বনসংরক্ষণ
বনসংরক্ষণ (Forest Conservation)
বনসংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Forest Conservation) :
- (1) বনভূমির বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যশৃঙ্খলগুলিকে রক্ষা করা।
- (2) বন্য পশুপাখিগুলিকে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা।
- (3) বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
- (4) খরার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
- (5) বনজসম্পদ (মধু, রজন, কাঠ, ঔষধ প্রভৃতি) আহরণ করা।
- (6) বায়ুদূষণ রোধ করা।
- (7) জৈব ভূরাসায়নিক চক্রের মাধ্যমে বায়ুতে বিভিন্ন মৌলের সমতা রক্ষা করা।
- (৪) ভূমিক্ষয় রোধ করা।
- (9) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য বনসংরক্ষণ প্রয়োজন।
বনসংরক্ষণের উপায় (Ways of Forest Conservation) :
(1) বনসৃজন : দেশের 33% জমিতে বনভূমি সৃষ্টির লক্ষ্যে অনাবৃত স্থানে, অগ্নিদগ্ধ স্থানে পুরোনো গাছ কাটার স্থানে, এবং পতিত অনুর্বর জমিতে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা।
(2) গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণ : যথেচ্ছভাবে বনভূমি কেটে শহরাঞ্চল বা কলকারখানা গড়ে তোলা বন্ধ করা। অপরিণত গাছ কাটা বন্ধ করা।
(3) আগাছা দমন : অনভিপ্রেত উদ্ভিদ বা আগাছাগুলিকে তুলে ফেলা।
(4) কীটনাশক ও সার প্রয়োগ : উপযুক্ত কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করা।
(5) সেচ : কমবৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে বা গ্রীষ্মের সময় সেচের ব্যবস্থা করা।
(6) কাঠের ব্যবহার কমানো : কাঠের বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কাঠের ব্যবহার পরিমিত করা।
(7) চোরাচালান বন্ধ করা : অমূল্য কাঠ (চন্দন প্রভৃতি) চুরি করে বিদেশে চালান দেওয়া বন্ধ করা।
(৪) বিজ্ঞানভিত্তিক বনভূমি গঠন : উপযুক্ত স্থানে মাটি, জল, সার, ঔষধ, বহিঃভোজী ছত্রাক প্রভৃতির সুষ্ঠু ব্যবহারে অল্পসময়ে মূল্যবান বৃক্ষ সৃষ্টি করা।
(9) গণমাধ্যম : বনসংরক্ষণের জন্য গণমাধ্যমে বনভূমির গুরুত্ব প্রচার করা।
(10) আইন প্রণয়ন : কেন্দ্র ও রাজ্য কর্তৃক আইন প্রণয়ন করা এবং জাতীয় বনভূমি ও সংরক্ষিত বন স্থাপন করা।