জলপথ পরিবহন
জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা (water transport)
- সব চাইতে কম খরচে ও পরিবেশবন্ধু যাতায়াত মাধ্যম হল জলপথ পরিবহন।
- ভারতে প্রায় ১৪,৫০০ কি.মি. জলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নদী, খাল ইত্যাদির মাধ্যমে।
জলপথের নাম | দৈর্ঘ্য (কি.মি.) | |
---|---|---|
NW1 | এলাহাবাদ-হলদিয়া জাতীয় জলপথ | ১,৬২৯ কিলোমিটার |
NW2 | সেদিয়া-ধুবড়ি জাতীয় জলপথ (ব্রহ্মপুত্র নদীতে) | ১৯১ কিলোমিটার |
NW3 | কোলাম-কোট্টাপুরম জাতীয় জলপথ | ১৮৬ কিলোমিটার |
NW4 | ভদ্রাচলম-রাজমুন্দ্রি এবং ওয়াজিরাবাদ-বিজয়ওয়াড়া (গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীতে) | ১,১০০ কিলোমিটার |
NW5 | মঙ্গলগড়ি-পারাদ্বীপ এবং তালচের-ধামারা (মহানদী ও ব্রাহ্মণী নদীতে) | ৬২৩ কিলোমিটার |
NW6 | লক্ষ্মীপুর-ভঙ্গ বরাক (অসম) | ১২১ কি.মি |
ভারতীয় বন্দরগুলি
- ভারতের জলপথ নিগম ভারতীয় জলপথকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। যেমন-প্রধান, মাঝারি ও ছোটো জলপথ।
- ভারতে সর্বোপরি ১৯০টি জলপথ আছে। এগুলির মধ্যে তেরোটি প্রধান এবং বাকিগুলি মাঝারি ও ছোটো জলপথ।
১৩টি প্রধান বন্দর হল-
বন্দর | রাজ্য |
---|---|
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী | পশ্চিমবঙ্গ (কলকাতা) |
পারাদ্বীপ | ওড়িশা |
বিশাখাপত্তনম | অন্ধ্রপ্রদেশ |
চেন্নাই | তামিলনাড়ু |
এন্নোর | তামিলনাড়ু |
ভি.ও.চিদাম্বরম (পূর্বনাম তুতিকোরিন) | তামিলনাড়ু |
কোচিন | কেরালা |
নিউ ম্যাঙ্গালোর | কর্ণাটক |
মার্মাগাঁও | গোয়া |
জওহরলাল নেহেরু | মহারাষ্ট্র |
মুম্বাই | মহারাষ্ট্র |
খান্ডাল্লা | গুজরাট |
পোর্ট ব্লেয়ার | আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ |
পোর্ট ট্রাস্ট এই বন্দরগুলি তত্ত্বাবধান করে, শুধুমাত্র নতুন তৈরি এল্লোর বন্দর যোগাযোগ করে এন্নোর পোর্ট লিমিটেড কোম্পানি।
বৈশিষ্ট্য-
কলকাতা বন্দর (হলদিয়া সহ)- কলকাতা হল একটি নদী বন্দর, এটি বঙ্গোপসাগরের ১২৮ কিমি ভিত্রে হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত। হলদিয়া বন্দর তৈরির কারণ হল অত্যধিক পলি জমে যাওয়া যা কলকাতা বন্দরে বড়ো জাহাজ প্রবেশের পথে অন্তরায়।
পারাদ্বীপ বন্দর- বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত, ভারত এখান থেকে কাঁচা লোহা জাপানে রপ্তানি করে।
বিশাখাপত্তনম বন্দর- অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত, এটি সবচেয়ে গভীর বন্দর। এটি ভিলাই এবং রৌরকেল্লা ইস্পাত কারখানার জন্য কাজ করে।
চেন্নাই বন্দর- সবচেয়ে পুরোনো কৃত্রিম বন্দর। মুম্বাই-এরপর এই বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি মাল আমদানি-রপ্তানি হয়।
এন্নোর বন্দর- ২০০১ সালে প্রধান বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সবই পাওয়া যায়। এর মারফত তামিলনাড়ু বিদ্যুৎ পর্ষদের জন্য কয়লা জোগানের কাজ করে।
ভি.ও চিদাম্বরম (পূর্বের নাম তুতিকোরিন) বন্দর- পান্ডো রাজাদের সময় থেকে এর অবস্থান। এটি একটি কৃত্রিম পোতাশ্রয়।
কোচিন বন্দর- কেরালার উপকূলে সুন্দর স্বাভাবিক পোতাশ্রয় আছে। এর দ্বারা চা, কফি, মশলা রপ্তানি এবং খনিজ তৈল, সার আমদানি হয়।
নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দর- এটি কর্ণাটকের প্রবেশদ্বার। আকরিক লোহা রপ্তানি করে।
মার্মাগাঁও বন্দর- এটি আকরিক লোহার বাণিজ্যে প্রধান।
মুম্বাই বন্দর- এটি স্বাভাবিক বন্দর এবং ভারতের ব্যস্ততম বন্দর। একটি নতুন বন্দর নবসেবা মুম্বাই বন্দরের কাজে গড়ে উঠেছে।
জওহরলাল নেহেরু বন্দর- পৃথিবীর দ্রুতো বেড়ে ওঠা বন্দরগুলির মধ্যে এটি পঞ্চম কান্ডাল বন্দর। এটি ভারত ভাগের পর করাচির পরিবর্তন হিসাবে গড়ে উঠেছে। এখানে কচ্ছের রাণের মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল।
পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর- এই বন্দরকে সম্প্রতি প্রধান বন্দরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বন্দরটি গঠনের তাৎপর্য হল এটি দুটি আন্তর্জাতিক জাহাজ পথ সৌদি আরব-সিঙ্গাপুর, আমেরিকা-সিঙ্গাপুর এর নিকটে অবস্থিত।