নদীয়া
- অবস্থান- ২২°৫৩`- ২৪°১১` উত্তর অক্ষাংশে ৮৮°০৯`- ৮৮°৪৮` পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
- সদর দপ্তর- কৃষ্ণনগর।
- সাব ডিভিশন- কৃষ্ণনগর সদর, কল্যাণী, রানাঘাট ও তেহট্ট।
- থানা- ১৯।
- শহরাঞ্চল- ২৯ (আটটি মিউনিসিপ্যালিটি, ১৫টি সেন্সাস টাউন ও চারটি শহরাঞ্চল)
- আয়তন- ৩,৯২৭ বর্গকিমি।
- জনসংখ্যা- ৫১,৬৮,৪৮৮।
- জনসংখ্যা ঘনত্ব- ১,৩১৬ (প্রতি বর্গ কিমিতে)।
- শহরবাসী (শতাংশ)- ২১.২৯।
- সাক্ষরতা (শতাংশ)- ৭৫.৫৮।
- পুরুষ- ৭৯.৫৮। মহিলা- ৭১.৩৫।
অর্থনীতি-
নদীয়া কৃষিপ্রধান জেলা। ধান প্রধান ফসল। এরপরেই পাটের স্থান। এ ছাড়া ডাল, তৈলবীজ এবং সবজির চাষ হয়। নলকূপ, খাল, বিলের সাহায্যে জমিতে সেচের কাজ চলে।
নদীয়ার মৃৎশিল্পে খ্যাতি রয়েছে। নবদ্বীপ ও রাণাঘাটের কাঁসার বাসনপত্রের খ্যাতি আছে। আমেরিকার পিয়াবডি মিউজিয়ামে কৃষ্ণনগরের কিছু মাটির কাজ সংরক্ষিত আছে।
গঙ্গার তীরবর্তী শান্তিপুর ও ফুলিয়ার বস্ত্রবয়ন শিল্প প্রসিদ্ধ। ফুলিয়া টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য বিখ্যাত। রামনগর, চাকদহ প্রভৃতির হাটে কাপড় কেনা বেচা হয়।
এই জেলায় রয়েছে বহু মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থান ও সৌধ। কৃষ্ণনগর থেকে ২০ কিমি দূরে চৈতন্যদেবের স্মৃতি বিজড়িত নবদ্বীপে রয়েছে বহু মন্দির। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৮৩৫ সালে নির্মিত দ্বাদশ শিব মন্দির।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ১৭৫৪ সালে রাজ রাজেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গটি এশিয়ার বৃহত্তম বলে অনেকে দাবি করেছেন। কৃষ্ণনগর থেকে ২২ কিমি দূরে রয়েছে বেথুয়াডহরির জঙ্গল। ধুবুলিয়ায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম যক্ষ্মা হাসপাতাল।
নির্বাচিত প্রতিনিধি-
- লোকসভার আসনঃ ২ (কৃষ্ণনগর, রানাঘাট)।
- বিধানসভার আসন-১৭।
- গ্রাম পঞ্চায়েত- ২,১৩৭।
- আসন সংখ্যা- ২,৬৮৭।
- পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা- ৫৩৩।
- জেলা পরিষদ- ১।
- আসন সংখ্যা- ৪৮।