ভারতীয় অঙ্গরাজ্য
ভারতীয় অঙ্গরাজ্য
অন্ধ্রপ্রদেশ
- রাজধানী- হায়দ্রাবাদ
- আয়তন- 1,60,205 (ভারতে অষ্টম)
- জনসংখ্যা- 49,386,799 (ভারতে দশম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 10.98%
- বৃদ্ধির হার- 993
- সাক্ষরতার হার- 67.02%
- জেলা- 13
- ভাষা- তেলেগু, উর্দু
- প্রধান জীবিকা- কৃষি (ধান)
- গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প- নাগার্জুন সাগর, তুঙ্গভদ্রা
- *. অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর সীমায় মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং ওড়িশা, পূর্বে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমে কর্ণাটক অবস্থিত।
- *. গুজরাটের পরে অন্ধ্রপ্রদেশের ৯৭৪ কিমি উপকূলরেখা হল দ্বিতীয় দীর্ঘতম। পুদুচেরির একটি জেলা ৩০ বর্গকিমি এলাকা সমৃদ্ধ রাজ্যের উত্তরপূর্বে গোদাবরী বদ্বীপ অবস্থিত।
- *. রাজ্য পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এই রাজ্যটি ১ নভেম্বর ১৯৫৬ সালে সৃষ্টি হয়েছিল।
- *. তেলেঙ্গানা অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পৃথক হয় ২ জুন, ২০১৪ সালে। ১০ বছরের জন্য হায়দ্রাবাদ দুটি রাজ্যেরই রাজধানী থাকবে।
- *. বিশাখাপত্তনম এই রাজ্যের প্রধান বন্দর।
অরুণাচল প্রদেশ
- রাজধানী- ইটানগর
- আয়তন- 83,743 (ভারতের পঞ্চদশ তম)
- জনসংখ্যা- 1383727(ভারতে সাতাশতম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 938
- বৃদ্ধির হার- 26.03%
- সাক্ষরতার হার- 65.38%
- জেলা- 21
- ভাষা- ইংরেজি ভাষা
- প্রধান জীবিকা- কৃষি (ঝুম চাষ)
- *. অরুনাচল প্রদেশের সীমানার দক্ষিণে অসম ও নাগাল্যান্ড, পশ্চিমে আন্তর্জাতিক সীমানায় ভুটান, পূর্বে মায়ানমার এবং উত্তরে চিন।
- *. অরুণাচল প্রদেশের অর্থ হল পর্বতের উষা কাল। এটাকে উদীয়মান সূর্যের ভূমিও বলা হয় কারণ এটা ভারতের একেবারে পূর্বে অবস্থিত।
- *. অরুণাচল প্রদেশের উত্তর সীমানা ম্যাকমোহন লাইন মেনে চলে যে সীমানা সিমলা চুক্তি অনুযায়ী। এটাতে ১৯১৪ সালে সই করেছিল যুক্তরাজ্য ও তিব্বত, কিন্তু চিন সই করেনি (তখন তিব্বত চিনের নিয়ন্ত্রণে ছিল না)
- *. অরুণাচল প্রদেশের বেশির ভাগটাই হিমালয় দ্বারা ঘেরা। যেখানে লোহিত, চাংলাং, তিরাপ, পাটকই পাহাড় দ্বারা ঘেরা। যোগ, কংসাং, প্রধান গরিচেন শৃঙ্গ, পূর্ব গরিচেন শৃঙ্গ হল এই অঞ্চলের কয়েকটি উচ্চতর শৃঙ্গ।
- *. এটি ভারতের সবচেয়ে পূর্বের রাজ্য।
- *. রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় হল এই রাজ্যের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়।
অসম
- রাজধানী- দিসপুর
- আয়তন- 78,438 বর্গকিলোমিটার (ভারতের সপ্তদশতম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 31,205,576
- লিঙ্গ অনুপাত- 958
- বৃদ্ধির হার- 17.07%
- সাক্ষরতার হার- 72.19%
- জেলা- 33
- ভাষা- অসমিয়া
- প্রধান জীবিকা- কৃষিকাজ (ধান, পাট, চা ইত্যাদি)
- *. অসম সাতটি রাজ্য দ্বারা ঘেরাঃ অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়। এই রাজ্যগুলি ভারতেরই অঙ্গরাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর অর্থাৎ ‘চিকনস নেক’ দ্বারা যুক্ত।
- *. অসম পৃথিবীর মোট চা উৎপাদনের 15% উৎপাদন করে।
বিহার
- রাজধানী- পাটনা
- আয়তন- 94163 কিলোমিটার (ত্রয়োদশতম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 104,099,452 (তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 918
