শ্বসনবস্তু ও শক্তি
শ্বসনবস্তু ও শক্তি ( Respiratory Substrate and Energy)
যেসকল কোশীয় জৈব উপাদান শ্বসনপ্রক্রিয়ায় জারিত জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন তাকে শ্বসনবস্তু বলে।
গ্লুকোজ ও অন্ন্যান্য শর্করাই হল প্রধান শ্বসনবস্তু :
যদিও প্রোটিন, লিপিড, জৈব অ্যাসিড প্রভৃতিও জারিত হয় । এক মোল (গ্রাম – অণু ) গ্লুকোজ ( 180 gm ) সম্পুর্নভাবে জারিত হলে গ্লুকোজ মদ্ধ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি প্রায় ৬৮৬ k-cal তাপশক্তিরূপে নির্গত হয়। এই নির্গত শক্তির কিছুটা ( 7.3 x 38 k-cal ) 38 মোল ATP -এর মদ্ধ্যে সাময়িকভাবে জমা থাকে । পরে এই শক্তির দ্বারাই জীবের সকল জৈবনিক ক্রিয়া চালিত হয় ।
শ্বসনবস্তুর উৎস :
- (i) সবুজ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে শ্বসনবস্তুর মূল উৎস হল সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া।
- (ii) প্রাণীদের ক্ষেত্রে শ্বসনবস্তুর উৎস হল খাদ্য, যা তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ থেকেই পায়।
সবাত শ্বসন, অবাত শ্বসন ও সন্ধানের সাধারণ ধারণা
শ্বসন তিন প্রকারের হয় –
সবাত শ্বসন, অবাত শ্বসন ও সন্ধান ।
আণবিক অক্সিজেনের দ্বারা গ্লুকোজ জারিত হলে তাকে অবাত শ্বসন এবং কোনোপ্রকার অক্সিজেন ছাড়াই অসপ্পূর্ন জারণ হলে তাকে সন্ধান বলে ।