ক্রিয়ার ভাব
ক্রিয়ার ভাব তুমি দেখেছিলে। তারা বলুক। যদি বলে, তবে শুনব। প্রথম বাক্যে ক্রিয়াপদটি সাধারণ একটি ঘটনা নির্দেশ করছে। দ্বিতীয় বাক্যে অবুজ্ঞা (অর্থাৎ আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ বা অনুমতি) বোঝাচ্ছে। তৃতীয় বাক্যে ক্রিয়াপদটি যেন ঘটান্তর অর্থাৎ অন্য ঘটনার জন্য অপেক্ষিত (অর্থাৎ নির্ভর করছে)। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ক্রিয়ার কাজের মধ্যে ক্রিয়ার বিভিন্ন ধরনের মেজাজ বা রীতি থাকে। এই বৈশিষ্ট্যকে ক্রিয়ার ভাব (Mood) বলে। যে বিশেষত্ব দ্বারা ক্রিয়া সম্পন্ন হবার বিশেষ রীতি বা প্রকার বোঝায়, তাকে ক্রিয়ার ভাব বলে। ভাব তিন প্রকার- (১) নির্দেশক, (২) অনুজ্ঞা, (৩) ঘটনান্তরাপ্রেক্ষিত। (ইংরেজিতে এগুলি যথাক্রমে Indicative, Imperative ও Subjunctive) (১) ক্রিয়া যদি কোনো বিবরণ প্রকাশ করে, বা প্রশ্ন করে বা সত্য অনুমান প্রকাশ করে, তবে ক্রিয়ার ভাবকে নির্দেশক ভাব বলা হয়। যথা-আমি যাব। (বিবরণ প্রকাশ) তুমি গিয়েছিলে? (প্রশ্ন) চোর হলে সে শাস্তি পাবে। (সত্য অনুমান প্রকাশ)। (২) ক্রিয়া যদি আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ বা অনুমতি বোঝায়, তবে ক্রিয়ার ভাবকে অনুজ্ঞা ভাব বলা হয়। যথা- আপনি চলুন। (আদেশ) দয়া করে আসুন। (অনুরোধ) তুমি বরং এখন যাও। (উপদেশ) বেশ, তুমি যাও। (অনুমতি) (৩) ক্রিয়া যদি অন্য বিপরীত অবস্থা বোঝায়, বিপরীত অনুমান বোঝায় অথবা যদি অসম্ভব ইচ্ছা বোঝায়, তবে ক্রিয়ার ভাবকে ঘটনান্তরাপ্রেক্ষিত ভাব বলা হয়। যথা- যদি সে আসত তবে যেতাম। (বিপরীত অবস্থা) প্রধানমন্ত্রী হলে, এ অপমান সহ্য করতাম না। (বিপরীত অনুমান ) আহা, যদি কাল আসতে! (ইচ্ছা)