- বৃদ্ধির হার- 25.42%
- সাক্ষরতার হার- 61.80%
- জেলা- 38
- ভাষা- হিন্দি
- প্রধান শস্য- গম, ভুট্টা, আখ, আলু
- প্রধান পর্যটন কেন্দ্র- বুদ্ধ গয়া, বৈশালী, নালন্দা, পাওয়ামুখী, সাসারাম, বিক্রমশীল বিহার ইত্যাদি।
- *. প্রায় 85% মানুষ গ্রামে বাস করে। জনসংখ্যার 58%-এর বয়স 25 এর নীচে যেটা ভারতের সর্বোচ্চ।
- *. বিহার থেকে ঝাড়খন্ড বিভক্ত হওয়ার পর বিহার একটি খনিজ বিহীন রাজ্য হয়ে পড়েছে যেহেতু খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলি ঝাড়খন্ড সীমানায় চলে গেছে।
ছত্তিশগড়
- রাজধানী- রাইপুর
- আয়তন- 1,35192 বর্গকিলোমিটার
- জনসংখ্যা- 25,545,198 জন (১৭ তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 991
- বৃদ্ধির হার- 22.61%
- সাক্ষরতার হার- 70.28%
- জেলা- 27
- ভাষা- হিন্দি
- *. ২০০০ সালে ২৬তম রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে।
- *. জনসংখ্যার ৮০%-এর বেশি কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই রাজ্য খনিজ সমৃদ্ধশালী।
গোয়া
- রাজধানী- পানাজি
- আয়তন- 3,702 বর্গকিলোমিটার (ভারতের আয়তনে ২৯তম)
- জনসংখ্যা- 1,458,545 (জনসংখ্যায় ভারতের ২৬তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 973
- বৃদ্ধির হার- 8.23%
- সাক্ষরতার হার- 88.70%
- জেলা- 2
- ভাষা- কোঙ্কনি ও মারাঠি
- *. এটি আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম এবং জনসংখ্যায় চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাজ্য।
- *. কোঙ্কন অঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যের উত্তরে মহারাষ্ট্র, পূর্ব-দক্ষিণে কর্ণাটক এবং পশ্চিমে আরব সাগর, গোয়া হল পোর্তুগিজদের পূর্বের অধিকৃত অঞ্চল। পোর্তুগিজরা ১৯৬১ সালে ভারত ছেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ বছর পর্যন্ত তাদের সাগরপারের অধিকৃত অঞ্চল ছিল। ভাস্কো-দা-গামা হল গোয়ার বৃহত্তম শহর। ঐতিহাসিক শহর মারগাঁও এখন পোর্তুগিজদের সাংস্কৃতিক নিদর্শন। যারা এটা পর্যটকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল, মার্মাগাঁও হল গোয়ার প্রধান বন্দর।
- *. আকরিক লোহা ও ম্যাঙ্গানিজ এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
গুজরাট
- রাজধানী- গান্ধীনগর
- আয়তন- 1,96,244 বর্গকিমি (ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 60,439,692 (ভারতে নবম বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 919
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- 19.28%
- সাক্ষরতার হার- 78.03%
- জেলা- 33
- ভাষা- গুজরাতি
- *. এর ১৬০০ কিমি দীর্ঘ উপকূল ভারতে দীর্ঘতম সেন্টার যেটার বেশির ভাগটাই কাথিয়াবাড়ের মধ্যে। এর উত্তরে রাজস্থান, দক্ষিণে মহারাষ্ট্র, পূর্বে মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমে আরবসাগর ও পাকিস্থানের সিন্ধ প্রদেশ। লোথাল ও ঢোলাভীরা সিন্ধু সভ্যতার মতো প্রাচীন শহরগুলি এই রাজ্যের প্রধান দর্শনীয় স্থান। লোথাল হল পৃথিবীর প্রথম বন্দরগুলির একটি। মোর্য ও গুপ্তযুগে গুজরাটের উপকূল নগরী ভারচু ও খাম্বাত বন্দর বিদ্যুতকেন্দ্র হিসাবে কাজ করত, গুজরাট দেশের প্রধান শিল্প সমৃদ্ধ রাজ্য।
- *. গুজরাটে প্রধানত বাদাম ও তুলা উৎপন্ন হয়।
- *. কচ্ছ উপসাগরের তীরে অবস্থিত কান্ডলা গুজরাটের একমাত্র বন্দর।
হরিয়ানা
- রাজধানী- চণ্ডিগড়
