শ্বসনের স্থান ও সময়
শ্বসনের স্থান ও সময় ( Site and Time of Respiration)
শ্বসন সকল জীবদেহের প্রতিটি সজীব কোশের মধ্যে ঘটে । শ্বসনের প্রথম পর্যায় ( গ্লাইকোলাইসিস) কোশের সাইটোপ্লাজমে এবং শেষ পর্যায় ( ক্রেবস চক্র ও প্রান্তীয় শ্বসন ) মাইটোকোন্ড্রিয়ার মধ্যে ঘটে। শ্বসন দিবারাত্র সকল সময়ই ঘটে । জীবদেহের কাজকর্ম চালানোর জন্য সবসময়ই শক্তির প্রয়োজন হয় ; তাই শ্বসন সর্বদা ঘটে । মাইটোকন্ড্রিয়া নামক কোশ-অঙ্গানুর মধ্যে শ্বসনের শেষ পর্যায়ে সকল বিক্রিয়াগুলি ঘটার ফলে ATP উৎপন্ন হয় এবং সাময়িকভাবে এর মধ্যে শক্তি জমা থাকে ; তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোশের শক্তিঘর ( Power House ) বলে ।
শ্বসন ও দহনের পার্থক্য ( Differencefs between Respiration and Combustion)
নং | শ্বসন | দহন |
---|---|---|
১ | এই জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াতে উৎসেচক অপরিহার্য । | এই অজৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎসেচক লাগে না । |
২ | গ্লুকোজ ইত্যাদি শ্বসনবস্তুর জারণে ধীরে ধীরে শক্তির মুক্তি ঘটে । | যে-কোনো দাহ্যবস্তু ( জৈব বা অজৈব ) দগ্ধ হয়ে দ্রুত শক্তির মুক্তি ঘটে । |
৩ | কেবল তাপ উৎপন্ন হয় ; যার কিছুটা ATP-এর মধ্যে জমা থাকে । | বেশি পরিমাণে তাপ এবং আলো উৎপন্ন হয় যার সবটুকুই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে । |
৪ | এই নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াটি অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে ঘটে । | এই অনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াটি অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ঘটে। ( ব্যতিক্রম — উত্তপ্ত সোডিয়াম ক্লোরিনের স্পর্শে জ্বলে ওঠে ) |
শ্বসন ও শ্বাসকার্যের পার্থক্য ( Differences between Respiration and Breathing )
নং | শ্বসন ( অন্তঃশ্বসন ) | শ্বাসকার্য ( বহিঃশ্বসন ) |
---|---|---|
১ | কোশের ভেতর এই অপচিতিমূলক জৈব রাসায়নিক জারণ ঘটে । | শ্বাসঅঙ্গের ভেতর গ্যাসীয় বিনিময় পদ্ধতিতে এই ভৌত প্রক্রিয়াটি ঘটে । |
২ | এই প্রক্রিয়ায় উৎসেচকের দ্বারা খাদ্য ভেঙে শক্তি ( ATP ) উৎপন্ন হয় । | এই প্রক্রিয়ায় উৎসেচক প্রয়োজন নয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয়ু না । |
৩ | গ্লাইকোলাইসিস, ক্রেবসচক্র ও প্রান্তীয় শ্বসন এই প্রক্রিয়ায় তিনটি পর্যায় । | প্রশ্বাস ও নিশ্বাস এই প্রক্রিয়ায় দুটি পর্যায়। |
৪ | উৎপন্ন শক্তির দ্বারা দেহের কাজকর্ম চলে । | গ্যাসের আদানপ্রদানের ফলে শ্বসনে প্রয়োজনীয় O2 -এর জোগান পায় । |