স্বরসংগতি
স্বরসংগতি : স্বরসংগতি ঘটবার কারণ এক, ফলও এক। শুধু একটিতে ব্যঞ্জনগুলির মধ্যে সংগতিবিধান করা হয়, অন্যটিতে স্বরগুলির মধ্যে। স্বরসংগতির ক্ষেত্রেও মূল শব্দে বিভিন্ন উচ্চারণস্থানের বিভিন্ন স্বর থাকে, আর তাই জিভ তার এক উচ্চারণস্থান থেকে অন্য উচ্চারণস্থানে যাবার শ্রম বাঁচাতে একাধিক স্বরকে এক স্বরে বা প্রায় এক স্বরে পরিণত করে নেয়। যেমন-জিলিপি = জ্ই-ল্আ, প্ই > জ্ই, ল্ই, প্ই = জিলিপি।
এই উদাহরণে স্বরগুলি ছিল ই-আ-ই। মাঝের ‘আ’র ফলে জিবকে তালু থেকে কন্ঠ হয়ে আবার তালুতে আসতে হত। এই শ্রম লাঘব করতে সে ই-ই-ই স্বরে পরিবর্তিত করে নিয়েছে-স্বরগুলির মধ্যে সংগতি বিধান হয়েছে। এই প্রবণতাই স্বরসংগতি নামে খ্যাত।
অর্থাৎ-শব্দস্থিত বিষম উচ্চরণবিশিষ্ট স্বরগুলির মধ্যে সমতাবিধান করবার প্রবণতাকে স্বরসংগতি বলে।
সমতা অর্থ একই ধ্বনি বা প্রায় এক ধ্বনি।
ব্যাঞ্জনসংগতির মতো স্বরসংগতিও তিন পদ্ধতিতে সাধিত হয়।
১) প্রগত, ২. পরাগত, ৩. অন্যোন্য।
১. প্রগত স্বরসংগতি : পূর্ব স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরের পরিবর্তন হলে তাকে প্রগত স্বরসংগতি বলে।
যেমন-ক. পূর্ব ই-কারের প্রভাবে পরের অ/আ পরিবর্তিত হয় এ-কারে। ইচ্ছা > ইচ্ছে।
মিথ্যা > মিথ্যে। মিঠা > মিঠে। শিক্ষা > শিক্ষে। ভিক্ষা > ভিক্ষেশিকা > শিকে ফিতা > ফিতে। মিতা > মিতে ছিলাম > ছিলেম।
পিপা > পিপে। হিসাব > হিসেব। নিকশ > নিকেশ। বিলাত > বিলেত।
বিশ্বাস > বিশ্বেস। গিয়া > গিয়ে। নীরস > নিরেস, নীরেশ। বুনিয়াদি > বনেদি
তিনটা > তিনটে। আয়াস > আয়েশ। কালিকার > কালকের। মহিমা > মহিমে।
লীলা > লিলে। করিতাম > করতেম।
ব্যবহার : দেবতার লিলে কে বোঝে মা! মিথ্যে চেঁচামেচি করছ। এত ভুগেও তোমার শিক্ষে হল না! শেষ হিসেব-নিকেশের জন্যি প্রস্তুত হও।
খ. পূর্ব উ-কারের প্রভাবে পরের আ-কার পরিবর্তিত হয় ও-কার/উ-কারে।
পূজা > পুজো। ধুনা > ধুনো। দুয়ারে > দুয়োরে। কুমড়া > কুমড়ো।বুড়া > বুড়ো। শুয়ার > শুয়োর। দুটা > দুটো। মুঠা > মুঠো।
বাহুল্য > [উচ্চারনে বাহুল্লো] উনান > উনুন।
ব্যবহার : ও খুড়ো। এই দাঁতে মুড়ো খাচ্ছ! মুলো-কুমড়োর তরকারি অত খেয়ো না। বুড়ো হয়েছ। দু-মুঠো কম খাও। এই নাও হুঁকো।
২. পরাগত স্বরসংগতি : পরের স্বরএর প্রভাবে পূর্বস্বরের পরিবর্তন হলে তাকে পরাগত স্বরসংগতি বলে।
যেমন-ক. ই-ঈ, উ-ঊ বা য-ফলা থাকলে পূর্বের অ-ধ্বনি ও-র মতো উচ্চারন হয়। যেমন-
অতি > ওতি। অমুক > ওমুক। বসু > বোশু। চলি > চোলি।সমীর > শোমির। পথ্য > পোথ্য। হত্য > হোৎতা বসুক > বোসুক।
এই নিয়ম জ্ঞ ও ক্ষ থাকলেও প্রযুক্ত হয়। কারণ জ্ঞ ও ক্ষ-র উচ্চারণ যথাক্রমে গ্যঁ ও খ্যর মতো। দুই ক্ষেত্রেই য্-ফলা এসে যায়। এ কারণেই- দৈবজ্ঞ > দৈবোগগঁ। লক্ষ > লোক্খ্য। পক্ষ > পোক্খ্য। ইত্যদি উচ্চারিত হয়ে থাকে।