- আয়তন- 44,212 বর্গকিমি (ভারতের একুশতম বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 25,351,462 (ভারতের সতেরো বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 879
- বৃদ্ধির হার- 19.19%
- সাক্ষরতার হার- 75.55%
- জেলা- 22
- ভাষা- হিন্দি
- *. হরিয়ানা দেশের মোট যাত্রীবাহী গাড়ির ৪/৫ অংশ, মোটর সাইকেল এবং ট্রাক্টর-এর ২/৩ অংশ, সাইকেল ও স্যানিটারি ওয়ারের ১/৪ অংশ প্রস্তুত করে।
- *. হস্তচালিত তাঁতের জিনিস তৈরির জন্য পানিপথকে “তাঁতির শহর” বলে।
হিমাচল প্রদেশ
- রাজধানী- সিমলা
- আয়তন- 55,673 বর্গকিলোমিটার (১৮তম বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 6,864,602 (২১তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 972
- বৃদ্ধির হার- 12.94%
- সাক্ষরতার হার- 82.80%
- জেলা- 12
- ভাষা- হিন্দি ও পাহাড়ি
- *. এখানকার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর এবং বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকার্যের সঙ্গে যুক্ত।
রাজ্যটি পর্যটকদের স্বর্গ যেহেতু হিমাচলপ্রদেশ অনেক বিখ্যাত শৈলশহরের মধ্যে অন্যতম।
- *. মধুচাষ বা মৌচাক ও অন্যান্য অর্থকরী ফসলের উৎপাদনের দারুণ সুযোগ এখানে। বর্তমানে আপেল এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
ঝাড়খন্ড
- রাজধানী- রাঁচি
- আয়তন- 79,716 বর্গকিলোমিটার (১৬তম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 32,988,134 (চতুর্দশ তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 948
- বৃদ্ধির হার- 22.42%
- সাক্ষরতার হার- 66.41%
- জেলা- 24
- ভাষা- হিন্দি
- *. ঝাড়খন্ডে দেশের মোট কয়লার 37.5%, 40% তামা, 22% আকরিক লোহা, 90% অভ্রের এবং বিশাল পরিমাণের বক্সাইট কোয়ার্টজ ও সেরামিক সঞ্চিত আছে। এই কারণে ঝাড়খন্ডকে ভারতের খনিজ ভান্ডার বলা হয়।
কর্ণাটক
- রাজধানী- বেঙ্গালুরু
- আয়তন- 1,91,791 বর্গকিলোমিটার (ভারতের সপ্তম বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 61,095,297 (জনসংখ্যায় ভারতের অষ্টম বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 973
- বৃদ্ধির হার- 15.60%
- সাক্ষরতার হার- 75.35%
- জেলা- 30
- ভাষা- কন্নড়
- *. এখানে কৃষি ও তৎসম্পর্কিত কার্যাবলি গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজ্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ও কাঁচা পশম উৎপাদনে প্রথম
- *. চন্দন সাবান এবং চন্দন কাঠের তেল-এর জন্য কর্ণাটক বিখ্যাত। এই রাজ্যের বেঙ্গালুরু হল সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আই.টি কেন্দ্র স্থল।
- *. এই রাজ্যের নিউ ম্যাঙ্গালোর হল প্রধান বন্দর।
কেরালা
- রাজধানী- তিরুবন্তপুরম
- আয়তন- 38,852 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের ২২ তম)
- জনসংখ্যা- 33,406,061 (জনসংখ্যায় ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 1084
- বৃদ্ধির হার- 4.91%
- সাক্ষরতার হার- 94.00%
- জেলা- 14
- ভাষা- মালয়ালাম
- *. কেরালা অর্থকরী ফসল প্রধানত মশলা উৎপাদনে অতি সমৃদ্ধ রাজ্য।
- *. নারকেল, রবার, মরিচ, এলাচ, আদা, কোকো, কাজু, কফি এবং চা এখানে প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
- *. এই রাজ্যের সবচাইতে জনপ্রিয় উৎসব ওনাম। কালিকট এখানকার প্রধান বন্দর।
মধ্যপ্রদেশ
- রাজধানী- ভোপাল
