আন্টার্কটিকা
আন্টার্কটিকা
- আন্টার্কটিকা হল পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের মহাদেশ যেখানে ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু অবস্থিত।
- এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার প্র এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। যেমন, আন্টার্কটিকা আকারে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দ্বিগুণ। আন্টার্কটিকার ৯৮% এলাকা ১.৬ কিমি পুরু বরফে ঢাকা।
- আন্টার্কটিকা সবচেয়ে শীতল, শুষ্ক ও বায়ু সম্পন্ন মহাদেশ এবং সমস্ত মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুউচ্চ অবস্থানে বর্তমান।
- আন্টার্কটিকাকে একটি মরুভূমি বলা হয়। সেখানকার বার্ষিক প্রেসিপিটেশন মাত্র ২০০ মিমি. (৮ ইঞ্চি)
- এর তাপমাত্রা-৮৯°সে (-১২৯°ফাঃ)
- এখানে স্থায়ীভাবে কোনো মানুষের বসতি নেই কিন্তু মোটামুটি ১০০০ থেকে ৫০০০ মানুষ এখানকার গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে সারা বছর থাকে।
- শীতে বাঁচতে পারে এমন প্রাণী যেমন বিভিন্ন ধরনের অ্যালগি প্রাণী (যেমন পেঙ্গুইন, শীল) ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ইত্যাদি।
- রস সি ও ওয়েডেল সি-এর কাছাকাছি অঞ্চলে থাকা ট্রানজানটার্কটিস পর্বত দ্বারা আন্টার্কটিকা দুইভাবে বিভক্ত। ওয়েডেল সি-এর পশ্চিমাঞ্চল এ রস সি-এর পূর্বাঞ্চলকে পশ্চিম আন্টার্কটিকা এবং বাকি অঞ্চলকে পূর্ব আন্টার্কটিকা বলা হয়।
- আন্টার্কটিকায় মূল মহাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলি মিলিয়ে অনেক পর্বত আছে। রস আইল্যান্ডে অবস্থিত মাউন্ট এরেবুস হল বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষিণ প্রান্তের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।
- ১২টি দেশ ১৯৫৯ সালে আন্টার্কটিকা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এখনও পর্যন্ত ৪৯টি দেশ এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী এই মহাদেশে সামরিক কার্যকলাপ, খনিজ পদার্থ খননকর্ম, পরমাণু বিস্ফোরণ, পরমাণু বর্জ্য জমানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এই মহাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
- ভারত ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ গঙ্গোত্রী আন্টার্কটিকা রিসার্চ বেস তৈরি করে, তারপর ১৯৯০ সালে মৈত্রী বেস তৈরি করে। ভারতের তৃতীয় গবেষণা কেন্দ্র যার নাম ভারতী, তা স্থাপিত হতে চলেছে।