নিমিত্ত কারক
‘জন্য’ অর্থাৎ নিমিত্ত বোঝাতে যে কারক হয়, তাকে নিমিত্ত কারক বলা হয়। নিমিত্ত বোঝাবার জন্যে তরে, জন্যে, জন্য, লাগিয়া (শুধু পদ্যে), লাগি (শুধু পদ্যে), উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্যে ইত্যাদি পদত্ত ব্যবহৃত হয়। যথা- পুত্রের জন্য মা সবকিছু ত্যাগ করলেন। পরের নিমিত্ত কিছু ত্যাগ করলে পূর্ণ হয়। ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’ মানুষের জন্যে মানুষই এগিয়ে আসে। ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।’ ‘শেষের দিনটি ছিল তোমারই লাগি।’ সুভাষচন্দ্র দেশের উদ্দেশে আত্মনিবেদন করেছিলেন। জাতির উদ্দেশ্যে তিনি এই বার্তা পাঠালেন। নিমিত্ত কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ (একবচনে) ১. য় বিভক্তি : সমস্ত সম্পত্তি তিনি জনসেবায় দলেন। একটি গোরুর দুধ তিনি জনসেবায় দিয়ে থাকেন। ২. তে বিভক্তি : জনসেবাতে কিছু দান করব। লেখাপড়াতে কছু খরচ তো হবেই। তিনি লাইব্রেরিতে কিছু বই দেবেন। ব্যাবসাতে আরও কিছু টাকা ঢালব। ৩. এ বিভক্তি : সৎকাজে কিছু খরচ করলাম ৪. কে বিভক্তি : দেশ তোমাকে অনেক দিয়েছে, দেশকে কিছু দিয়ো। ৫. র বিভক্তি : অপর্ণা ভোরবেলা পূজার ফুল তুলল। খাবার বাসনপত্র পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।