নবীকরণযোগ্য সম্পদ
নবীভবনযোগ্য সম্পদ :
নবীভবনযোগ্য সম্পদের মধ্যে অরণ্যসম্পদ (Forest resources), জলসম্পদ (water resources), অচিরাচরিত শক্তি সম্পদ (non-conventional energy resources), মৎস্য সম্পদ (Fish resources), বন্য প্রজাতি (Wildlife resources) সম্পদকে চিহ্নিত করতে পারি । মানুষের চাহিদা, লোভ, অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ ব্যবহার এবং সংরক্ষণ ও পুনরুৎপাদনের বিষয়ে নির্লিপ্ততা এই সম্পদের সমস্যা তৈরি করেছে ।
অরণ্যসম্পদ : একটি ভূখন্ডের 33% বনাঞ্চল থাকলে পরিবেশের ভারসান্য বজায় থাকে । কিন্তু নগরায়ণ, শিল্পায়ন, বাসস্থান ও রাস্তা নির্মাণ এবং ব্যক্তিগত নানা কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে । কিন্তু বনসৃজন প্রকল্প প্রয়োজনানুসারে সীমিত ।
জলসম্পদ : ক্রমাগত ভূগর্ভের জল উত্তোলনের কারণে, বৃষ্টির জল সংগ্রহ প্রকল্প গ্রহণ করার ফলে ব্যবহার্য জলের পরিমাণ কমে আসছে । আগামীদিনে জলসমস্যা এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে, কারণ ভূগর্ভের জলস্তর ক্রমশ নেমে যাচ্ছে ।
মৎস্যসম্পদ : জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে মৎস্য সংগ্রহের হার বৃদ্ধি পেলেও মৎস্য উৎপাদনের সুপরিকল্পিত রূপরেখা তৈরি হয়নি । এছাড়া কৃষিক্ষেত্রের এবং শিল্পক্ষেত্রের দূষণ জলকে নানাভাবে দূষিত করছে । এতে জলজ প্রাণী হিসাবে মৎস্যও বিপদের সম্মুখীন হয়েছে ।
বন্য প্রজাতি সম্পদ : অতিরিক্ত ব্যবহার বা হত্যার কারণে বন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী বিপন্ন । ইতিমধ্যে বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে ।
অচিরাচরিত শক্তি সম্পদ : সূর্যালোক, বায়ু, জোয়ারভাটা, ভূগর্ভস্থ তাপকে শক্তিসম্পদ হিসেবে গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ছে । কিন্তু এইসমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে শক্তি আহরণের প্রক্রিয়া সহজলভ্য না হওয়ায় এদের ব্যাপক প্রসার ঘটেনি । সীমিত স্থানে এইসমস্ত প্রকল্প গৃহীত হলেও তা সার্বজনীন নয় ।