আসক্তি
(১) দেবেন দেখলে তিনি তোমাকে কান্ডটি বকুনি এসে।
(২) হয়েছিলাম আমি আচরণে ক্রুদ্ধ তাঁর অত্যন্ত।
(৩) তালেই মেলাম বিনা তাল বাঁচি নাচি তো।
(৪) ঝগড়া চালে শালিক করে তিনটে রান্নাঘরের।
(৫) তুমি দুজনেই গিন্নি তোমারা আর এসো।
(৬) রানু বাড়ি বলল যে বাপের যাবে না সে।
উপরের বাক্যগুলো ভালো করে পড়লে দেখা যাবে বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোকে উপযুক্ত স্থানে সংস্থাপন করা হয়নি। তাই অর্থ সুষ্পষ্ট নয় এবং এগুলি বাক্যও নয়।
এবার অর্থসংগতি বজায় রেখে বাক্যগুলিকে সাজালে কী হবে, তা লক্ষ করো। ‘দেবেন দেখলে তিনি তোমাকে কান্ড বকুনি এসে’-এতে বাক্যের সব পদই আছে, কিন্তু নৈকট্যের গোলমালে বাক্য হয়নি।
পদগুলো ঠিকমতো সাজালেই বাক্য হবে-‘তিনি এসে কান্ডটি দেখলে তোমাকে বকুনি দেবেন।’
তেমনি ওপরের উদাহরণ অনুযায়ী দেখো-
‘আমি তাঁর আচরণে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম ।’ ‘বিনা তালেই নাচি, তাল পেলাম তো বাঁচি ।’ ‘তিনটি শালিক ঝগড়া করে রান্নাঘরের চালে ।’ ‘তুমি আরও তোমার গিন্নি দুজনেই এসো ।’ ‘রানু বল যে সে বাপের বাড়ি যাবে না ।’
এরকম ভাবে পদগুলি অর্থ-সংগতিকে বজায় রেখে বাক্য তৈরি করতে হবে।
তাহলে আসক্তি কাকে বলব?
ভাষার নির্দিষ্ট পদক্রম অনুযায়ী পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত পদগুলোর নিকটে থাকার ভাবকে আসত্তি বা নৈকট্য বলে।