পশ্চিম বর্ধমান
- আয়তন- ১,৬০৩,১৭ বর্গকিমি।
- জনসংখ্যা- ২৮,৮২,০৩১।
- জনসংখ্যার ঘনত্ব- ১,৮০০ (প্রতি বর্গ কিমিতে)।
- সদর দপ্তর- আসানসোল।
- থানা- ১৬।
- শহরাঞ্চল- ৬৬।
একদিকে রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চল ও অন্যদিকে বার্ণপুর-দুর্গাপুরে লৌহ ইস্পাত শিল্প এই অঞ্চলে শিল্প পরিবেশ গড়ে তুলেছিল।
অর্থনীতি-
১৭৭৪ সালে ভারতে প্রথম কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া যায় রানিগঞ্জে। ভারতের প্রায় ৩০ শতাংশ কয়লা একাহ্নে সঞ্চিত আছে।
১৯৭৫ সালে কয়লাখনিগুলিকে জাতীয়করণ করে ‘কোল ইন্ডিয়া’র অধীনে আনা হয়।
চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা এবং কল্যাণপুরে বাইসাইকেল তৈরির কারখানা আছে। দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই অঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প গড়ে ওঠে। দুর্গাপুরকে ভারতের ‘রূঢ়’ বলা হত।
জেলাটির কৃষিতে উন্নত। বর্ধমান কৃষি ও শিল্প, উভয়েই সমৃদ্ধ। জেলার ৫৪ শতাংশ মানুষ কৃষিতে নিযুক্ত, মোট জমির প্রায় ৮৬ শতাংশ জমি ধান চাষে ব্যবহার করা হয়। শালি (নিচু জমি, উর্বর) জমিতে আমন ধানের চাষ হয় সুনা (অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি) আউশ ধানের উপযুক্ত। দুর্গাপুরের ডিভিসি ব্যারেজ থেকে সেচের জল পাওয়া যায়। এই জেলাকে ‘পশ্চিমবঙ্গের শস্যাগার’ বলা হয়।