বিধানসভা (Legislative assembly)
নিম্ন কক্ষ হিসাবেও পরিচিত, একেবারে লোকসভার মতোই।
সরাসরি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত।
কার্যকাল ৫ বছরের কিন্তু রাজ্যপাল আগেই ভেঙে দিতে পারেন। জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় এই কার্যকাল এক বছরের জন্য বর্ধিত হতে পারে।
সদস্য সংখ্যা (Strength)
সদস্য সংখ্যা ৫২৫-এর বেশি হবে যা এবং ৬০-এর কম হবে না। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনসংখ্যার উপর সদস্য সংখ্যা নির্ভর করে। যদিও সিকিম, গোয়া, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং পন্ডিচেরীর বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৬০-এর কম।
যোগ্যতামান (Qualification)
লোকসভা অথবা বিধান পরিষদের মতো, কেবলমাত্র বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।
স্পিকার/ডেপুটি স্পিকার
প্রত্যেক রাজ্য বিধানসভা তাদের সদস্যদের মধ্য থেকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করেন।
তাঁদের কার্যবিধি, ইস্তফা ও অপসারণের পদ্ধতি লোকসভার অধ্যক্ষ (স্পিকার), উপাধ্যক্ষ (ডেপুটি স্পিকার)-দের মতই হবে।
রাজ্যের বিধানিক প্রক্রিয়া (Legislative Procedure)
অর্থ বিলের ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে একই প্রক্রিয়া আছে। অর্থবিল বিধান্সভাতেই পেশ করা যায় এবং তার মতামতই প্রাধান্য পায়। বিধানসভা বিধানপরিষদের কোনো সুপারিশ মানতে বাধ্য নয় যদিও বিধান পরিষদ ১৪ দিন আটকে রাখতে পারে।
রাজ্য বিধানমন্ডলের ক্ষমতা (Power of State Legislative)
রাজ্য-তালিকা ও যুগ্ম তালিকাভুক্ত যেন কোনো বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে।
রাজ্যের খরচের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে (অনাস্থা প্রস্তাব পাস করে মন্ত্রীসভা অপসারণ করতে পারে)।
সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় যেহেতু দেশের অর্ধেক রাজ্যের বিধানমন্ডলের অনুমোদনক্রমে সংবিধানের কিছু জায়গায় সংশোধন করা যায়।