খাদ্যশৃঙ্খল
খাদ্যশৃঙ্খল (Food Chain)
সংজ্ঞা (Definition) :
যে পদ্ধতিতে একটি বসতি স্থানের (পুকুর, হ্রদ, নদী, সমুদ্র, ঘাসজমি প্রভৃতি) খাদ্যশক্তি উৎপাদক থেকে ক্রমপর্যায়ে খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের ভিত্তিতে বিভিন্ন খাদকের মধ্যে প্রবাহিত হয়, তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
প্রকারভেদ (Types) :
খাদ্যশৃঙ্খল দু-প্রকারের হয়, যথা—
1. গ্রেজিং বা চারণভূমির খাদ্যশৃঙ্খল (Grazing food chain) :
যে খাদ্য শৃঙ্খল শুরু হয় স্বভোজী সবুজ উদ্ভিদ থেকে এবং ক্রমপর্যায়ে শাকাশীর মাধ্যমে মাংসাশীতে শেষ হয়, তাকে গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল বলে। উদাহরণ—
তৃণ —→ খরগোশ → শেয়াল → বাঘ
উৎপাদক প্রাথমিক খাদক (শাকাশী) গৌণ খাদক (মাংসাশী) প্রগৌণ খাদক (মাংসাশী)
2. ডেট্রিটাস বা কর্কর খাদ্যশৃঙ্খল (Detritus food chain) :
যে খাদ্যশৃঙ্খল শুরু হয় পচনশীল জৈব পদার্থ থেকে এবং ক্রমপর্যায়ে ডেট্রিভোরাস প্রাণীর (যে প্রাণী পচনশীল জৈব বস্তু খায়) মাধ্যমে মাংসাশীতে শেষ হয়, তাকে ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল বলে। উদাহরণ—
পচনশীল জৈববস্তু → পতঙ্গের লার্ভা বা → ছোটো মাছ → বড়ো মাছ
(ঝরা পাতা, ক্ষয়িষ্ণু মূল) নিমাটোড (কার্নিভোরাস) (ডেট্রিভোরাস)
বহু বিজ্ঞানী খাদ্যশৃঙ্খলকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। যথা—
- (i) শিকারজীবীয় খাদ্যশৃঙ্খল
- (ii) পরজীবীয় খাদ্যশৃঙ্খল
- (iii) মৃতজীবীয় খাদ্য শৃঙ্খল।