ভারতীয় রেলওয়ে
ভারতের পরিবহন প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি (Transportation in India)
রেলওয়ে
- ভারতের রেল চলাচল প্রক্রিয়া এশিয়ার সর্ববৃহৎ এবং পৃথিবীতে চতুর্থ। এটি দেশের বৃহত্তম একক সরকারি বিভাগ।
- ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল ভারতে প্রথম রেল চলাচল হয় ৩৪ কি.মি রেলপথ বিশিষ্ট মুম্বাই থেকে থানের মধ্যে। ২০০৩ সালের ১৬ই এপ্রিল ভারতীয় রেল এর ১৫০ বর্ষ উদ্যাপন করেছে। এই ঘটনাকে স্মরণে রাখার জন্য ১৬টি জনশতাব্দী আন্তশহর এক্সপ্রেস ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছে।
- দ্বিতীয় ট্রেনটি ১৮৫৪ সালে হাওড়া ও হুগলীর মধ্যে চলেছিল।
- ভারতীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর নতুন দিল্লীতে অবস্থিত।
- ভারতীয় রেলের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন ‘দাক্ষিণাত্যের রানি’ বা ‘ডেকান কুইন’। এটি ১৯২৯ সালে মুম্বাই ও পুনের মধ্যে চলেছিল।
- রাশিয়ার পর ভারতের বিদ্যুৎ চালিত রেল চলাচল হল দ্বিতীয় বৃহত্তম।
- ভারতের দ্রুততম ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, যার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কি.মি.।
- সমস্ত রেলপথ মিলে ভারতে প্রায় ১,১৫,০০০ কি.মি. রেলপথ আছে।
- ভারতে মোট ৭৫০০টি রেলওয়ে স্টেশন আছে।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে স্টেশন হল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর।
- ভারতের দীর্ঘতম রেলপথটি ‘বিবেক এক্সপ্রেস’, আসামের ডিব্রুগড় থেকে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী পর্যন্ত। এটির ৪২৮৩ কি.মি পথ অতিক্রম করতে ৮৩ ঘণ্টা সময় লাগে।
- ২৪ অক্টোবর, ১৯৮৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ভারতের প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। প্রথমে দমদম ও বেলগাছিয়ার মধ্যে এই ট্রেন চলে।
- ভারতীয় রেলে ৪ ধরনের লাইন বা গেজ আছে।
- ১. ব্রড গেজ (১.৬৭ মিটার চওড়া),
- ২. মিটার গেজ (১.০০ মিটার চওড়া),
- ৩. ন্যারো গেজ (০.৭৬২ মিটার চওড়া)
- ৪. লাইট গেজ (০.৬১০ মিটার চওড়া)।
- মোট রেলপথের প্রায় ৯০% ব্রডগেজ। এর পর ৭.৯% মিটার গেজ এবং বাকিটা ন্যারো গেজ ও লাইট গেজ।
- ভারতীয় রেলপথ ১৮টি বিভাগে বিভক্ত। প্রত্যেকটি বিভাগের একটি করে জেনারেল ম্যানেজার আছে যারা নানা ব্যাপারে রেলওয়ে বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
রেলওয়ে জোন | সদর দপ্তর |
---|---|
মধ্য | মুম্বাই ভিটি |
পূর্ব | কলকাতা |
উত্তর | নতুন দিল্লি |
উত্তর-পূর্ব | গোরক্ষপুর |
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত | মালিগাঁও-গুয়াহাটি |
দক্ষিণ | চেন্নাই |
দক্ষিণ-মধ্য | সেকেন্দ্রাবাদ |
দক্ষিণ-পূর্ব | কলকাতা |
দক্ষিণ রেল | বিশাখাপত্তনম |
পশ্চিম | মুম্বাই চার্চগেট |
পূর্ব উপকূল | ভুবনেশ্বর |
পূর্ব-মধ্য | হাজিপুর |
উত্তর-মধ্য | এলাহাবাদ |
উত্তর-পশ্চিম | জয়পুর |
দক্ষিণ-পশ্চিম | বেঙ্গালুরু (জুবলি) |
পশ্চিম-মধ্য | জবলপুর |
দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য | বিলাসপুর |
কলকাতা মেট্রো | কলকাতা |
- উত্তর রেল (উ.রে)-এর রেলওয়ে জোনগুলি অর্থাৎ অঞ্চলগুলির মধ্যে ১০,৯৯৫ কিমি রেলপথ নিয়ে সর্ববৃহৎ।
- উত্তর-পূর্ব সীমান্ত (উ.পূ.সী) রেলপথ ৩৮৬০ কিমি দীর্ঘ রেলপথ নিয়ে ক্ষুদ্রতম।
- কোঙ্কন রেলওয়ে : এটি মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্ণাটকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে একটি প্রকল্প। মহারাষ্ট্রের রোহা-স্টেশন থেকে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর পর্যন্ত এর মোট রেলপথ ৭৩৮ কি.মি।
রেলওয়ে নির্মাণ কারখানা
নং | নাম | অবস্থান |
---|---|---|
১ | চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস | এটি পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জনে অবস্থিত এবং এখানে ইলেকট্রিক রেল ইঞ্জিন নির্মিত হয়। |
২ | ডিজেল লোকোমেটিভ ওয়ার্কস | এটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত এবং এখানে ডিজেল ইঞ্জিন নির্মিত হয়। |
৩ | ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি | এটি তামিলনাড়ুর পেরামবুদুর-এ অবস্থিত এবং এখানে রেলের কোচ তৈরি হয়। |
৪ | হুইল অ্যান্ড অ্যাক্সল প্ল্যান্ট | এটি ইয়ালানকা (বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক)-তে অবস্থিত এবং এখানে রেলের চাকা ও অ্যাক্সেল তৈরি হয়। |
৫ | ডিজেল কম্পোনেন্ট ওয়ার্কস | এটি পাঞ্জাবের পাতিয়ালা-তে অবস্থিত এবং এখানে ডিজেল ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। |
৬ | রেলকোচ ফ্যাক্টরি (১৯৮৮) | এটি পাঞ্জাবের কাপুরথালা-তে অবস্থিত এবং এখানে রেলের কোচ তৈরী হয়। |