logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের সংবিধান

সংবিধান গঠন
সংবিধান গঠন গণ পরিষদ সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সংবিধানের রুপান্তর ইস্ট ইন্ডিয়া শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ভারত শাসন আইন সংবিধান বিধিবদ্ধ করণ সংবিধানের প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার কেন্দ্র-সুপ্রিমকোর্ট ঃ বিবদমান দুই সংস্থা সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সংবিধানের তপশিল সমূহ সাম্যের অধিকার স্বাধীনতার অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার আজ্ঞালেখ এর প্রকারভেদ রাষ্ট্র পরিচালনের নির্দেশ মূলক নীতি মৌলিক কর্তব্য সমূহ ভারত ভূখণ্ড ও তার সীমানা রাজ্য পুনর্গঠন নাগরিকত্ব সংবিধানের ভাগ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা জরুরি ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের সম্পর্ক উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ পার্লামেন্ট লোকসভার স্পিকার রাজ্যসভা ভারতের রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রাজ্য সভার ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য শাসনব্যবস্থা রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভা বিধান পরিষদ বিধানসভা হাইকোর্ট নিম্ন আদালত কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ইউ. পি. এস. সি ক্যাগ অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল অর্থ কমিশন পঞ্চায়েতি রাজ জাতীয় প্রতীক চিহ্ন জাতীয় প্রতীক জাতীয় পতাকা জাতীয় স্তবগান জাতীয় সংগীত মর্যাদা পদের সারণি সংবিধান সংশোধন সংবিধান সংশোধনগুলির তালিকা

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে শাসনতান্ত্রিক অভিজ্ঞতা (১৭৭৩-১৮৫৭)


রেগুলেটিং আইন

  • কোম্পানির কার্যকলাপকে ব্রিটিশ সরকারের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা।

  • দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান।

  • বাংলার গভর্নরকে ভারতের ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলের গভর্নর জেনারেল হিসাবে উন্নীত করা।

  • কলকাতায় সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা।

  • কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যাবসায় নিযুক্ত থাকা অথবা উৎকোচ গ্রহণ নিষিদ্ধ করা।


পি আই টি টি এস অ্যাক্ট ১৭৮৪

  • কোম্পানির বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ আলাদা করে দেওয়া হয়। ছয় সদস্যের বোর্ড অব কন্ট্রোল (যার মধ্যে দুজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী)ভারত কোম্পানির কাজকর্ম দেখভাল করার জন্য গঠিত হয়।

  • গভর্নর জেনারেলের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল-এ তিনজন মেম্বার ছিলেন।

  • তিনজন ডাইরেক্টরদের নিয়ে একটি গোপন কমিটি তৈরি হয় যাঁরা রাজনৈতিক এবং সেনা সংক্রান্ত বিষয় দেখাশুনা করবেন। গোপন কমিটির অনুমোদন ছাড়া গভর্নর জেনারেল এবং কাউন্সিল যুদ্ধ ও সন্ধি ঘোষণা করতে পারবেন না, এরূপ স্থির হয়েছিল।

  • চেন্নাই এবং মুম্বাই প্রেসিডেন্সিকে সমস্ত বিষয়ে বাংলার গভর্নর জানারেল-ইন-কাউন্সিল-এর অধীনে আনা হয়েছিল।

  • এই আইনের বলে কোম্পানির কার্যকলাপের উপর ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কার্যত, এর ফলে কোম্পানি ব্রিটিশ সরকারের অধস্তন সংস্থায় পরিণত হয়েছিল।


১৭৮৬ সালের আইন

  • গভর্নর জেনারেলকে কাউন্সিলের উপরে ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং তাঁকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করা হয়।


সনদ আইন ১৭৯৩ (চার্টার অ্যাক্ট, ১৭৯৩)

