স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন
কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালনকে স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন বলে। এটি আবার দু-প্রকারের হয়। যথা-প্রকরণ চলন ও বৃদ্ধিজ চলন।
প্রকরণ চলন (Movement of Variation):
উদ্ভিদের কোনো পরিণত অঙ্গে রসস্ফীতির পরিবর্তনে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বলে। উদাহরণ-বনচন্ডাল উদ্ভিদের ত্রিফলক যৌগপত্রের পাশের ফলকদুটির ওঠানামা। সকল স্বতঃস্ফূর্ত চলনে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক ক্রিয়া করে।
বৃদ্ধিজ চলন (Movement of growth):
উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের অসমান বৃদ্ধির ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে বক্রচলন ঘটে, তাকে বৃদ্ধিজ চলন বলে।
এটি কয়েক প্রকারে হয়। যথা-
1) বলন (Nutation): কান্ডশীর্ষে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি কম বেশি হওয়ায় কান্ড আঁকাবাঁকা পথে বাড়ে। উদাঃ-বল্লীজাতীয় (শিম) কান্ড।
2) পরিবলন (Circumnutation): আকর্ষ প্রভৃতি উদ্ভিদ অঙ্গের ক্রমাগত একদিকে বৃদ্ধির ফলে স্প্রিং-এর মতো হয়ে যায়। উদাঃ-কুমড়োর আকর্ষ।
3) হাইপোন্যাস্টি (hyponasty): পাতা বা ফুলের পাপড়ি উৎপন্ন হওয়ায় সময় নিম্নপৃষ্ঠের বৃদ্ধি বেশি হয়ে গুটিয়ে থাকে। উদাঃ- ফার্ন, কলা প্রভৃতি পাতার মুকুল সৃষ্টির প্রথম অবস্থায়।
4) এপিন্যাস্টি (Epinasty): গুটিয়ে থাকা পাতা বা ফুলের পাপড়ির ঊর্ধ্বপৃষ্ঠের বৃদ্ধি বেশি হয়ে খুলে যায়। উদাঃ-ফার্ন, কলা প্রভৃতি পাতার মুকুল পরিণত হওয়ার সময়।