সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
সম্পদের শ্রেণিবিভাগ :
(A) সম্পদের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে :
(1) জৈব সম্পদ (Biotic resources) : বায়োস্ফিয়ার থেকে জৈব সম্পদ পাওয়া যায় । এদের মধ্যে নবীভবনযোগ্য জৈব সম্পদ হল উদ্ভিদ ও প্রাণী । অনবীভবনযোগ্য জৈব সম্পদ হল-কয়লা, পেট্রোলিয়াম, খনিজ তেল । সুতরাং জৈববস্তু ও জৈববস্তুজাত সমস্ত সম্পদের জৈব সম্পদ বলা যায় । কয়লা, খনিজ তেল জীবদেহ থেকে তৈরি, তাই এরা জৈব সম্পদ ।
(2) অজৈব সম্পদ (Abiotic resources) : ধাতব খনিজ পদার্থ, মাটি, জল প্রভৃতিকে অজৈব সম্পদ বলা হয় । প্রাকৃতিতে প্রাণহীন পদার্থগুলিকে অজৈব সম্পদের মধ্যে ধরা যায় ।
(B) সম্পদ সৃষ্টির উপাদান অনুসারে :
(1) প্রাকৃতিক সম্পদ : মৃত্তিকা, জলবায়ু, নদী, অরণ্য হল প্রাকৃতিক সম্পদ ।
(2) মানবিক সম্পদ : জনবসতি, কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বলা হয় মানবিক সম্পদ ।
(3) সাংস্কৃতিক সম্পদ : বিজ্ঞানচেতনা, শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতাকে ও আচার-আচরণকে সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয় ।
(C) সম্পদের স্থায়িত্ব অনুসারে :
(1) গচ্ছিত বা ক্ষয়িষ্ণু বা অপুনর্ভব/অনবীকরণযোগ্য সম্পদ : এই প্রকার সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারে নিঃশেষিত হয়ে যায় । কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদি ।
(2) প্রবহমান বা অক্ষয়িষ্ণু বা পুনর্ভব/নবীকরণযোগ্য সম্পদ : এই প্রকার সম্পদকে পরিকল্পিতভাবে অনন্তকাল ধরে ব্যবহার কয়া যায় । জল, আলো, বাতাস, জলবিদ্যুৎ, বনভূমি ইত্যাদি ।
(3) আবর্তনীয় সঞ্চিত সম্পদ : সীমিত ভান্ডারের এই সম্পদগুলিকে পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা যায় । যেমন-লোহা, আকরিক, সোনা ইত্যাদি ।