ভূমিকম্প (Earthquakes)
ভূমিকম্প (Earthquakes)
- অভ্যন্তরীণ শক্তির দ্বারা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের কম্পন বা আন্দোলন।
- পৃথিবীর ভূমিকম্পের উৎপত্তি কেন্দ্রকে বলা হয় সিজ্মিক ফোকাস। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পৃথিবীর ৫০-১০০ কিমি গভীরে।
- ভূমিকম্পের উৎপত্তি কেন্দ্রের ঠিক উল্লম্বভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরের স্থানকে বলা হয় এপিসেন্টার। ভূমিকম্পের কম্পন প্রবাহ সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে লিপিবদ্ধ করা হয়।
- ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে মাপা হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য উন্নত মারকাল্লি ইনটেনসিটি স্কেল ব্যবহার করা হয়।
ভূকম্পনের প্রকারভেদ-
১। প্রাথমিক বা মুখ্য কম্পন (পি-ওয়েভস্)- উৎপত্তিস্থলের কেন্দ্র থেকে স্থানচ্যুত বস্তুর দ্বারা বাহির হয়। এরা কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা বাহিত হয়। দ্রুতগতিতে বাহিত হয়।
২। গৌণ কম্পন (এস-ওয়েভস্)- শুধুমাত্র কঠিন বস্তুর দ্বারা বাহিত হয়।
৩। সারফেস ওয়েভ অথবা লভ ওয়েভ (এল-ওয়েভস)- এটি ভূ-পৃষ্ঠ বরাবর বাহিত হয় এবং এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি বা ধ্বংস সাধন হয়। এগুলি পি ও এস ওয়েভ-এর পর লিপিবদ্ধ করা হয়।
ভূকম্পনের বিভাজন (Distribution of Earthquakes)
- প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে দৈর্ঘ্য বরাবর একাধিক আগ্নেয়গিরি বলয় আছে, যাকে ‘রিং অব ফায়ার’ বলা হয়। ৬৮% ভূকম্পনের ঘটনা এই অঞ্চলে অনুভূত হয়।
- এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগ (হিমালয়, কাস্পিয়ান সাগর) থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্যন্ত। ২১% ভূকম্পনের ঘটনা এই অঞ্চলে অনুভূত হয়।
- মিড-আটলান্টিক রিজ বলয় যেখানে ১১% ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।