সংবিধানের বিধিবদ্ধকরণ (Enactment of the Constitution)
খসড়া কমিটি সংবিধানের একটি খসড়া প্রস্তুত করেন এবং ১৯৪৮ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি মাসে তা জনসাধারণের মতামত ও প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য প্রকাশ করা হয় (প্রথম পাঠ)। এই বিষয়ের উপর সংবিধান সভার সাধারণ আলোচনা হয়েছিল যা পাঁচদিন ধরে চলেছিল।
খসড়া সংবিধানের উপবন্ধগুলি নিয়ে বিচার-বিবেচনা করার জন্য ১৯৪৮ সালের ১৫ই নভেম্বর সংবিধান সভার পরবর্তী বৈঠক বসে (দ্বিতীয় পাঠ)। এই পর্বে ৭৬৫৩টি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়, যার মধ্যে ২৪৭৩টি সংবিধান সভায় আলোচনা হয়।
তৃতীয় পাঠের জন্য সংবিধান সভার বৈঠক শুরু হয় ১৯৪৯ সালের ১৪ই নভেম্বর এবং শেষপর্যন্ত এটি ২৬শে নভেম্বর ১৯৪৯ সালে গৃহীত হয়। সংবিধান সভার সর্বশেষ অধিবেশন বসে ১৯৫০ সালের ২৪শে জানুয়ারি সেখানে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদকে সর্বসম্মতভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। গণপরিষদ বা সংবিধান সভার ২৪৮ জন সদস্য ভারতীয় সংবিধানের সরকারি নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয় এবং ওই দিনটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে খ্যাত ও উৎজাপিত হয়।
একটি প্রস্তাবনা, ৩৯৫টি অনুচ্ছেদ (আর্টিকেল) ও ৮টি তপশিল (সিডিউল)সমেত ভারতের সংবিধান ২৬শে নভেম্বর ১৯৪৯ সালে গৃহীত হয়। বর্তমানে ভারতের সংবিধানে ১২টি তপশীল আছে।
সংবিধান সভা ভারতের সংবিধানটি রূপদান করতে দুই বছর এগারো মাস আঠারো দিন সময় নিয়েছিল।
যদিও ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বরই পেস্তুত হয়ে গিয়েছিল ও গৃহীত হয়েছিল, কিন্তু এটিকে কার্যকর করার জন্য ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। কারণ ১৯২৯ সালের এই দিনটিকে লাহোর অশিবেশনে জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ‘পূর্ণ স্বরাজ’ দাবি করেছিল।
সংবিধান সভা ভারতের জাতীয় পতাকা সরকারিভাবে গ্রহণ করে ২২শে জুলাই, ১৯৪৭ সালে। এটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়া।