একবচন
ছেলেটি এসেছিল। বালকটি চলে গেল। মেয়েরা ঠাকুর দেখতে যাবে। তারা এখনই আসবে।
এই বাক্যগুলিতে ‘ছেলেটি’, ‘বালকটি’, ‘মেয়েরা’ এই তিনটি পদ বিশেষ্য। ‘তারা’ পদটি সর্বনাম। ‘ছেলেটি’ এবং ‘বালকটি’ এই দুটি পদই একটিমাত্র ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে। যে বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ এক বা বহু বোঝায়, তাকে বচন বলে। যে বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ একটি বা বহু সংখ্যা বোঝাচ্ছে, তাকে বচন বলে।
বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ একটি ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তু বোঝালে একবচন হয়। বহু ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তু বোঝালে বহুবচন হয়।
একবচনের উদাহরণ :
মানুষ, মেয়েটি, একটি, ফুল, খাতাটি, গাছ, চাদরখানি, মাদুরখানা, আমাকে দিয়া, তোর, ইত্যাদি।
বহুবচনের উদাহরণ :
মানুষগুলি, নদীসমূহ, আমগুলি, মেয়েরা, তরকারিগুলো, বালকবৃন্দ, আমাদের, আপনাদিগকে (সাধুভাষায়), ইত্যাদি।
একবচন বোঝাবার নিয়ম
(১) সংখ্যাবাচক বিশেষণ : ‘এক’, ‘একটি’, ইত্যাদি আগে বসিয়ে অনেক সময় একবচন বোঝানো হয়। যথা- একটা কোদাল, একটি ছেলে, একজন, এক মাস, একটা কলম।
(২) টা, টি, খানা, খানি, গাছা, গাছি ইত্যাদি বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে যুক্ত করে এনেক সময় একবচন বোঝানো হয়। যথা-বইটা, ছেলেটি, ছেলেটা, টেবিলটা, এইটি, কাপড়খানা, নাটকখানি, লাঠিগাছা, দড়িগাছা ইত্যাদি। সাধারণত অবজ্ঞা বা তুচ্ছ ভাব বোঝালে ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর নামের সঙ্গে ‘টা’ যোগ করা হয়। আদরের ভাব বোঝালে ‘টি’ যুক্ত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে, অল্পবয়স্কদের বেলাতেই ‘টি’ যুক্ত হয়। যেমন-মেয়েটি, ছেলেটি, শিশুটি।
(৩) শুধু শব্দটি উল্লেখ করেই অনেক সময় একবচন বোঝানো হয়। যেমন-বই পড়ো, জামা দাও, কাপড় পারো, মশারি খাটাও।
(৪) বিভক্ত বা অনুসর্গ ব্যবহার করে অনেক সময় একবচন বোঝাচ্ছে হয়। যেমন-আমাকে দাও। আমার জন্যে রান্না করো। তোকে দিইয়ে কাজ হবে না। তার সঙ্গে যাবো। ছাদ থেকে পড়ছে। বাটিতে জল আছে। (বাক্যগুলিতে আমাকে, আমার, তোকে, তার, ছাদ ইত্যাদি একবচন।)