logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের সংবিধান

সংবিধান গঠন
সংবিধান গঠন গণ পরিষদ সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সংবিধানের রুপান্তর ইস্ট ইন্ডিয়া শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ভারত শাসন আইন সংবিধান বিধিবদ্ধ করণ সংবিধানের প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার কেন্দ্র-সুপ্রিমকোর্ট ঃ বিবদমান দুই সংস্থা সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সংবিধানের তপশিল সমূহ সাম্যের অধিকার স্বাধীনতার অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার আজ্ঞালেখ এর প্রকারভেদ রাষ্ট্র পরিচালনের নির্দেশ মূলক নীতি মৌলিক কর্তব্য সমূহ ভারত ভূখণ্ড ও তার সীমানা রাজ্য পুনর্গঠন নাগরিকত্ব সংবিধানের ভাগ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা জরুরি ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের সম্পর্ক উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ পার্লামেন্ট লোকসভার স্পিকার রাজ্যসভা ভারতের রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রাজ্য সভার ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য শাসনব্যবস্থা রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভা বিধান পরিষদ বিধানসভা হাইকোর্ট নিম্ন আদালত কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ইউ. পি. এস. সি ক্যাগ অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল অর্থ কমিশন পঞ্চায়েতি রাজ জাতীয় প্রতীক চিহ্ন জাতীয় প্রতীক জাতীয় পতাকা জাতীয় স্তবগান জাতীয় সংগীত মর্যাদা পদের সারণি সংবিধান সংশোধন সংবিধান সংশোধনগুলির তালিকা

রাজ্যগুলির পুনর্গঠন (Re-organization of States)


স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠনের দাবি উঠতে থাকে। এই বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য সংবিধান সভা ১৯৪৭ সালে এস. কে. ধর কমিটিকে নিযুক্ত করে।

ধর কমিটি ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠনের বিষয়টি সমর্থন ও সুপারিশ করে কিন্তু কংগ্রেস তা নাকচ করে দেয়।


নতুন রাজ্য গঠন এবং অঞ্চল ও সীমানা বা রাজ্যের নামের পরিবর্তন

  • অনুচ্ছেদ ৩-এ বলা হয়েছে সংবিধান সংসদকে এই ক্ষমতা দিয়েছে যে সংসদ কোনো রাজ্য থেকে কোনো অঞ্চল আলাদা করে, অথবা দুই বা ততোধিক রাজ্য কিংবা রাজ্যের অংশ সংযুক্ত করে অথবা কোনো অঞ্চলকে কোনো রাজ্যের একাংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে এক নতুন রাজ্য গঠন করতে পারে।

  • সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, সংসদ কোনো রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি করতে পারে না হ্রাস করতে পারে, সীমানা পরিবর্তন করতে পারে অথবা কোনো রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে পারে।


রাজ্য পুনর্গঠন পদ্ধতিটি নিম্নরূপ

  • উপযুক্ত সবকটি বা কোনো একটি কারণে যদি রাজ্য পুনর্গঠন করার প্রয়োজন হয় তাহলে এই সম্বন্ধে একটি বিধেয়ক শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির সুপারিশক্রমে সংসদের যে-কোনো পক্ষে পেশ করা যাবে।

  • যে ক্ষেত্রে বিধেয়কে বর্ণিত প্রস্তাবে কোনো রাজ্যের আয়তন, সীমানা বা নাম পরিবর্তন ঘটানো হবে, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই পরিবর্তন সম্পর্কে মত প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার কাছে বিধেয়কটি পাঠাতে পারেন। রাষ্ট্রপতি এর জন্য অতিরিক্ত সময়ও মঞ্জুর করতে পারেন।

  • যদি রাজ্য বিধানসভা নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে তার মত প্রকাশে অপরাগ হয়, তাহলে সে তার মত প্রকাশ করেছে বলেই ধরা হবে। নির্দিষ্ট বা বর্ধিত সময়মীমার মধ্যে মতামত জানালেও সংসদ সেই মতামত গ্রহণ করতে বা তার ভিত্তিতে কাজ করতে বাধ্য নন। তাছাড়া বিধেয়কে কোনো স্নগশোধ্নার ক্ষেত্রে প্রতিবার তা গ্রহণ বা প্রস্তাবিত করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় পাঠানোর আবশ্যকতা নেই।