খ. পরবর্তি আ/এ ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ই ধ্বনি ‘এ’ ধ্বনিতে পরিণত হয়। যেমন-
লিখে > লেখে ছিঁড়ে > ছঁড়ে। শিখে > শেখে। ছিঁড়া > ছঁড়া।মিলা > মেলা। শিখা > শেখা। লিখা > লেখা।
এই পরিবর্তিত এ-র উচ্চারণ কখন ‘অ্যা’ হয়।
গ. পরবর্তী আ/এর প্রভাবে পূর্ববর্তি উ ধ্বনি ও ধ্বনিতে পরিণত হয়। যেমন-
ডুবা > ডোবা। শুনা > শোনা। বুঝা > বোঝা। উড়ে > ওড়ে।ঘ. পরবর্তি ই বা ঈ ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী আ ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে ই/উ/এ ধ্বনিতে পরণত হয়।
বিলাতি > বিলিতি। সন্ন্যাসী > সন্নিসী, সন্নেসী। ভিক্ষারি > ভিখিরি। কুড়ানি > কুড়ুনি।শুনানি > শুনুনি। নাই > নেই।
ঙ. শব্দটি যদি তিনের বেশি বর্নে গঠিত হয় এবং শেষে যদি ই/ ঈ ধ্বনি থাকে, তবে পদমধ্যের অ/আ ধ্বনি উ ধ্বনিতে পরিণত হয়। যেমন-
উড়ানি > উড়ুনি। ছাআনিমা > ছাউনি। ঠাকুরানি > ঠাকরুণ। পিঠালি > পিটুলি।মাদলঈ > মাদুলি। নাটকিয়া > নাটকে।
চ. পরবর্তী ই ধ্বনির প্রভাবে এ-ধ্বনি হয়। যেমন-
দেশি > দিশি। দেই > দিই।৩. অন্যোন্য স্বরসংগতি : পরস্পরের প্রভাবে দুটি স্বর পরস্পর পরিবর্তিত হলে তাকে অন্যোন্য স্বরসংগতি বলে।
যেমন- নগরিয়া > নগুরে। শহরিয়া > শহুরে। চাকুরিয়া > চাক্রে।৪. ধ্বনি বিপর্যয় : এর আর নাম আছে- বর্ণব্যত্যয়, বর্ণ বিপর্যাস ইত্যাদি। সব ক-টিই শব্দই বিষয়ের মূল চরিত্রের ইঙ্গিত দেয়। যখন কোনো শব্দের ধ্বনিগুলি পরস্পর স্থান-বদলের প্রবণতা দেখায় তখন তাকে ধ্বনিবিপর্যায় বলে। সাধারণত এগুলি ঘটে উচ্চারণবিকৃতির ফলে। কিন্তু দেখা আয় কোনো কোনোটি কালক্রমে প্রচলিত শব্দেও পরিণত হয়। যেমন-‘হ্রদ’ শব্দটি অপভ্রংশে ‘হ্রদ’ ছিল। বাংলায় দহ হয়েছে। আমরা শিয়ালদহ, চাকদহ, কীর্তিদহ বলে থাকি। এখন অবশ্য ‘হ’ ধ্বনি লুপ্ত হয়ে দ-এর স্বর দীর্ঘ হয়ে ‘দা’ হয়েছে। ধ্বনিবিপর্যয়ের সাধারণ দৃষ্টান্ত- রিকশা > রিশকা। বাকস > বাসক। আলনা> আনলা। তলোয়ার > তরোয়াল। মুকুট > মুটুক। বড়িশ > বড়শি। বারাণসী > বানারসী। মকস > মসকো। বাতসা > বাসাতা। ‘হিন্ন্স > অচ’ থেকে হওয়া উচিত ছিল হিনসা বা ‘হিংস’ ; তা না হয়ে দ্বনি বিপর্যয়ে হয়েছে ‘সিংহ’। ৫. ধ্বন্যাগম : আমরা আগেই জানিয়েছি যে ‘আগম’ শব্দের অর্থ আগমন। ছিল না এমন কোনো নতুন ধ্বনি শব্দে প্রবেশ করলে তা কে দ্বন্যগম বলা হয়। আমরা জানি ধ্বনি দু-রকম। ১. স্বরধ্বনি ২. ব্যঞ্জনধ্বনি। তাহলে ধ্বন্যগমও দু-রকম হতে পারে। ক. স্বরধ্বনির আগম। খ. ব্যঞ্জনধ্বনির আগম। ক. স্বরধ্বনির আগম আবার দু-রকম হতে পারে। আমরা এর আগে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ সম্পর্কে পড়েছি। এই রীতিকেও এক ধরনের স্বরধ্বনির আগমরূপে চিহ্নিত করা যায়। এই রীতির বৈশিষ্ট্য এই যে, এখানে স্বরধ্বনিটি এসেছে শব্দের মধ্যে। কিন্তু যখন স্বরধ্বনিটি শব্দের আদিতেও আসে তখন তার নাম স্বরাগম। তাহলে স্বরাগম বা স্বরভক্তির মধ্যে মিল এই যে, দু-ক্ষেত্রেই শব্দে নতুন স্বরের প্রবেশ ঘটে। কিন্তু স্বরাগমে দ্বনিটি আসে আদিতে, স্বরভক্তিতে মধ্যে। যখন শব্দের আদিতে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনির আগমন ঘটে তখন তাকে বলে স্বরাগম। যেমন- স্কুল > ইস্কুল। স্পর্ধা > আস্পর্ধা। স্ত্রী > ইস্ত্রী। স্টেশন > ইস্টেশন। স্টেবল > আস্তাবল স্টেট > এস্টেট। খ. ব্যঞ্জনধ্বনির আগমও দু-রকম হয়। এরকম ব্যাঞ্জনাগমের নতুন ব্যাঞ্জনটি আসে আদিতে, অন্য ধরনের ব্যঞ্জনটি আসে মধ্যে। প্রতম জাতের ব্যঞ্জনাগমকে বর্ণাগম ও দ্বিতীয় জাতের ব্যঞ্জনাগমকে বলে শ্রুতিধ্বনি। শ্রুতিধ্বনিগুলি প্রায় সময়েই শোনা যায় মাত্র অর্থাৎ উচারণকালে অনুভব করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিখিত ভাষায় আজ তার স্থান পায়নি-কোথাও কোথাও পেয়েছে। কোনো শব্দের আদিতে নতুন ব্যঞ্জধ্বনির আগমন ঘটলে সেই ধ্বনি পরিবর্তনকে বর্ণাগম বলে। যেমন- ওঝা > র ও ঝ আ > রোঝা, রোজা। উজু > রুজু। উপকথা > রূপকথা। শ্রুতিধ্বনি : দুটি স্বরধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারণ করতে গেলে একটি অন্তঃস্থ বর্ণ উচ্চারিত হয়ে যায়। একেই শ্রুতিধ্বনি বলে। আগেই বলা হয়েছে শ্রুতিধ্বনি ক্কচিৎ বানানে দেখা যায়। তবে আধুনিক উচ্চারনণ অনুসারে বানা লিখবার প্রবণতায় শ্রুতিধ্বনি বেশি বেশি বানানে ঠাঁই পেতে শুরু করেছে। অন্তঃস্থ য়-শ্রুতি : ‘মা আমার ঘুরাবি কত।’ এই রামপ্রসাদী গানটি গাইবার কালে প্রায়শ শোনা যায় ‘মায়ামায় ঘোরাবি কত’। -এটাই ইয়-শ্রুতি। আর উদাহরণ দেখো। নীচের উদাহরণগুলিতে বানানে ‘য়’ এসে গেছে। লাঠিআল > লাঠিয়াল। বাবুয়ানা > বাবুয়ানা। দেআল > দেয়াল। গোআলা > গোয়ালা। অন্তঃস্থ ব-শ্রুতি : ‘ব’ –এর সংস্কৃত উচ্চারণ ছিল উআ বা ওঅ-র মতো। এ কারণে ব শ্রুতি লেখায় ও, ওয় কিংবা শুধু য় রূপে চিহ্নিত হয়। যেমন- খাআ > খাবা = খাওয়া। নাআ > নাওয়া। ছাআ > ছাবা = ছাওয়া, ছায়া। ৫. ধ্বনিলোপ : লোপ কথাটির অর্থ লুপত হাওয়া। এটি আগমনের ঠিক বিপরীত। শব্দের মধ্যে ছিল এমন ধ্বনি উচ্চারণে বা লিখনে লুপ্ত হলে তাকে ধ্বনিলোপ বলা হবে। আমরা বাংলা ভাষায় প্রায়ই ধ্বনিলোপ করে থাকি। বহু শব্দেরই অন্তরে স্বরবর্ণ উচ্চারণ করি না। যেমন আমরা কখনই ভাত (অ), হাত (অ), কাজ (অ), ইট (অ), জল (অ), উচ্চারণ করি না। এটা করা হয় ওড়িয়া ভাষায়। বাংলায় বলা হয় ভাত, হাত, কাজ, ইট, জল। এগুলি ধ্বনিলোপেরই দৃষ্টান্ত। শব্দের কোনো ধ্বনি উচ্চারণের সময় বা লিখবার সময় লুপ্ত হলে তাকে ধ্বনিলোপ বলা হয়। ধ্বনিলোপও প্রধান দু-রকম। ক. স্বরধ্বনি লোপ। খ. ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ। ক. স্বরধ্বনি লোপ : স্বরধ্বনি লোপের কতকগুলি উদাহরণ আমরা আগেই দিয়েছি। বাংলা ভাষায় অন্তস্বর লোপের প্রবণতা এত প্রবল যে, তাকে আর পৃথক নিয়মে বাঁধা হয়নি। যদি এর কোনো নামকরণ করতে হয় তবে নাম দেওয়া যেতে পারে অন্তস্বরলোপ। অনেক সময় শব্দের প্রথমের স্বরবর্ণ লোপ হয়। একে বলে স্বরলোপ। অর্থাৎ মূল শব্দের আদি বর্ণ যদি স্বর হয় এবং তা লুপ্ত হয়, তবে সেই রীতিকে স্বরলোপ বলে। যেমন-অতসী > (তসি) তিসি। অলাবু > (লাবু) লাউ। অপিধান > পিধান। অভ্যন্তর > (ভ্যন্তর) ভিতর। উধার > ধার। এনোনা (পোর্তুগিজ শব্দ) নোনা। এ ছাড়া আর-এক রকম স্বরবর্ণ লোপ হয়। সেটা স্বরভক্তির ঠিক বিপরীত। স্বরভক্তিতে শব্দের মধ্যে স্বর আসে, আর এতে শব্দের মধ্যে থেকে স্বর লুপ্ত হয়। বিপ্রকর্ষের সঙ্গে নাম মিলিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ। সব্দের মধ্যস্থিত স্বরধ্বনির লোপ হলে তাকে সম্প্রকর্ষ বলে। জানালা > জানলা ভগিনী > ভগ্নী। নাতনী > নাতনি। বসতি > বস্তি। গৃহিণী > গিন্নি। [এখানে ব্যঞ্জনসংগতিও ঘটেছে।] কাঁচা কলা > কাঁচ্কলা। খ. ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ : ব্যঞ্জনধ্বনির লোপকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। অ. সমাক্ষর লোপ বা সমবর্ণ লোপ। আ. বিষমাক্ষর লোপ বা বর্ণলোপ। অ. সমাক্ষর লোপ : এক শব্দে একই অক্ষর একের বেশিবার থাকলে তাদের একটি লুপ্ত হয়। এই রীতিকে সমাক্ষরলোপ বলা হয়। যেমন- ছোট দিদি > ছোট্দি। ন-দিদি > নদি। মেজকাকা > মেজ্কা। বড়দাদা > বড়্দা ছোটকাকা > ছোট্কা। আ. বিষমাক্ষর লোপ : শব্দমধ্যস্থ কোনো ব্যঞ্জনবর্ন লুপ্ত হলে ওই রীতিকে বর্ণলোপ বা বিষমাক্ষরলোপ বলে। ফাল্গুন > ফাগুন। নবধর > নধর। উদ্ধার > উধার। কুটুম্ব > কুটুম। স্থান > থান। গোষ্ঠ > গোঠ। অশ্বত্থ > অশথ। স্ফটিক > ফটিক। নবনী > ননী। মজদুর > মজুর। বিষমাক্ষরলোপ বা বর্ণলোপের একটা বড়ো অংশ জুড়ে আছে র-লোপ এবং হ-লোপ প্রবণতা। যেমন- র-লোপ : কার্পাস > কাপাস। স্মার্ট > স্মাট। শার্ট > শাট। ফেরু > ফেউ। ই-লোপ : ফলাহার > ফলার। পুরোহিত > পুরুত। গাহিতাম > গাইতাম। সাহু > সাউ। শিয়ালদহ > শিয়ালদা। এবার আমরা এমন দুটি ধ্বনিপরিবর্তন-রীতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি যা বাংলা ভাষার বিবর্তনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন বাংলা থেকে প্রাদেশিক অ আধুনিক বাংলা ভাষা গঠনে এদের কর্মতৎপরতা উল্লেখযোগ্য। এদের নাম অপিনিহিতি ও অভিশ্রুতি। দুটিই স্বরধ্বনিঘটিত পরিবর্তন ঘটায়।