- আয়তন- 3,08,252 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতে দ্বিতীয় স্থান)
- জনসংখ্যা- 72,626,809 (জনসংখ্যায় ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 931
- বৃদ্ধির হার- 20.35%
- সাক্ষরতার হার- 69.32%
- জেলা- 51
- ভাষা- হিন্দি
- *. মধ্যপ্রদেশ প্রাথমিকভাবে একটি কৃষি প্রধান রাজ্য।
- *. ১লা নভেম্বর ২০০০ ছত্তিশগড় গঠনের আগে মধ্যপ্রদেশ ছিল ভারতবর্ষের বৃহত্তম রাজ্য।
মহারাষ্ট্র
- রাজধানী- মুম্বাই (ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী)
- আয়তন- 3,07,713 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 112,374,333 (ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 929
- বৃদ্ধির হার- 15.99%
- সাক্ষরতার হার- 82.34%
- জেলা- 36
- ভাষা- মারাঠি
মণিপুর
- রাজধানী- ইম্ফল
- আয়তন- 22,327 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের ২৪তম)
- জনসংখ্যা- 2,570,390 (জনসংখ্যায় ভারতে ২৩)
- লিঙ্গ অনুপাত- 992
- বৃদ্ধির হার- 12.05%
- সাক্ষরতার হার- 79.21%
- জেলা- 16
- ভাষা- মণিপুরী
- *. কৃষিকাজ এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস।
- *. বিরল চারাগাছ বৃক্ষ এবং বণ্যপ্রাণীদের জন্য এই রাজ্যের বিশেষ পরিচিতি আছে।
মেঘালয়
- রাজধানী- শিলং
- আয়তন- 22,429 বর্গকিলোমিটার (২৩তম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 2,966,889 (২৪তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 989
- বৃদ্ধির হার- 27.95%
- সাক্ষরতার হার- 74.43%
- জেলা- 11
- ভাষা- গারো, খাসি, ইংরেজি
- *. এটি একটি কৃষিপ্রধান রাজ্য।
- *. এখানকার 70% অঞ্চলই বনভূমি। পৃথিবীর সর্ব্বোচ্চ বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চল মৌসিন্রাম (চেরাপুঞ্জি জেলায়) এখানে অবস্থিত।
মিজোরাম
- রাজধানী- আইজল
- আয়তন- 21,081 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের ২৪তম)
- জনসংখ্যা- 1,097,206 (আয়তনে ভারতের ২৮তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 976
- বৃদ্ধির হার- 23.48%
- সাক্ষরতার হার- 91.33%
- জেলা- 8
- ভাষা- মিজো এবং ইংরেজি
- *. কৃষিকাজ এখানকার প্রধান। ঝুম চাষ এখানে প্রচুর পরিমাণে হয়। এই রাজ্যের অধিকাংশ অংশ বনভূমি দ্বারা আবৃত।
নাগাল্যান্ড
- রাজধানী- কোহিমা
- আয়তন- 16,579 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের ২৬তম)
- জনসংখ্যা- 1,978,502 (জনসংখ্যায় ভারতের ২৫ তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 931
- বৃদ্ধির হার- 0.58%
- সাক্ষরতার হার- 79.55%
- জেলা- 11
- ভাষা- অঙ্গামি, আও, চ্যাং, কনিয়াক, লেথো, সাঙ্গতাম, সেমো, চাখেসাঙ্গ।
- *. এটি একটি কৃষিভিত্তিক রাজ্য। এখানকার জনসংখ্যার ৯০% চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল।
ওড়িশা
- রাজধানী- ভুবনেশ্বর
- আয়তন- 1,55,707 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের নবম বৃহত্তম)
- জনসংখ্যা- 41,974,218 (জনসংখ্যায় ভারতের একাদশ তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 979
- বৃদ্ধির হার- 14.05%
- সাক্ষরতার হার- 72.87%
- জেলা- 30
- ভাষা- ওড়িয়া
- *. এই রাজ্যের পশ্চিমাংশ ও উত্তরাংশ ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত। মহানদী, ব্রাহ্মনী এবং বৈতরণী এখানকার প্রধান নদনদী। ধান উৎপাদন এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। কটকে কেন্দ্রীয় ধান গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। এটি এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম ধান গবেষণা কেন্দ্র।
