ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)
ব্যাকটেরিয়া নামকরণ করেন এরেনবার্গ (Ehrenberg, 1828)
সংজ্ঞা (Definition) :
পেপটাইডোগ্লাইকান নির্মিত কোশপ্রাচীরযুক্ত স্বভোজী বা পরভোজী, সন্ধান বা সবাত বা অবাত শ্বসনকারী, সর্বত্র বিরাজমান এককোশী আণুবীক্ষনণিক প্রোক্যারিয়োটিক জীবকে ব্যাকটেরিয়া বলে ।
বৈশিষ্ট্য (Characteristics) :
- (1) ব্যাকটেরিয়ার দেহ গোলাকার বা কক্কাস (যেমন—মনোকক্কাস, ডিপ্লোকক্কাই, স্ট্রেপটোকক্কাই প্রভৃতি), দণ্ডাকার বা ব্যাসিলাস (যেমন—মনোব্যাসিলাস, ডিপ্লোব্যাসিলি, স্ট্রেপটোব্যাসিলি প্রভৃতি), সর্পিলাকার বা স্পাইরিলাম এবং কমাকৃতি বা কমা—এই চার প্রকারের হয়।
- (2) ব্যাকটেরিয়ার কোশপ্রাচীর থাকে এবং এটি পেপটাইডোগ্লাইকান দ্বারা গঠিত। কিছু ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর গ্রামরঞ্জকে রঞ্জিত হয় (গ্রাম পজিটিভ) এবং কিছুর হয় না (গ্রাম নেগেটিভ)।
- (3) পর্দাঘেরা কোনো কোশ অঙ্গাণু থাকে না।
- (4) নিউক্লিয়াসের পর্দা এবং নিউক্লিয়োলাস থাকে না। কেবল চক্রবৎ DNA থাকে। একে আদি নিউক্লিয়াস বা নিউক্লিয়োয়েড বলে।
- (5) রাইবোজোম থাকে এবং এটি 705 প্রকৃতির।
- (6) হয় ফ্লাজেলা থাকে না (অ্যাট্রিকাস) নতুবা একটি (মনোট্রিকাস) বা একগুচ্ছ (লোফোটিকাস) বা দু-গুচ্ছ (অ্যাম্ফিটিকাস) বা সারা গায়ে (পেরিট্রিকাস) থাকে।
- (7) এরা মৃতজীবী, পরজীবী, মিথোজীবী অথবা স্বভোজী হয়।
- (৪) সন্ধান বা অবাত বা সবাত প্রক্রিয়ায় শ্বসন হয়।
- (9) অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজন হয়।
- (10) মেসোজোম নামে অঙ্গাণু (কোশপর্দার ভাঁজ) থাকে যা DNA তৈরিতে সহায়তা করে।
- (11) নিউক্লিয়োয়েড DNA ছাড়া সাইটোপ্লাজমে আরও DNA থাকে, যাকে প্লাজমিড বলে।
- (12) দ্বিবিভাজন, কনিডিয়া ও এন্ডোস্পোর প্রভৃতি উৎপাদন এবং সংযুক্তির মাধ্যমে জনন ঘটে।