মাছ (Fish)
(1) মাছের গমনে সহায়ক অঙ্গগুলি হল-পাখনা, মায়োটোম পেশি, পটকা, শ্লেষ্মা প্রভৃতি।
(2) মাছের কশেরুকার দু-পাশে যে পেশি থাকে তা ‘V’ বা ‘W’ আকৃতিতে খন্ডিত। ‘V’-এর দুটি বাহু কশেরুকার সাথে যুক্ত থাকে। একে মায়োটোম (Myotomes) পেশি বলে। এই পেশিগুলির একান্তর (alternate) সংকোচন-প্রসারণের ফলে মাছের দেহ আন্দোলিত হয়। এই আন্দোলন মস্তকে শুরু হয়ে তরঙ্গের আকারে লেজে পৌঁছোলে লেজটিকে পর্যায়ক্রমে ডানদিকে ও বামদিকে ঝাপটা মেরে মাছ কিছুটা বামদিক-ডানদিক হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
(3) পুচ্ছপাখনা মাছের অগ্রগমন ও দিক পরিবর্তনে, অযুগ্ম পাখনাগুলি (পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা) দেহকে সোজা রাখতে, বক্ষপাখনা (যুগ্ম) জলের নিচে যেতে ও দিক পরিবর্তন করতে এবং শ্রোণিপাখনা (যুগ্ম) উপরের দিকে উঠতে ও ভেসে থাকতে সহায়তা করে।
(4) মাছের পটকার ভিতরের বায়ুর পরিমাণ গ্যাস উৎপাদক গ্রন্থি (রেডগ্রন্থি) এবং গ্যাস শোষণক্ষম রক্তজালকের (রেটিয়া মিরাবিলিয়া) দ্বারা কমিয়ে বা বাড়িতে জলের গভীরে যেতে বা উপরে উঠতে সহায়তা করে।
(5) মাছের দেহের আকৃতি মাকুর মতো হওয়ায় এবং শ্লেষ্মার উপস্থিতিতে দেহত্বক পিচ্ছিল হওয়ায় জলের বাধা সহজে অতিক্রম করতে পারে।