পাঞ্জাব
- রাজধানী- চন্ডীগড়
- আয়তন- 50,362 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের ২০ তম)
- জনসংখ্যা- 27,743,338 (জনসংখ্যায় ভারতের ১৬তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 895
- বৃদ্ধির হার- 13.89%
- সাক্ষরতার হার- 75.84%
- জেলা- 22
- ভাষা- পাঞ্জাবি
- *. পাঞ্জাবের অর্থনীতি প্রধানত দাঁড়িয়ে আছে কৃষির উপর। হেক্টর প্রতি উৎপাদন পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি।
- *. এখানে বহুরকমের ক্ষুদ্রশিল্প গড়ে উঠেছে। যেমন-সাইকেলের অংশ সেলাই মেশিন, খেলার সরঞ্জাম, হোসিয়ারি দ্রব্য ইত্যাদি।
- *. ভাকরা বাঁধ (শতদ্রু নদীর উপর) এই রাজ্যে অবস্থিত এবং এটি ভারতের উচ্চতম বাঁধ।
রাজস্থান
- রাজধানী- জয়পুর
- আয়তন- 3,42,239 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের প্রথম বৃহত্তম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 68,548,437 (জনসংখ্যায় ভারতের সপ্তম বৃহত্তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 928
- বৃদ্ধির হার- 21.31%
- সাক্ষরতার হার- 66.31%
- জেলা- 33
- ভাষা- হিন্দি এবং রাজস্থানি
- *. রাজস্থান ‘রাজভূমি’ হিসাবে পরিচিত। এটি ভারতের বৃহত্তম রাজ্য। এখানেই ভারতের মরুভূমি থর অবস্থিত। আরবল্লী পর্বতমালার অন্তর্গত মাউন্ট আবু হল একটি শৈল শহর। ভরতপুরের নিকট কেওলদের জাতীয় উদ্যান এখানে অবস্থিত। রণথম্বোর এ সারিকা বাঘ সংরক্ষণের জন্য প্রসিদ্ধ। রাজ পুতালা নামে এর পরিচিতি ছিল। ৩০শে মার্চ, ১৯৪৯ রাজস্থান নামে একটি অঙ্গ রাজ্যে প্রিণত হয়। এখানে জিঙ্ক, রূপা, সিসা, লবণ পাওয়া যায়।
সিকিম
- রাজধানী- গ্যাংটক
- আয়তন- 7,096 বর্গকিলোমিটার (28 তম)
- জনসংখ্যা- 610,577 (29 তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 890
- বৃদ্ধির হার- 12.89%
- সাক্ষরতার হার- 81.42%
- জেলা- 4
- ভাষা- লেপচা, ভুতিয়া ও নেপালি
- *. সিকিম ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যা যুক্ত রাজ্য এবং এটি আয়তনে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য, গোয়ার পরে এর স্থান।
- *. নেপালি প্রাধান্য বিশিষ্ট এটাই ভারতের একমাত্র রাজ্য।
- *. এটি একটি কৃষি নির্ভর রাজ্য। এখানে বনভূমি বহুল বিস্তৃত।
- *. এটি শিল্পে পিছিয়ে পড়া একটি রাজ্য এবং শিল্পের উন্নতির জন্য প্রচুর চেষ্টা করা হয়েছে।
তামিলনাড়ু
- রাজধানী- চেন্নাই
- আয়তন- 1,30,060 বর্গকিলোমিটার (একাদশ)
- জনসংখ্যা- 72,147,030 (ষষ্ঠ)
- লিঙ্গ অনুপাত- 996
- বৃদ্ধির হার- 15.09%
- সাক্ষরতার হার- 80.09%
- জেলা- 32
- ভাষা- তামিল
- *. তামিলনাড়ুর অর্থনীতি বিশেষভাবে কৃশির উপর নির্ভরশীল। প্রধান খাদ্যশস্য হল ধান, জোয়ার, রাগি, বাজরা, ভুট্টা এবং গম।
- *. অর্থনৈতিক ফসল যেমন, আখ, তুলা, সূর্যমুখী, কফি, চা, রবার, বাদাম, নারকেল, কাজু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
- *. তামিলনাড়ুর প্রধান শিল্প হল-বস্ত্রবয়ন, রাসায়নিক সার, কাজল, ডিজেল ইঞ্জিন, সিমেন্ট, চিনি, লৌহ ও ইস্পাত, রেলবগি।
- *. চেন্নাই, তুতিকোরিন, এন্নোর হল এই রাজ্যের প্রধান প্রধান বন্দর।
- *. পোঙ্গল হল এখানকার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, এটি একটি ফসল কাটার উৎসব।
