বিশেষণের স্ত্রী-লিঙ্গ
সংস্কৃত ভাষায় এই নিয়ম যে, বিশেষ্যের যে লিঙ্গ, বিশেষণেরও সেই লিঙ্গ হবে। যেমন, সুন্দরী বালিকা। ‘বালিকা’ বিশেষ্য পদ এবং স্ত্রীলিঙ্গ। তার বিশেষণও ‘সুন্দর’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ অর্থাৎ ‘সুন্দরী’ করা হল। বাংলায় অবশ্য এই নিয়ম পুরোপুরি মানা হয় না। ‘মেয়েটি বেশ সুন্দর’ এরকম লিখলে বাংলায় ভুল ধরা হয় না। তবে ভাষার গাম্ভীর্য এবং সৌন্দর্যের জন্যে অনেকসময় বাংলায়ও বিশেষণ পদের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন যোড়শী কন্যা, ছলনাময়ী নারী, সুকেশা রমণী ইত্যাদি। এ-জাতীয় ব্যবহার সংস্কৃত ভাষা থেকেই এসেছে।