উপরাষ্ট্রপতি (Vice President)
পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের সদস্যদের নিয়ে গঠিত নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা সমানানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি অনুসারে একক হস্তান্তর যোগ্য ভোটের মাধ্যমে গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে মনোনীত সদস্যগণও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত বিতর্ক ও বিরোধ নিষ্পত্তি করার অধিকার একমাত্র সুপ্রিমকোর্টের আছে।
যোগ্যতামান (Qualification)
- (ক) ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- (খ) তাঁর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হতে হবে।
- (গ) প্রার্থীর রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হবার যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
- (ঘ) তিনি রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল অথবা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য মন্ত্রী পদে ছাড়া অন্য কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল পাঁচ বছর। তিনি পুননির্বাচিত হতে পারেন।
এই নির্ধারিত কালের আগেও তাঁর মেয়াদ শেষ হতে পারে যদি তিনি পদত্যাগ করেন অথবা তাঁকে অপসারণ করা হয়। রাজ্যসভায় যদি তাঁর অপসারণের জন্য সদস্যদের সংখ্যাধিক্যে একটি সংকল্প গ্রহণ করা হয় এবং লোকসভা যদি সেই সংকল্প সমর্থন করে তাহলে তাঁকে অপসারণ করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রপতির পরে উপরাষ্ট্রপতিই ভারতের সর্বোচ্চ পদাধিকারী।
উপরাষ্ট্রপতির কোনো নির্দিষ্ট কর্তব্যকর্ম না থাকলেও তিনি পদাধিকার বলে রাজ্যসভার সভাপতি হন। যেহেতু তিনি রাজ্যসভার সদস্য নন, তাই তাঁর ভোট দেবার কোনো অধিকার নেই।
ভারতের উপরাষ্ট্রপতিগণ (Vice-President of India) | ||
---|---|---|
নাম | কার্যকাল | |
হতে | পর্যন্ত | |
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন | ১৯৫২ | ১৯৬২ |
ডঃ জাকির হোসেন | ১৯৬২ | ১৯৬৭ |
ভি.ভি.গিরি | ১৯৬৭ | ১৯৬৯ |
বালস্বরূপ পাঠক | ১৯৬৯ | ১৯৭৪ |
ডঃ এম. জাত্তি | ১৯৭৪ | ১৯৭৯ |
জাস্টিস মহম্মদ হেদায়েতুল্লাহ | ১৯৭৯ | ১৯৮৪ |
এস. ভেঙ্কটরামন | ১৯৮৪ | ১৯৮৭ |
ডঃ শঙ্কর দয়াল শর্মা | ১৯৮৭ | ১৯৯২ |
কে. আর. নারায়ণন | ১৯৯২ | ১৯৯৭ |
কৃষ্ণ কান্ত | ১৯৯৭ | ২০০২ |
ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াত | ২০০২ | ২০০৭ |
হামিদ আনসারি | ২০০৭ | ২০১৭ |
ভেঙ্কাইয়া নাইডু | ২০১৭ | ২০২২ |
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে কোনো বেতন পাবার অধিকারী নন, কিন্তু তিনি রাজ্যসভার সভাপতি হিসাবে বেতন ও ভাতা পাবার অধিকারী।
সমস্ত বিল, সংকল্প বা প্রস্তাব তাঁর সম্মতি ছাড়া রাজ্যসভায় উত্থাপন করা যায় না।
যদি রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তাহলে রাষ্ট্রপতির কর্ম সম্পাদন করেন। নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির কার্য সম্পাদন করবেনঃ
- (ক) রাষ্ট্রপতির মৃত্যু
- (খ) রাষ্ট্রপতির ইস্তফা দান
- (গ) রাষ্ট্রপতির অপসারণ
- (ঘ) অনুপস্থিতি, অসুস্থ্যতা বা অন্য কোনো কারণে যখন রাষ্ট্রপতি কর্মসম্পাদনে অপারগ হন।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করার সময় তিনি রাজ্যসভার সভাপতি হিসাবে কর্মসম্পাদন করতে পারবেন না এবং রাজ্যসভার সভাপতি হিসাবে বেতন পাবার অধিকারী নন। উক্ত সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতির জন্য বরাদ্দ বেতন ও ভাতা পাবার অধিকারী।
বর্তমান বেতন প্রতিমাসে ১,২৫,০০০টাকা। পেনশন বেতনের ৫০ শতাংশ।