বৃহস্পতি গ্রহ
বৃহস্পতি হল সূর্য থেকে পঞ্চমতম এবং সকল গ্রহের থেকে বৃহত্তম (সকল গ্রহের ৭৩%), একে স্বর্গের দেবতা বলা হয়।
নক্ষত্র হওয়ার আধাআধি অবস্থার মতো বৃহস্পতিকে দেখায়। এটি অত্যন্ত বৃহদাকার গ্রহ কিন্তু নক্ষত্রের মতো পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা নেই।
এখানে গুপ্ত আগ্নেয় এবং গভীর খাত দেখা গেছে, সে কারণে এখানে জল ছিল বলে অনুমিত হয়। বর্তমান অভিযানে জীবনের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
মাউন্ট এভারেস্টের থেকে তিন গুন উচ্চতা সম্পন্ন নিষ্প অলিম্পিয়া নামক পর্বতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
ফেবোস ও ডাইমস নামক এর দুটি উপগ্রহ আছে।
নাইট্রোজেন ও অর্গ্যান মিশ্রিত পাতলা আবহাওয়া এখানে বর্তমান।
সূর্য থেকে শক্তি গ্রহণ অপেক্ষা মঙ্গল বেশি শক্তি ত্যাগ করে কারণ এর ভিতরের তাপমাত্রা প্রচন্ড।
এর বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন এবং অ্যামোনিয়া বর্তমান।
এই গ্রহে একটা বিরাটাকারের লাল দাগ-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে প্রচণ্ড রকমের বড়ো ঝড়ঝঞ্ঝা, হারিকেন ঝড় বিরামহীনভাবে শত শত বছর ধরে চলে আসছে। সম্ভবত বৃহস্পতির অভ্যন্তরীণ উষ্ণতার প্রভাবে ঝড় সংঘটিত হয়।
সৌরজগতে এই গ্রহই হল দ্রুততম গতিসম্পন্ন, আবর্তন বেগ (৯.৮ ঘন্টা)।
এর ৬৭টি উপগ্রহ আছে। উল্লেখযোগ্য উপগ্রহগুলি হল আই ও, ইউরোপা, গ্যানিমেড এবং ক্যালিসটো-এগুলিকে গ্যালিনীয় মুনস (চাঁদ) বলা হয়-কারণ এগুলি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে গ্যালিলীও কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়েছিল। গ্যানিমেড হল সৌরজগতে বৃহত্তম উপগ্রহ।
মহাকাশযানের রোবোটের সাহায্যে বেশ কয়েকবার এখানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। প্রথমে পাইওনিয়ার ও ভয়েজার উল্লেখযোগ্য পরে কক্ষপথে পরিভ্রমণরত গ্যালিলিয়োর মাধ্যমে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে নিউ হরিজন স্পেসক্র্যাফ্ট এর পরিদর্শন এর প্রমাণ করে। বৃহস্পতি থেকে শলাকার সাহায্যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হল-জোভিয়ান পদ্ধতিতে মুন ইউরোপার উপর বরফ আচ্ছাদিত তরল সমুদ্রে বিস্ফোরণ ঘটানো।