খনিজ লবণ (Minerals)
যে সকল অজৈব জীবের বৃদ্ধির জন্য একান্ত প্রয়োজন সেগুলিকে খনিজ লবণ বলে। খনিজ লবণ প্রধান্ত কোশগঠন এবং বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পুষ্টিতে সহায়তা করে। প্রাণীর পুষ্টিতে সহায়ক কয়েকটি খনিজ ল্বণের বর্ণনা ছকের মাধ্যমে দেওয়া হল।
খনিজ লবণ | উৎস | পুষ্টিতে গুরুত্ব | অভাবজনিত লক্ষণ |
---|---|---|---|
লৌহ | সবুজ সবজি, মটর, মসুর ডাল, মাছ, মাংস, ডিম। | (i) হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিন গঠন;(ii) সাইটোক্রোম উৎসেচক গঠন। | (i) রক্তাল্পতা (ii) শ্বসন ব্যহত হয়। |
ক্যালশিয়াম | দানাশস্য, লেবু, গাজর, পনির, দুধ, ডিম, মাখন, ছোটো মাছ। | (i) অস্থ ও দন্ত গঠন; (ii) পেশির সংকোচন ;(iii) রক্তের তঞ্চন | (i) রিকেট ও অস্টিয়োম্যালেসিয়া (ii) টিট্যানি ও দন্তক্ষয়। |
ফসফরাস | সবুজ সবজি, দানাশস্য, সয়াবিন, মটরশুঁটি, পনির, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। | (i) অস্থি, দন্ত ও কোশ গঠন। (ii) পেশি ও রক্ত গঠন (iii) উৎসেচক তৈরি (iv) ATP, DNA ও RNA গঠন | (i) রিকেট, অস্থিক্ষয়, দন্তক্ষয়। (ii) কোশবিভাজন ব্যাহত হয়। |
ম্যাগনেশিয়াম | সবুজ সবজি, সয়াবিন, সামুদ্রিক মাছ, মাংস | (i) পেশিকোশ, অস্থিকোশ ও স্নায়ু কোশ গঠন; (ii) পেশি ও স্নায়ুর কাজ নিয়ন্ত্রণ | (i) অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন ;(ii) স্নায়ুদৌর্বল্য ও টিট্যানি ;(iii) অস্থির অপুষ্টি |
সোডিয়াম | খাদ্যলবণ, মূলজাতীয় সবজি, পনির, দুধ, মাখন | (i) পেশি সংকোচন ;(ii) কোশ ও কলার অভিস্রবণ চাপ এবং অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা। ;(iii) বৃক্কের কাজ। | (i) স্নায়বিক বিশৃঙ্খলা ও পেশির অসাড়তা ;(ii) বৃক্কের এবং রক্তের কাজ ব্যাহত হয়। |
পটাশিয়াম | সবুজ সবজি, আনারস, আখ, গাজর, মাংস, ডিম, মাছ। | (i) রক্তরস গঠন ও CO2 পরিবহন। ;(ii) পেশি সংকোচন রোধ। ;(iii) উৎসেচকের সক্রিয়তা | (i) অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন ;(ii) পেশির পক্ষাঘাত ;(iii) বন্ধ্যাত্ব |
আয়োডিন | সামুদ্রিক উদ্ভিদ, আয়োডাইড লবণ, সামুদ্রিক মাছ। | (i) থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন থাইরক্সিন গঠন। | (i) গলগন্ড রোগ ;(ii) কোলেস্টেরল বাড়ে |
সালফার | সবুজ সবজি, বাঁধাকপি, বাদাম, দুধ, মাছ, ডিম | (i) প্রোটিন ও উৎসেচক গঠন ;(ii) পিত্তরস ও ইনসুলিন গঠন | (i) অসম্পূর্ণ বৃদ্ধি ;(ii) শর্করা বিপাক ব্যাহত |
ক্লোরিন | খাদ্যলবণ, সবুজ সবজি, সামুদ্রিক মাছ। | (i) অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা ;(ii) জলের সমতা রক্ষা | (i) বৃক্কের কাজে ঘাটতি |