতিরিক্ত জলশোষণ বন্ধ করা।
(৪) দূষণমুক্ত রাখা : জল যাতে দূষিত না হতে পারে তার ব্যবস্থা করা।