তেলেঙ্গানা
- রাজধানী- হায়দ্রাবাদ
- আয়তন- 1,14,840 বর্গকিলোমিটার (দ্বাদশ বৃহত্তম রাজ্য)
- জনসংখ্যা- 35,193,978 (দ্বাদশ বৃহত্তম)
- বৃদ্ধির হার- 11.49%
- সাক্ষরতার হার- 67.22%
- জেলা- 31
- *. ২ জুন ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা হওয়ার পর তেলেঙ্গানা ভারতে ২৯তম রাজ্য হয়েছে। ১০ বছর পর্যন্ত হায়দ্রাবাদ দুটি রাজ্যেরই রাজধানী থাকবে।
- *. প্রধান প্রধান শহরগুলি হল হায়দ্রাবাদ, ওয়ারাঙ্গাল, নিজামাবাদ, করিমনগর, রামাগুন্ডাম ইত্যাদি।
- *. তেলেঙ্গানার মধ্য দিয়ে দুটি প্রধান নদী প্রবাহিত-গোদাবরীর 27% ও কৃষ্ণার 69%। এছাড়াও ভীমা, মঞ্জিরা, মুসী ইত্যাদি নদী এরাজ্য দিয়ে প্রবাহিত।
ত্রিপুরা
- রাজধানী- আগরতলা
- আয়তন- 10,486 বর্গকিলোমিটার (ভারতের ঊনবিংশ তম)
- জনসংখ্যা- 3,673,917 (ভারতে বিংশ তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 960
- বৃদ্ধির হার- 14.84%
- সাক্ষরতার হার- 87.22%
- জেলা- 8
- ভাষা- বাংলা ও ককবরক
- *. এটি একটি কৃষিপ্রধান রাজ্য। চা এখানে প্রচুর চাষ হয় এবং এটি একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে।
- *. হস্তশিল্পও এখানে বিস্তারলাভ করেছে।
উত্তরাখণ্ড
- রাজধানী- দেরাদুন
- আয়তন- 53,483 বর্গকিলোমিটার (১৯ তম)
- জনসংখ্যা- 10,086,292 (২০তম)
- লিঙ্গ অনুপাত- 963
- বৃদ্ধির হার- 18.81%
- সাক্ষরতার হার- 78.82%
- জেলা- 13
- ভাষা- হিন্দি, গাড়োয়ালি, কুমায়ুন
- *. এই রাজ্যের ৯০% লোক হল কৃষি নির্ভর। ভাগীরথী নদীর উপর তেহরি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। গঙ্গোত্রী, যমুনেত্রী, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, ঋষিকেষ প্রভৃতি তীর্থস্থান এই রাজ্যের অন্তর্গত।
উত্তরপ্রদেশ
- রাজধানী- লখনউ
- আয়তন- 2,40,928 বর্গকিলোমিটার (চতুর্থ)
- জনসংখ্যা- 199,812,341 (জনসংখ্যায় ভারতের প্রথম বৃহত্তম রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 912
- বৃদ্ধির হার- 20.23%
- সাক্ষরতার হার- 67.68%
- জেলা- 75
- ভাষা- হিন্দি ও উর্দু
- *. এই রাজ্য হল সর্বাধিক জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য। এখানকার ৭৮ শতাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। খাদ্যশস্য, ইক্ষু ও তৈলবীজ এখানে সর্বাধিক উৎপন্ন হয়। এখানে প্রচুর কুটির শিল্প বর্তমান।
পশ্চিমবঙ্গ
- রাজধানী- কলকাতা
- আয়তন- 88,752 বর্গকিলোমিটার (আয়তনে ভারতের চতুর্দশ)
- জনসংখ্যা- 91,276,115 (ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম জনবহুল রাজ্য)
- লিঙ্গ অনুপাত- 950
- বৃদ্ধির হার- 13.84%
- সাক্ষরতার হার- 76.26%
- জেলা- 23
- ভাষা- বাংলা
- *. এটি হল ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্য।
- *. ইহার সীমান্তবর্তী দেশগুলি হল নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ। ভারতবর্ষের যে রাজ্যগুলি এর সীমানা নির্ধারন করেছে সেগুলি হল-ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহার, সিকিম এবং আসাম।
- *. পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিকভাবে প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত-দক্ষিণ ভাগটি হল গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চল এবং উত্তর ভাগটি অধহিমালয় ও হিমালয়ের অঞ্চল ভিত্তিক।
