জেনে রাখা ভালো
শ্বসন কেন অপচিতি বিপাক ?
শ্বসন প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্য (গ্লুকোজ) ভেঙে সরল উপাদান (CO2 ও H2O) পরিণত হয় এবং জীবদেহের শুস্ক ওজন কমে যায় বলে শ্বসনকে অপচিতি বিপাক বলে।
শ্বসনে কী পরিমাণ ATP উৎপন্ন হয় ?
এক মোল গ্লুকোজ সবাত শ্বসনের দ্বারা জারিত হলে 38 মোল ATP উৎপন্ন হয়।
গ্লাইকোলাইসিস ও ক্রেবসচক্রে কত অণু ATP উৎপন্ন হয় ?
গ্লাইকোলাইসিস মোট 8 অণু ATP উৎপন্ন হয় (2 অণু সরাসরি এবং 6 অণু ETS* -এর মাধ্যমে)।
ক্রেবসচক্রে মোট 30 অণু ATP উৎপন্ন হয় (2 অণু সরাসরি এবং 28 অণু ETS -এর মাধ্যমে)।
সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষ এবং শ্বসন উভয় প্রক্রিয়া কীভাবে একসাথে চলে ?
(i) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া কেবল উদ্ভিদের সবুজ কোশে ঘটে। অপরপক্ষে শ্বসন উদ্ভিদের সকল সজীব কোশেই ঘটে।
(ii) তাই সবুজ কোশগুলিতে সালোকসংশ্লেষ ও শ্বসন দিনের বেলায় একই সাথে ঘটে।
(iii) সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ এবং O2 -এর কিঞ্চিৎ পরিমাণ ওই কোশের এবং উদ্ভিদের অন্যান্য সজীব কোশের শ্বসনের জন্য কাজে লাগে। (গ্লুকোজ ফ্লোয়েমের মাধ্যমে ও O2 ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পারিবারিক হয়)।
(iv) আবার সবুজ কোশে শ্বসনে উৎপন্ন CO2 ও H2O সালোকসংশ্লেষে কাজে লেগে যায়। এছাড়া সজীব কোশের শ্বসনে উৎপন্ন CO2 -ও সালোকসংশ্লেষে কাজে লাগে । (ব্যাপন প্রক্রিয়ায় CO2 বাহিত)। এইভাবে সবুজ উদ্ভিদে সালোকসনশ্লেষ ও শ্বসন একইসাথে ঘটে।
অতিরিক্ত শ্বাস-অঙ্গের প্রয়োজনীয়তা কী?
আণবিক অক্সিজেনের দ্বারা শ্বসনের সময় (ETS-এ) খাদ্যের জারণে ADP-এর সাথে iP যুক্ত হয়ে ATP তৈরির পদ্ধতিকে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন বলে।
আণবিক অক্সিজেন ছাড়াই শ্বসনের সময় শ্বসনের সময় জারণে ADP -এর সাথে iP যুক্ত হয়ে ATP তৈরির পদ্ধতিকে সাবস্ট্রেট ফসফোরাইলেশন বলে। যেমন– গ্লাইকোলাইসিসে সরাসরি যে ATP তৈরি হয়।
R.Q. কী?
শ্বসনে বর্জিত CO2 ও গৃহীত O2 -এর অনুপাতকে রেসপিরেটরি কোসেন্ট (Respiratory Quotient) বা R.Q. বলে।
নিউমাটোফোর কী ?
সুন্দরী,গরান প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদের মূল মাটি থেকে শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না পাওয়ায় ওই উদ্ভিদের মূলের শাখাপ্রশাখা মাটির উপরে উঠে আসে এবং ছিদ্রযুক্ত হয়, যার দ্বারা বায়ু থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করে, এই মুলগুলিকে শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর (Pnceumatophore) বলে।
শ্বাসক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটবে এরকম কয়েকটি উদাহরণ ?
(i) সজীব কোশের সকল মাইটোকন্দড্রিয়া অপসারিত করলে ।
(ii) দ্বিবীজপত্রী পাতার নিম্নপৃষ্ঠে ও একবীজপত্রী পাতার উভয় পৃষ্ঠে ভেসলিনের প্রলেপ দিলে।
(iii) আরশোলার দেহের দু-পাশে ভেসলিনের প্রলেপ দিলে।
(iv) জিয়োল মাছকে বহুক্ষণ জলের বেতর আটকে রাখলে।
(v) রুইমাছের মুখটির দু-চোয়ালের মধ্যে কাঠি দিয়ে রাখলে।