ভূমিকা
ভূমিকা
পৃতিবিতে জীবেদের বাসস্থান নির্দিষ্ট । জীবেদের পরিবেশ গিড়ে ওঠে এই বাসস্থানকে কেন্দ্র করেই । জীবজগতের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নিগূঢ় হওয়ায় তাদের মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য বজায় থাকে । সজীব পদার্থ এবং পরিবেশের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা গড়ে ওঠে । সজীব পদার্থ পরিবেশ থেকে তাদের প্রয়ীজনীয় রসদ সংগ্রহ করে আবার বিভিন্ন উপায়ে গৃহীত রসদকে পরিবেশে ফিরিয়ে দেয় । এইভাবে পদার্থের দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে মিথোস্ক্রিয়া বা আন্তঃসম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীব ও তার পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বা আন্তঃসম্পর্ক আলোচিত হয় তাকে বলে ইকোলজি (Ecology) ।
ইকোলজি শব্দটি গ্রীক শব্দ ‘ঐকস’ (Oikos = বাসস্থান) এবং ‘লোগোস’ (Logos= জ্ঞান) এই দুই শব্দের মিলনে উৎপন্ন হয়েছে ।
ইকোলজির কার্যকরী একক হল ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র । বিজ্ঞানী ট্যানসলে (Tanslay) 1935 খ্রিস্টাব্দে ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ।
ইকোসিস্টেমের সংজ্ঞা (Definition of Ecosystem)
ট্যানসলে (Tanslay, 1935), ক্লার্ক (Clark, 1954), ওডাম (Odum, 1962), প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ বিভিন্নভাবে ইকোসিস্টেমের সংজ্ঞা দিয়েছেন ।
1.একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানের জীবদের সঙ্গে ওই স্থানের জড় উপাদাগুলির আন্তঃবিক্রিয়ার ফলে যে বসবাসরীতি ও উপযোগী সংগঠন গড়ে ওঠে তাকে বাস্তুতন্ত্র বলে ।
2.সমগ্র সজীব পদার্থ এবং পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের (জল, মাটি, বায়ু, আলো বা শক্তি) মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াকে বা আন্তঃবিক্রিয়াকে বাস্তুতন্ত্র বলে ।
উদাহরণ ঃ বাস্তুতন্ত্রের উদাহরণ হল-পুকুরের বাস্তুতন্ত্র, বনভূমি বা তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র ইত্যাদি ।