অনুসর্গ
অনুসর্গও উপসর্গের মতো এক ধরনের বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি। এগুলির অর্থ থাকতেও পারে না থাকতেও পারে। যদি থাকে তবে শব্দটি অনুসর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার সময় তার মৌলিক অর্থটি ত্যাগ করে। অর্থাৎ তখন সে শব্দটিও প্রকৃতপক্ষে অর্থহীন হয়ে যায়। এই অর্থহীন ধ্বনিগুলি যোগ হয় শব্দের শেষে। ‘উপসর্গ’ ও ‘অনুসর্গ’ শব্দ দুটির ধ্বনিগত সাম্য ছাড়া দুয়ের মধ্যে আরও কোনো মিল নেই। উপসর্গের মূল বৈশিষ্ট্য দুটি। ১. এগুলি শব্দের আগে যুক্ত হয়। ২. এগুলি শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। কিন্তু অনুসর্গ ১. বসে পৃথকভাবে, শব্দের পরে। ২. যে শব্দের পরে বসে, অনুসর্গ সেটির সঙ্গে ক্রিয়ার সম্পর্ক নির্ধারণ করে। তা আদৌ নতুন শব্দ গঠন করে না। যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে পৃথকভাবে বসে বিভক্তির মতোই শব্দটির সংখ্যা ও কারক নির্দেশ করে, তাদের অনুসর্গ বা বিভক্তিসদৃশ অব্যয় বলে। বিভক্তির বদলে ব্যবহৃত হয় বলে এর অন্য নাম কর্মপ্রবচনীয়। আবার শব্দের শেষে যুক্ত হয় বলে একে পরসর্গও বলা হয়ে থাকে।