সংবিধানের ভাগ (Parts of the Constitution)
ভাগ-১ (অনুচ্ছেদ ১-৪)
- ভারতের রাজ্যক্ষেত্র, নতুন রাজ্য গঠন, রাজ্যের নাম পরিবর্তন ইত্যাদি।
ভাগ-২ (অনুচ্ছেদ ৫-১১)
- নাগরিকদের বিভিন্ন অধিকার।
ভাগ-৩ (অনুচ্ছেদ ১২-৩৫)
- ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।
- (অনুচ্ছেদ ৩১-সম্পত্তির অধিকার-৪৪তম সংশোধনার দ্বারা বাতিল)
ভাগ-৪ (অনুচ্ছেদ ৩৬-৫১)
- রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্দেশমূলক নীতি।
ভাগ-৪ ক(অনুচ্ছেদ ৫১ক)
- নাগরিকদের কর্তব্য। ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনার মাধ্যমে যুক্ত।
ভাগ-৫ (অনুচ্ছেদ ৫২-১৫১)
- কেন্দ্রীয় সরকারি নির্বাহিকবর্গ (কাজ ও কর্তব্য-প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, পার্লামেন্ট-লোকসভা ও রাজ্যসভা, কন্ট্রোলার ও অডিটর জেনারেল)
ভাগ-৬ (অনুচ্ছেদ ১৫২-২৩৭)
- রাজ্য ভিত্তিক সরকার।
- কর্তব্য ও ক্ষমতা-মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী মণ্ডলী, রাজ্যপাল, রাজ্যবিধানসভা, হাইকোর্ট, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।
ভাগ-৭ (অনুচ্ছেদ ২৩৮)
- রাজ্য শাসনব্যবস্থা- ১৯৫৬ সালের ৭নং সংশোধনের মাধ্যমে সংযোজিত।
ভাগ-৮ (অনুচ্ছেদ ২৩৯-২৪১)
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন।
ভাগ-৯
দুটি ভাগে বিভক্তঃ
- (১) ১৯৯২ সালের ৭৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত তপশীল ৭ নামে একটি নতুন তপশীল যাতে পঞ্চায়েত রাজ সম্পর্কে রাজ সম্পর্কে ২৯টি বিষয় আছে (এদের প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে)।
- (২) ১৯৯২ সালের ৭৪তম সংশোধনীর মধ্যমে যুক্ত তপশীল ১২ নামে একটি নতুন তপশীল যাতে মিউনিসিপ্যালিটি সম্পর্কে ১৮টি বিষয় আছে (এদের প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে)।
ভাগ-১০ (অনুচ্ছেদ ২৪৪, ২৪৪ক)
- তপশীল অঞ্চল ও উপজাতি অঞ্চলের প্রশাসন।
ভাগ-১১ (অনুচ্ছেদ ২৪৫-২৬৩)
- কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সম্পর্ক।
ভাগ-১২ (অনুচ্ছেদ ২৬৪-৩০০এ)
- কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্ব বন্টনের নীতি, অর্থ কমিশনের নিয়োগ (অনুচ্ছেদ ২৮০), চুক্তি, দায় দায়িত্ব ইত্যাদি।
ভাগ-১৩ (অনুচ্ছেদ ৩০১-৩০৭)
- ভারতের রাজ্যক্ষেত্রের সর্বত্র ব্যাবসা, বাণিজ্য ও আদানপ্রদান
ভাগ-১৪ (অনুচ্ছেদ ৩০৮-৩২৩)
- ইউ.পি.এস.সি এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
ভাগ-১৪-এ (অনুচ্ছেদ ৩২৩এ,৩২৩বি)
- ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজিত। কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও স্থানীয় সরকারি কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত কোনো ইভিযোগ বা বিতর্কের শুনানির জন্য একটি প্রশাসনিক ন্যায়পীঠ ভারতের সংসদ গঠন করবে।
ভাগ-১৫ (অনুচ্ছেদ ৩২৪-৩২৯)
- নির্বাচন সংক্রান্ত (এছাড়া নির্বাচন কমিশন)।
ভাগ-১৬ (অনুচ্ছেদ ৩৩০-৩৪২)
- তপশীল জাতি ও উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
ভাগ-১৭ (অনুচ্ছেদ ৩৪৩-৩৫১)
- সরকারি ভাষা
ভাগ-১৮ (অনুচ্ছেদ ৩৫২-৩৬০)
- জরুরি অবস্থার বিধান।
ভাগ-১৯ (অনুচ্ছেদ ৩৬১-৩৬৭)
- সরকারি কাজের জন্য ফৌজদারি মামলা থেকে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের রেহাই লাভ।
ভাগ-২০ (অনুছেদ ৩৬৮)
- সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত
ভাগ-২১ (অনুচ্ছেদ ৩৬৯-৩৯২)
- (অনুচ্ছেদ ৩৬৯ পার্লামেন্টকে সাময়িকভাবে রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা দিয়েছে)।
- অনুচ্ছেদ ৩৭০-য়ে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য অস্থায়ী বিশেষ বিধান আছে-উক্ত রাজ্যের জন্য পার্লামেন্ট সাধারণত আইন প্রণয়ন করতে পারে না।
- (অনুচ্ছেদ-৩৭১এ, ৩৭১বি, ৩৭১সি, ৩৭১ডি, ৩৭১এফ, ৩৭১জি, ৩৭১এইচ এবং ৩৭১আই-মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর, অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও গোয়ার জন্য বিশেষ বিধান)
ভাগ-২২ (অনুচ্ছেদ ৩৯৩-৩৯৫)
- অনু শিরোনাম (শর্ট টাইটেল), সংবিধানের প্রবর্তন ও অনুচ্ছেদ বাতিল করণের তালিকা।