  • বিষয়টি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করানো যাবে।

  • যদিও, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে সীমানা বা নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো বিধেয়ক সংশ্লিষ্ট বিধানমণ্ডলের কাছে পাঠানোর আবশ্যকতা নেই।

১৯৫০ সালের পর তৈরি হওয়া নতুন রাজ্যের তালিকা
অন্ধ্রপ্রদেশ অন্ধ্র রাজ্য আইন ১৯৫৩ দ্বারা মাদ্রাজ রাজ্য থেকে কিছু এলাকা বার করে এনে অন্ধ্র নামে এক নতুন রাজ্য তৈরি করা হয়েছে।
গুজরাট ও মহারাষ্ট্র বোম্বে পুনর্গঠন আইন ১৯৬০ অনুযায়ী বোম্বে নর্গ রাজ্যকে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট নামে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করা হয়।
কেরালা ত্রিবাঙ্কুর ও কোচি অঞ্চল নিয়ে রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬ অনুযায়ী তৈরি হয়।
কর্ণাটক মহীশূর নামক দেশীয় রাজ্য থেকে রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬ অনুযায়ী তৈরি হয় এবং ১৯৭৩ সালে কর্ণাটক নামে অভিহিত হয়।
নাগাল্যান্ড নাগাল্যান্ড রাজ্য আইন ১৯৬২ অনুযায়ী অসম রাজ্যের অংশ নিয়ে এই রাজ্যটি গঠিত হয়।
হরিয়ানা পাঞ্জাব রাজ্য (পুনর্গঠন)আইন, ১৯৬৬ দ্বারা পাঞ্জাব রাজ্যের অংশ নিয়ে এই রাজ্যটি গঠিত হয়।
হিমাচল প্রদেশ হিমাচল প্রদেশ রাজ্য আইন ১৯৭০ অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে রাজ্যে উন্নীত করা হয়।
মেঘালয় প্রথমে ১৯৬৯ সালের ২৩তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে অসম রাজ্যের অভ্যন্তরে মেঘালয় নামে একটি উপরাজ্য গঠিত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (পূনর্গঠন)আইন, ১৯৭১ অনুযায়ী এটি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।
মণিপুর ও ত্রিপুরা এই দুটি রাজ্যি উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (পুনর্গঠন)আইন ১৯৭১ অনুযায়ী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে রাজ্যে উন্নীত হয়।
সিকিম ১৯৭৪ সালের ৩৫তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সিকিমকে প্রথমে সহযোগী রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ৩৬ তম সংবিধান সংশোধনের দ্বারা সিকিম স্বতন্ত্র রাজ্য হিসাবে পরিচিত হয়।
মিজোরাম মিজোরাম রাজ্য আইন ১৯৮৬ অনুযায়ী মিজোরামকে রাজ্য হিসাবে উন্নীত করা হয়।
অরুণাচল প্রদেশ অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য আইন ১৯৮৬ অনুযায়ী একে রাজ্য হিসাবে গণ্য করা হয়।
গোয়া গোয়া-দমন-দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে গোয়া-দমন-দিউ (পুনর্গঠন)আইন ১৯৮৭ অনুযায়ী গোয়াকে আলাদা করা হয় এবং পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবেই র‍য়ে যায়।
ছত্তিশগড় সংবিধান সংশোধন আইন ২০০০ দ্বারা মধ্যপ্রদেশকে ভাগ করে এই রাজ্য ১লা নভেম্বর ২০০০ সালে গঠিত হয়।
উত্তরাখন্ড সংবিধান সংশোধন আইন ২০০০ অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশকে বিভক্ত করে এই রাজ্য ৯ই নভেম্বর ২০০০ সালে গঠিত হয়।
ঝাড়খন্ড সংবিধান সংশোধন আইন ২০০০ অনুযায়ী বিহারকে বিভক্ত করে এই রাজ্য ১৫ই নভেম্বর ২০০০ সালে গঠিত হয়।
তেলেঙ্গানা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য (পুনর্গঠন)আইন ২০১৪ অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশকে বিভক্ত করে এই রাজ্য ২রা জুন ২০১৪ সালে গঠিত হয়।