জেনে রাখা ভালো
উদ্ভিদের প্রাণীর রেচনের পার্থক্যঃ-
নং | উদ্ভিদের রেচন | প্রাণীর রেচন |
---|---|---|
১ | নির্দিষ্ট রেচন-অঙ্গ থাকেনা। রেচন পদার্থগুলিকে দেহের নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখে অথবা পত্রমোচন ইত্যাদির দ্বারা ত্যাগ করে। | নির্দিষ্ট রেচন-অঙ্গ আছে এবং ঐ অঙ্গের মাধ্যমে রেচনপদার্থগুলিকে দেহ থেকে নির্গত করে। |
২ | নাইট্রোজেন রেচনপদার্থ কম এবং রেচন পদার্থ জমা থাকলে বেশি ক্ষতি হয় না এবং কিছু রেচনপদার্থ উপচিতি বিপাকে কাজে লেগে যায়। | নাইট্রোজেযুক্ত রেচনপদার্থ বেশি রেচনপদার্থ জমা থাকলে বেশি ক্ষতি হয় এবং ওগুলি কোনো উপচিতি বিপাকে কাজে লাগে না। |
ম্যালপিজিয়ান কণিকা ও ম্যালপিজিয়ান নালিকার পার্থক্যঃ
নং | ম্যালপিজিয়ান কণিকা | ম্যালপিজিয়ান নালিকা |
---|---|---|
১ | এটি মেরুদন্ডী প্রাণীদের রেচন-অঙ্গ বৃক্কের নেফ্রনের একটি অংশ। | এটি পতঙ্গশ্রেণীভুক্ত প্রাণীদের রেচন অঙ্গ। |
২ | এটি কণার মতো এবং বৃক্কের কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত। | এটি নলাকার এবং পৌষ্টিকনালির মধ্য ও পশ্চাদ্খন্ডের সংযোগস্থলে অবস্থিত। |
*) ডাই-ইউরেটিক্স কী-
যেসকল পদার্থ মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তাদের ডাই-ইউরেটিক্স বলে। যেমন-অ্যালকোহল, চা, স্যালাইন, কফি প্রভৃতি।
*) অতীন্দ্রিয় বাষ্পীভবন কী?-
দেহত্বকের উপরিতল থেকে এবং শ্বাস-অঙ্গের মাধ্যমে অবিরাম কিছু পরিমাণ জল বাষ্পীভূত হচ্ছে যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়; একেই অতীন্দ্রিয় বলে।
*) ডায়াবিটিস ইনসিপিডাস কী?-
ADH (অ্যান্টি ডাই-ইউরেটিক হরমোন) কম ক্ষরণের ফলে মূত্রে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে যে বহুমূত্র হয় তাকে ডায়াবিটিস ইনসিপিডাস বা স্বাদহীন বহুমূত্র বলে।
*) মূত্র হলুদ হয় কেন?-
মূত্রে ইউরোক্রোম নামক রঙ্গক থাকায় মূত্র হলুদ হয়।
*) মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান কী কী?-
প্রতি লিটার মূত্রে জলের সাথে 53 গ্রাম কঠিন পদার্থ থাকে। এর মধ্যে অজৈব পদার্থ 23 গ্রাম ও অজৈব পদার্থ 30 গ্রাম থাকে। অজৈব পদার্থগুলি হল-সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট প্রভৃতি। জৈব পদার্থগুলি হল ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন প্রভৃতি।
*) মূত্রের বিভিন্ন অস্বাভাবিক উপাদানের উপস্থিতিতে কী রোগ হয়?-
মূত্রে গ্লুকোজ থাকলে গ্লুকোসুরিয়া, প্রোটিন থাকলে প্রোটিনিউরিয়া, কিটোনবডি বেশি থাকলে কিটোনুরিয়া, রক্ত থাকলে হিমাচুরিয়া বলে।
*) অসিদ্ধ ওল বা কচু খেলে গলা চুলকায় কেন এবং কী খেলে চুলকানি বন্ধ হয়?-
অসিদ্ধ ওল বা কচুতে অবস্থিত ক্যালশিয়াম অক্সালেটের সূচ্যাকার কেলাস গলার নিউকাস পর্দায় প্রবেশ করলে গলা চুলকায়। তেঁতুল প্রভৃতি জৈব অ্যাসিডযুক্ত খাদ্য খেলে ওই কেলাসগুলি দ্রবীভূত হয় ফলে চুলকানি বন্ধ হয়।