আকাঙ্ক্ষা
(১) ‘আমাদের অধিকাংশ মানুষ’
(২) ‘পাপিয়া চন্দ্রাণীকে’
(৩) ‘সে গান’
(৪) ‘বিদ্যাসাগর ছিলেন’
(৫) ‘আমি গিয়ে দেখলাম’
(৬) ‘অত শত ভালো ভালো’
(৭) ‘যখন তুমি চলে’
উপরের উদাহরণগুলো খুব ভালো করে পড়লে দেখতে পাবে কোনো বাক্য সম্পূর্ণ নয়। আরও জানবার আগ্রহ জন্মায়। শ্রোতার মনে প্রশ্ন জাগে, তারপর ? তখন শ্রোতার আগ্রহ বা আকাঙ্ক্ষাকে তৃপ্তি দেবার জন্য কিছু বলতে হয়।
যেমন-‘আমাদের অধিকাংশ মানুষ’ বক্তা যদি এই পর্যন্ত বলে থাকেন, তবে শ্রোতার ও বক্তার উভয়েরই মনে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি ঘটে না, এই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করার জন্য বক্তা যখন বলেন ‘দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করেন’-তখনই আকাঙ্ক্ষা নিবৃত্ত করল।
তাহলে আকাঙ্ক্ষা কাকে বলব?
বাক্যের পদগুলো যদি বাক্যটির বিষয়ে বক্তা ও শ্রোতার চাহিদা অথবা কৌতূহল সম্পূর্ন মেটাতে পারে তবে পদগুলোকে আকাঙ্ক্ষা বলা হয়।
যেমন-‘আমি গিয়ে দেখলাম’ বললে শ্রোতার মনে ‘কী দেখলাম’ তা জানার আকাঙ্ক্ষা হয়। শ্রোতার এই না মেটা কৌতুহল- এটাকেই বলা চলে আকাঙ্ক্ষা।
‘আমি গিয়ে দেখলাম যে তার সব কাজ করা হয়ে গেছে’-এই বাক্যে আকাঙ্ক্ষা সবটাই মিটে যায়।