ক্রিয়ার কাল
‘পরশু সে চলে গেল।’ এই বাক্যটি থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, চলে যাওয়ার ঘটনা আগে অর্থাৎ অতীতে ঘটেছে। ‘সে আমার বাড়িতে যেত।’ এ বাক্যটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, যাওয়া কাজটি অতীতে হত। যদি বলা যায়, ‘সুমন আমার বাড়ি যাচ্ছে’, অথবা ‘মেনকা পড়তে বসেছে’, তবে ‘যাচ্ছে’, ‘বসেছে’, এইসব ক্রিয়াপদের দ্বরা বোঝা যাবে যে, সব ক টি কাজ এখন বা বর্তমানের। ‘শিপ্রা বিকালে আসবে’-এই বাক্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, আসা কাজটি আগের ব্যাপার নয়, বর্তমানেরও নয় ; এটা পরে অর্থাৎ ভবিষ্যতে ঘটবে। সুতরাং এই আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ক্রিয়ার আকৃতি দ্বারা অতীতের, বর্তমানের এবং ভবিষ্যতের সময় বুঝতে পারা যায়। ক্রিয়া যে সময় ঘটে, তাকে ক্রিয়ার কাল বলে। ক্রিয়ার কাল তিন প্রকার-অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। কাল অনুযায়ী ধাতু-বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়ার যে আকৃতি হয়, তাকে ক্রিয়ার রূপ বলে।