- *. এই রাজ্যের একধারে উত্তর বিন্দু দার্জিলিং পূর্ব হিমালয়ে অবস্থিত। এখানে রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু (৩৬৩৬ মিটার) অবস্থিত। সংকীর্ণ তরাই অঞ্চল একে সমভূমি থেকে আলাদা করেছে। যা দক্ষিণে গঙ্গার বদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত। পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এবং পশ্চিমে মালভূমি ও উচ্চভূমির মাঝে রাঢ় অঞ্চল অবস্থিত। একেবারে দক্ষিণে সামান্য উপকূল অঞ্চল এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে সুন্দরবন অবস্থিত।
- *. গঙ্গা এখানকার প্রধান নদী, যেটি পশ্চিমবঙ্গে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি ভাগ পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং অন্য শাখার স্রোতটি ভাগীরথী নদী ও হুগলী নদী নামে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ হুগলী শাখাটিকে জলের দ্বারা পুষ্ট করেছে। কিন্তু জলবন্টন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মতের অমিল আছে। উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা এবং মহানন্দা নদী আছে। পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে দামোদর, অজয়, কংসাবতী ইত্যাদি নদ-নদী আছে। গঙ্গার বদ্বীপ সুন্দরবন অঞ্চলে বহু নদ-নদী বর্তমান।
- *. দামোদর নদে প্রতিবছর ভয়াবহ বন্যার ফলে দামোদরকে বাংলার দুঃখ বলা হয়, ‘দামোদর উপত্যকা প্রকল্প’তে এখানে অনেক গতি দেওয়া হয়েছে।
- *. এখানে নানা বন্যপ্রাণী যথা ভারতীয় গণ্ডার, ভারতীয় হাতি, হরিণ, বাইসন, লাল পন্ডা, বাঘ ইত্যাদি দেখা যায়। এই রাজ্যে পরিযায়ী পাখিরা প্রতি বছর শীতকালে আসে। বাঘের জন্য এই অরণ্য সংরক্ষিত। এছাড়া লুপ্তপ্রায় অঞ্চলে প্রাকৃতিক মৎস চাষ যেমন উপকূল অঞ্চলের মৎস সংরক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত। বায়োস্ফিয়ার সংরক্ষণ অঞ্চল হিসাবে সুন্দরবনকে খোজনা করা হচ্ছে।
- *. প্রধান প্রধান কৃষি উৎপাদন করে এই রাজ্য ভারতের মধ্যে ষষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক কার্যাবলি, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের জন্য বিখ্যাত। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা ‘ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ নামে বিখ্যাত। রাজ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোক সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো খ্যাতনামা মনীষী, বহু সংগীতজ্ঞ, সিনেমা প্রস্তুতকারক এবং নানা শিল্পীদের জন্য বিখ্যাত।
- *. ফুটবল এবং ভারতের সবচেয়ে প্রিয় খেলা ক্রিকেট এই রাজ্যকে অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক আলাদা করেছে।
- *. পশ্চিমবঙ্গে 3.26% সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে 15টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং 5টি জাতীয় উদ্যান যথা সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান এবং সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যান অবস্থিত।
- *. কৃষিই এখানে অর্থনীতির মেরুদন্ড। পশ্চিমবঙ্গ ধান উৎপাদনে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থানকারী।
- *. এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল চা এবং পাট। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দেখা যায়।
- *. কলকাতা, হলদিয়া হল এখানকার প্রধান বন্দর।