দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
অবস্থান- ২০`২০``-২২`০৬`` উত্তর অক্ষাংশ ৮৮`২০``- ৮৮`৬০`` পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
সদর দপ্তর- আলিপুর
সাব ডিভিশন- আলিপুর (বিষ্ণুপুর-১, বিষ্ণুপুর-২, বজবজ-২ ও টি/মহেশতলা), বারুইপুর (বারুইপুর, ভাঙ্গর-১, ভাঙ্গর-২, জয়নগর-২, কুলতলি ও সোনারপুর)।
থানা- ৩৩,
শহরাঞ্চল- ২১ (সাতটি মিউনিসিপ্যালিটি, ১৪টি সেন্সাস টাউন)
দ্বীপ- ৩৭ ,
আয়তন- ৯,৯৬০ বর্গ কিমি।
জনসংখ্যা- ৮১,৫৩,১৭৬,
জনসংখ্যা ঘনত্ব- ৮১৯ (প্রতি বর্গকিমিতে)
শহরবাসী (শতাংশ)- ১৫.৭৩,
সাক্ষরতা (শতাংশ)- ৭৮.৫৭,
পুরুষ- ৮৪.৭২, মহিলা- ৭২.০৯
সুন্দরবনে ১৩টি কমিউনিটি ডেভেলমেন্ট ব্লক আছে (সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, মথুরাপুর ১, মথুরাপুর ২, জয়নগর ১, জয়নগর ২, ক্যানিং ২, বাসন্তী ও গোসাবা)
লোকশিল্প-
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা লোকশিল্পে সমৃদ্ধ। ঝুমুর, কবিগান, তরজাগান, মনসা, ভাসান, রায়ানি, অষ্টকগান, বনবিবির পালা, টুসু, পাতার বাঁশি, ভার্টিয়ালি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য লোকশিল্প ও উৎসব।
ভ্রমণ-
উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি হল বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র, গান্ধী ঘাট (ব্যারাকপুর), জওহর কুঞ্জ, টাকি, দক্ষিণেশ্বর। দক্ষিণ ২৪ পরগণার উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল গঙ্গাসাগর, সুন্দরবন, বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জ।
সুন্দরবন-
১৮৩০ সালে দু জন সার্ভে অফিসার, ড্যাম্পিয়ার ও হজেস সুন্দরবনের সক্রিয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের উত্তর সীমা নির্ধারণ করেন। এই রেখার নাম দেওয়া হয় ‘ড্যাম্পিয়ার হজেস রেখা’। ড্যাম্পিয়ার-হজেস রেখার দক্ষিণে সুন্দরবনের কর্দমাক্ত, সিক্ত বনাঞ্চল ‘বাদাবন’ বা ‘ম্যানগ্রোভ’ (mangrove forest)নামে পরিচিত। হুগলী নদীর মোহনা থেকে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রায় ২৬০ কিমি দীর্ঘ বদ্বীপ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে সুন্দরবন। ১৯৪৮ সালে ১,৩৩০ বর্গকিমি জুড়ে গড়ে ওঠে সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় এছাড়াও হ্যালিডে আইল্যান্ড লোথিয়ান আইল্যান্ড, নরেন্দ্রপুর ও সজনেখালি অভয়ারণ্য রয়েছে। সুন্দরবন রয়াল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি। গরান, গেঁওয়া, সুঁদরি (সুন্দরি, থেকে সুন্দরবন), গর্জন, হেঁতাল, গোলপাতা প্রভৃতি সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছপালা। সুন্দরবনে নানান প্রজাতির জন্তু-জানোয়ার, পাখি, সরীসৃপ দেখতে পাওয়া যায়। পাখিদের মধ্যে রয়েছে গোদা-চিল, চন্দনা, চোখ গেল, বাতাসি ইত্যাদি। হুগলী নদী ও তার অসংখ্য খাঁড়িতে শুশুক ও কুমির দেখতে পাওয়া যায়।