পরিবেশ দূষণ
পরিবেশ দূষক
সজীবতার ভিত্তিতে পরিবেশ দূষক দুইভাগে ভাগ করা যায়—
- (i) জৈব দূষক এবং
- (ii) অজৈব দূষক।
(1) জৈব দূষক :
- জীবকণা, জীবাণু বা জীবজাত যে সমস্ত পদার্থ পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করে তাদের জৈব দূষক বলে।
- যেমন—ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া, ছত্রাক (fungi), শৈবাল (Algae), পরাগরেণু (Pollan grains) দূষিত রক্ত, পূজ, রক্তজাত দ্রব্য, সংক্রামক থুতু, মলমূত্র, বীর্য ইত্যাদি।
(2) অজৈব দূষক :
- প্রাকৃতিক কারণে কিংবা শিল্প ও কলকারখানা থেকে ভোগ্যপণ্য সৃষ্টির কারণে উৎপন্ন ক্ষতিকারক অজৈব কণা, গ্যাস ইত্যাদিকে অজৈব দূষক বলে।
- যেমন—CO2, SO2, No, N2 O, NO2, CH4, ভাসমান সূক্ষ্মকণিকা (SPM), সীসা, CO, ধূলিকণা, ফোম, স্প্রে, কীটনাশক দ্রব্য, আর্সেনিক, প্লাস্টিক, পলিথিন, ফ্লুওরাইড, ক্যাডমিয়াম, পারদ, ইউরেনিয়াম, বেরিয়াম, ক্রিপটন ইত্যাদি। এদেরকে প্রদূষক বলা যায়।
আবার ওডামের মতে দূষকের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে দূষককে দুইভাগে ভাগ করা হয়।
- (1) ভঙ্গুর বা জীব-বিশ্লেষ্য দূষক (Bio- degradable pollutant) এবং
- (2) অভঙ্গুর বা জীব-অবিশ্লেষ্য দূষক (Non-bio-degradable pollutant)।
(1) ভঙ্গুর বা জীব-বিশ্লেষ্য দূষক
- যেসব দূষক পদার্থের প্রাকৃতিক পরিবেশে সহজেই ভগ্নদশা দেখা যায় অর্থাৎ বিয়োজক দ্বারা যারা সহজে বিয়োজিত হয় এবং পরে ক্ষতিকারক বস্তুরূপে কাজ করে না তাকে ভঙ্গুর দূষক বলে।
- যেমন—গ্রাম ও শহরের নোংরা আবর্জনা, কাগজ, খাদ্যবস্তু, সবজি, মাছের পরিত্যক্ত আঁশ ইত্যাদি।
(2) অভঙ্গুর বা জীব-অবিশ্লেষ্য দূষক
- যেসব দূষক পদার্থ প্রাকৃতিক পরিবেশে বিয়োজিত হয় না বা হলেও খুব ধীরগতিতে হয় এবং পরে ক্ষতিকারক বস্তুরূপে কাজ করে তাদের অভঙ্গুর দূষক বলে।
- যেমন—DDT, প্লাস্টিক, ফেনল, পারদ ইত্যাদি।
প্রগৌণ দূষক (unconventional pollutant) :
- যে সমস্ত দূষক পদার্থের কোনো প্রাকৃতিক উৎস নেই, মানুষ তার নানাপ্রকার কাজের মাধ্যমে, যাদের সৃষ্টি করে তাদের প্রগৌণ দূষক বলে।
- যেমন—অ্যাজবেসটস্, পারদ ইত্যাদি।
বিভিন্নপ্রকার দূষণগুলি হল— বায়ুদূষণ, জলদূষণ, মৃত্তিকাদূষণ, সামুদ্রিক দূষণ, শব্দদূষণ, তাপীয় দূষণ, তেজস্ক্রিয়দূষণ ইত্যাদি।