যৌগিক বাক্য
(১) রাম বুদ্ধিমান কিন্তু শ্যাম নির্বোধ।
(২) শুভ গান গাইছিল কিন্তু শ্রোতারা ঢুকছিল।
(৩) পরগাছার জল ও মাটির প্রয়োজন হয় না।
(৪) লোকটা মূর্খ কিন্তু হৃদয়বান।
(৫) তিনি ভরসা দিলেন তবু আমার সাহস হল না।
(৬) এখন এসো নচেৎ তার দেখা পাবে না।
(৭) মামলা করা উচিত নতুবা টাকা আদায় হবে না।
ওপরের উদাহরণগুলো লক্ষ করলে বুঝবে প্রতিটি বাক্যের মধ্যে দুটি প্রধান খন্ডবাক্য আছে আর এই খন্ডবাক্য দুটি ‘নচেৎ’, ‘নতুবা’, ‘তবু’, ‘ও’ ইত্যাদি সংযোজক দ্বারা যুক্ত হয়ে এটাকে বাক্যে পরিণত হয়েছে। তাহলে যৌগিক বাক্য কাকে বলে ? এক বা একাধিক সরল বাক্য বা স্বনির্ভর বাক্য সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয় দিয়ে গঠিত হলে তাকে বলা হয় যৌগিক বাক্য।
যৌগিক বাক্য গঠনের শর্ত :
সংযোজক > এবং, ও, আর ইত্যাদি।
বিয়োজক > অথবা, বা, কিংবা ইত্যাদি।
ব্যবস্থাত্মক > সুতরাং, এইজন্য/এজন্য সেইজন্য/সেজন্য ইত্যাদি।
প্রতিপাক্ষিক > কিন্তু, অথচ, তবু ইত্যাদি।
ওপরের অব্যয়গুলো দিয়ে যৌগিক বাক্য করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ওপরের কোনো অব্যয় দ্বারা যুক্ত না হয়েও যদি পদগুলোর মধ্যে বস্তুগত পার্থক্য বিদ্যমান থাকে, তাহলেও পদগুলো বিভক্তিযুক্ত হবে।
যেমন- ‘ও কথা বোলো না, তাহলে আমি ধনে প্রাণে মারা যাব।’
এখন ‘ধনে প্রাণে’ অর্থাৎ ধনে ও প্রাণে ‘ও’ নামক সংযোজকটি ঊহ্য থাকলেও পদ দুটি বিভক্তি যুক্ত রয়েছে।