কৃষিকার্যে ও উদ্যানবিদ্যায় ব্যাবহারিক প্রয়োগ
কৃষিকার্যে ও উদ্যানবিদ্যায় হরমোনের ব্যাবহারিক প্রয়োগ :
অক্সিজেন প্রয়োগ :
1. ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি : গম, তুলো, আনারস, ধান, পাট প্রভৃতিতে NAA ও IAA প্রয়োগ করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
2 বীজহীন ফলগঠন : IAA, IBA, NAA , বেগুন, কলা, পেয়ারা, টমাটো প্রভৃতি উদ্ভিদে বীজহীন ফল বা সবজি উৎপাদন সম্ভব ।
3 আগাছা দমন : বিনস্ট করা গাছ প্রয়োজনে ছাঁটার পর IAA প্রয়োগে দ্রুত কোশবিভাজন ঘটে ক্ষতস্থান পূরন হয়।
4. ক্ষতিপূরন : প্রাকৃতির কারণে ক্ষতসৃতি হলে অথবা চা, পাতাবাহার প্রভৃতি গাছ প্রয়োজনে ছাঁটার পর IAA প্রয়োগে দ্রুত কোশবিভাজন ঘটে ক্ষতস্থান পূরণ হয়।
5. কলম প্রস্তুতি : জবা, গোলাপ, ডালিয়া, লেবু, পেয়ারা প্রভৃতির শাখাকলম বা গুটি কলম প্রস্তুতিতে IBA ও NAA প্রয়োগ করা হয়।
6. অকালপতন রোধ : 1AA, NAA প্রভৃতি নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করে পাতা, ফুল ফলের অকাল পতন রোধ করা হয়।
7. ফুল ও ফলের সংখ্যা কমানো : নির্দিষ্ট মাত্রায় 2, 4-D ও NAA প্রয়োগ করে ফুল বা ফলের সংখ্যা কমিয়ে বড়ো ফুল বা ফল গঠন সম্ভব হয় ।
জিব্বারেলিন প্রয়োগ :
1 বীজহীন ফল গঠন : অক্সিনের ন্যায় জিব্বারেলিন প্রয়োগ করেও বীজহীন ফল গঠন করা যায়।
2. অঙ্কুরোদ্গম : পাট, লেটুস প্রভৃতি উদ্ভিদের বীজে প্রয়োগ করে দ্রুত অঙ্কুরোদ্গম ঘটানো যায়।
3. ফুলফোটানো : দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদে প্রথম বছরে ফুল ফোটাতে এটি প্রয়োগ করা হয়।
4. ফলধারণ : আঙুর, নাসপাতি প্রভৃতি ফল ধারণের জন্য এটি প্রয়োগ করা হয়।
5. বংশগত খর্বতা দূর করা : খর্ব মটর ও ভুট্টা গাছে জিব্বারেলিন প্রয়োগ করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটানো যায়।
সাইটোকাইনিনের প্রয়োগ :
1. জরা রোধ পাতাবাহার গাছ বা চারাগাছের পাতাকে বহুদিন সতেজ রাখার জন্য কাইনিন প্রয়োগ করা হয়।
2. কলম প্রস্তুতি : কলম প্রস্তুতিতে অক্সিনের সাথে কাইনিনও প্রয়োগ করা হয়।
3. ক্ষতপূরণ : ক্ষতপূরণেও অক্সিনের সাথে কাইনিনও প্রয়োগ করা হয় ।
অ্যাবিসিসিক অ্যাসিডের প্রয়োগ :
মুকুলোদ্গম বিলম্বিত করা : আলু, পেঁয়াজ প্রভৃতি সংরক্ষণের সময় মুকুলোদ্গম বিলম্বিত করতে এটি প্রয়োগ করা হয়।
ইথিলিনের প্রয়োগ :
ফল পাকানো : কলা, আম প্রভৃতি ফল পাকাতে এটি প্রয়োগ করা হয়।
নিষেক ছাড়া ফল গঠনের পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি (Parthenocarpy) বলে।