  • কোম্পানিকে আরও কুড়ি বছরের জন্য ব্যবসায় একাধিপত্য দেওয়া হয়।

  • বোর্ড অব কন্ট্রোল এর খরচ ও বেতন মেটানোর জন্য ভারতীয় শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়।

  • গভর্নর জেনারেল ও গভর্নরকে তাঁদের কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

  • সমস্ত আইনগুলিকে ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করতে বলা হয়।

  • এতদ্বারা আদালতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী লিহিত আইনের দ্বারা সরকার পরিচালনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়।


১৮১৩ সালের সনদ আইন (চার্টার অ্যাক্ট, ১৮১৩)

  • চা এবং চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-এই দুটি ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সমস্ত রকম ব্যাবসার ক্ষেত্রে কোম্পানির একাধিপত্য খর্ব করা হয়। এর ফলে কোম্পানি আরও বেশি করে প্রশাসনিক সংস্থায় পরিণত হয়। কিছু নিষেধাজঙা ব্যতিরেকে সমস্ত ইংরেজরা ভারতের সঙ্গে ব্যাবসাবাণিজ্য করার অধিকার পেলেন।

  • ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য বার্ষিক এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়।

  • খ্রিস্টান ধর্মযাজকগণ ভারতে আসার ও ধর্মপ্রচার করার অনুমতি পান।


১৮৩৩ সালের সনদ আইন (চার্টার অ্যাক্ট, ১৮৩৩)

  • চা এবং চিনের সঙ্গে বাণিজ্য- এই দুটি ক্ষেত্রেও কোম্পানির একাধিপত্যের অবসান হয়। কোম্পানিকে যত শীঘ্র সম্ভব ভারতবর্ষ থেকে তাদের ব্যাবসা গোটানোর নিরদেশ দেওয়া হয়।

  • ইউরোপিয়ানদের ভারতবর্ষে অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। ভারতে জমি ও সম্পত্তি কেনার উপরও বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়। এত দ্বারা ভারতে ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

  • বাংলার গভর্নর জেনারেল ভারতের জেনারেল পদে উন্নীত হন। সমস্ত প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা গভর্নর জেনারেল-ইন-কাউন্সিলের হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয় (ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল-লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক)।

  • বোর্ড অব কন্ট্রোল এর সভাপতি ভারত বিষয়ক মন্ত্রী হন।

  • একজন আইন সদস্যকে (যার ভোটদানের ক্ষমতা থাকে না)এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল। প্রথম আইন সদস্য ছিলেন মেকলে। এর ফলে কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় চার। এরই মধ্য দিয়ে ভারতীয় বিধানমন্ডলের সূচনা হয়।

  • আইনের সংকলন গ্রন্থযুক্ত করার জন্য একটি আইন কমিশন তৈরি হয়েছিল।

  • এই আইনটি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোম্পানির অধীনে কাজ করা সকলের জন্য প্রযোজ্য হয়েছিল।


১৮৫৬ সালের সনদ আইন (চার্টার অ্যাক্ট, ১৮৫৩)

  • এই আইনে কোম্পানির ক্ষমতার নবীকরণ করা হয় এবং ব্রিটিশরাজের হয়ে ভারত ভূখণ্ডে অধিকার বজায় রাখাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যদিও কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ সেখানে ছিল না।

  • কোর্ট অব ডাইরেক্টরের সদস্য সংখ্যা ২৪ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হয়, যার মধ্যে ৬ জন সদস্যকে ব্রিটিশ রাজের দ্বারা মনোনীত হতে হত।

  • আইন সদস্যকে গভর্নর জেনারেল-এর এগজিকিউটিভ কাউন্সিল-এর পূর্ণ সদস্য করা হয়।

  • আইন সভাকে এই প্রথমবার কার্যনির্বাহী ক্রিয়াকলাপ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।

  • এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নীতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করা যেত এবং এই ব্যাপারে আলোচনা করার সুযোগ করে দেওয়া হত।

  • বার্ষিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ করা শুরু হয় (ভারতীয় ব্যতিরেকে)।