logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের সংবিধান

সংবিধান গঠন
সংবিধান গঠন গণ পরিষদ সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সংবিধানের রুপান্তর ইস্ট ইন্ডিয়া শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ভারত শাসন আইন সংবিধান বিধিবদ্ধ করণ সংবিধানের প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার কেন্দ্র-সুপ্রিমকোর্ট ঃ বিবদমান দুই সংস্থা সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সংবিধানের তপশিল সমূহ সাম্যের অধিকার স্বাধীনতার অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার আজ্ঞালেখ এর প্রকারভেদ রাষ্ট্র পরিচালনের নির্দেশ মূলক নীতি মৌলিক কর্তব্য সমূহ ভারত ভূখণ্ড ও তার সীমানা রাজ্য পুনর্গঠন নাগরিকত্ব সংবিধানের ভাগ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা জরুরি ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের সম্পর্ক উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ পার্লামেন্ট লোকসভার স্পিকার রাজ্যসভা ভারতের রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রাজ্য সভার ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য শাসনব্যবস্থা রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভা বিধান পরিষদ বিধানসভা হাইকোর্ট নিম্ন আদালত কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ইউ. পি. এস. সি ক্যাগ অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল অর্থ কমিশন পঞ্চায়েতি রাজ জাতীয় প্রতীক চিহ্ন জাতীয় প্রতীক জাতীয় পতাকা জাতীয় স্তবগান জাতীয় সংগীত মর্যাদা পদের সারণি সংবিধান সংশোধন সংবিধান সংশোধনগুলির তালিকা

স্বাধীনতার অধিকার (Right to Freedom)


অনুচ্ছেদ ১৯- বাক্‌ স্বাধীনতা ও অন্যান্য অধিকারের রক্ষাকবচ-এটি ভারতের নাগরিকদের নিম্নলিখিত ছয়টি অধিকার সুনিশ্চিত করেছে-

  • ১. বাক্‌ স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা

  • ২. সমাবেশের স্বাধীনতা

  • ৩. সংঘ গঠনের স্বাধীনতা

  • ৪. চলাচলের স্বাধীনতা

  • ৫. অধিবাস বা স্থায়ীভাব বসবাসের স্বাধীনতা

  • ৬. বৃত্তি, পেশা, বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের স্বাধীনতা।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা- ভারতীয় সংবিধানে আলাদাভাবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বকা হয়নি। কিন্তু এর ধারণা অনুচ্ছেদ ১৯-এ আছে। যে সমস্ত বিধিনিষেধ একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই সমস্ত বিধিনিষেধ সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


অনুচ্ছেদ ২০- কোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে সংরক্ষণ প্রদান-

  • কোনো ব্যক্তিকে কোনো অপরাধে অপরাধী বলে সাব্যস্ত করা যাবে না যদি না সে কাজ করার জন্য অপরাধ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেই কাজ করার সময় বলবৎ কোনো আইন সে লঙ্ঘন করে থাকে, আবার অপরাধ করার সময় বলবৎ বিধি অনুযায়ী যে দণ্ড দেওয়া যেতে পারত তার চেয়ে বেশি দণ্ডও দেওয়া যাবে না। কাজেই, আইন সভাকে ভূতাপেক্ষ দাণ্ডিক বিধি প্রণয়নে নিষেধ করা হয়েছে।

  • একই অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিক বার অভিযুক্ত এ দণ্ডিত করা যাবে না। (দ্বিতীয় শাস্তি)

  • কোনো অপরাধের জন্য অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষী হতে বাধ্য করা যাবে না। আইন অনুযায়ী, বিচার ব্যবস্থার দ্বারা রাষ্ট্রকেই প্রমাণ করতে হয় যে কোনো ব্যক্তি দোষী, তা না হলে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে নির্দোষ ধরা হয়। তাই তাকে কোনো স্বীকারোক্তির জন্য বাধ্য করা যায় না।


অনুচ্ছেদ ২১

  • জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার রক্ষাকবচ আইনসংক্রান্ত পদ্ধতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ।

  • ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বন্দিপ্রদর্শন (হেবিয়াস কর্পাস)নামক একটি বিচার বিভাগীয় আজ্ঞা লেখ (রিট)দ্বারা সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে (অনুচ্ছেদ ৩২ এবং ২২৬)।

  • ২০০২ সালে ৮৬ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে একটি অনুচ্ছেদ ২১-ক যোগ করা হয়েছে যাতে ৬বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

(A)কর্মচারীদের স্বাস্থ্য রক্ষার অধিকার

(B)গোপনীয়তার অধিকার

(C) মর্যাদাসহকারে বাঁচার অধিকার

(D) বেতনদান আইনি সাহায্য লাভের অধিকার


অনুচ্ছেদ ২২

  • ব্যক্তিকে যথেচ্ছভাবে গ্রেপ্তার ও আটক নিষিদ্ধ-গ্রেপ্তার হয়েছে এমন ব্যক্তিকে তার গ্রেপ্তারের কারণ না জানিয়ে আটক রাখা যাবে না। কোনো গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে তার পছন্দমতো আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার ও তার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেপ্তারিকৃত ও আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যেতে যে সময় লাগে সেই সময় বাদ দিয়ে গ্রেপ্তার থেকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করতে হবে ও ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে উক্ত সময়সীমার বেশি আটক রাখা যাবে না।

  • এই রক্ষাকবচ অবশ্য কোনো বিদেশী শত্রু এবং নিবর্তনমূলক আটকের বিধান আছে এমন আইনে গ্রেপ্তার বা আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

  • নিবর্তনমূলক আটক কথাটির অর্থ হল কোনো ব্যক্তিকে বিনা বিচারে আটক রাখা। এই আইনের উদ্দেশ্য কোনো অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয় নয়, কোনো ব্যক্তিকে কোনো অপরাধজনক কাজ থেকে নিবৃত্ত করা। সরকার নিবর্তনমূলক আটক বিধিতে কোনো ব্যক্তিকে মাত্র দুই মাসের জন্য আটক রাখতে পারে। তার বেশি আটক রাখার জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে।

  • নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে সর্বাধিক কতদিন আটক রাখা যেতে পারবে তা আইন দ্বারা স্থির করার ক্ষমতা সংসদের আছে।

  • সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটির সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি তাঁদের নির্বাচিত করেন।


শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার

অনুচ্ছেদ ২৩- মানুষ পাচার ও জোরপূর্বক শ্রমগ্রহণের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ-মানুষ পাচার এবং বেগার খাটানো বা কোনো জোরপূর্বক শ্রম দিতে কাউকে বাধ্য করা নিষিদ্ধ হল ও এই বিধান কোনো ভাবে লঙ্ঘিত হলে তা বিধি অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।

অনুচ্ছেদ ২৪- কারখানায় শিশুদের নিযুক্ত করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা-চোদ্দো বছরের কম বয়সের কোনো শিশুকে কোনো শিশুকে কোনো কারখানায় অথবা খনিতে বা কোনো বিপজ্জনক কর্মে নিযুক্ত করা যাবে না।