logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের সংবিধান

সংবিধান গঠন
সংবিধান গঠন গণ পরিষদ সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সংবিধানের রুপান্তর ইস্ট ইন্ডিয়া শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের অভিজ্ঞতা ভারত শাসন আইন সংবিধান বিধিবদ্ধ করণ সংবিধানের প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার কেন্দ্র-সুপ্রিমকোর্ট ঃ বিবদমান দুই সংস্থা সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সংবিধানের তপশিল সমূহ সাম্যের অধিকার স্বাধীনতার অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার আজ্ঞালেখ এর প্রকারভেদ রাষ্ট্র পরিচালনের নির্দেশ মূলক নীতি মৌলিক কর্তব্য সমূহ ভারত ভূখণ্ড ও তার সীমানা রাজ্য পুনর্গঠন নাগরিকত্ব সংবিধানের ভাগ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা জরুরি ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের সম্পর্ক উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ পার্লামেন্ট লোকসভার স্পিকার রাজ্যসভা ভারতের রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রাজ্য সভার ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য শাসনব্যবস্থা রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভা বিধান পরিষদ বিধানসভা হাইকোর্ট নিম্ন আদালত কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ইউ. পি. এস. সি ক্যাগ অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল অর্থ কমিশন পঞ্চায়েতি রাজ জাতীয় প্রতীক চিহ্ন জাতীয় প্রতীক জাতীয় পতাকা জাতীয় স্তবগান জাতীয় সংগীত মর্যাদা পদের সারণি সংবিধান সংশোধন সংবিধান সংশোধনগুলির তালিকা

অর্থ কমিশন (Finance Commission)


  • অর্থ কমিশন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর রাষ্ট্রপতির দ্বারা গঠিত হয়। তবে তিনি মনে করলে তার আগেও অর্থ কমিশন গঠন করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ২৮০)।

  • একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। এঁরা পুনর্নিবাচিত হতে পারেন।

  • জনস্বার্থ বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। অন্য সদস্যরা তাঁরাই হতে পারেন যাদের-

    • (১) হাইকোর্টের বিচারপতি হবার মতো যোগ্যতা আছে।

    • (২) সরকারি হিসাব ও অর্থ বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান আছে।

    • (৩) প্রশাসনিক ও অর্থ বিষয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা আছে।

    • (৪) অর্থনীতিতে বিশেষ জ্ঞান আছে।

  • বর্তমানে ১৫তম অর্থ কমিশন কাজ করছে। চেয়ারম্যান হলেন এন. কে. সিংহ।


কর্মসমূহ (Functions)

  • কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আদায়ীকৃত করের পরিমাণ ভাগ করে দেবার বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দান।

  • ভারতের সঞ্চিত নিধি থেকে রাজ্যসমূহের রাজস্বের সহায়ক অনুদান কোনো নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে তা সুপারিশ করা।

  • এই সুপারিশ পরামর্শমূলক, বাধ্যতামূলক নয়।

  • সুদৃঢ় অর্থ ব্যবস্থার স্বার্থে রাষ্ট্রপতি অন্য যে বিষয়ে কমিশনের পরামর্শ চাইবেন সেই সব বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।


সীমানা নির্ধারক কমিশন (Delimitation Commission)

  • সীমানা নির্ধারক কমিশন বা সীমানা কমিশন স্থাপিত হয়েছিল সীমানা নির্ধারক আইন অনুযায়ী। এই কমিশনের প্রধান কাজ হল সাম্প্রতিক জনগণনার ভিত্তিতে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন কেন্দ্রগুলির সীমানা নতুন করে নির্ধারণ করা। এর ফলে রাজ্যভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের কোনো পরিবর্তন হয় না। তবে রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যার পরিবর্তন সাম্প্রতিক জনগণনার ভিত্তিতে হতে পারে।

  • কমিশনের আদেশ কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। এই আদেশ লোকসভা ও বিধানসভায় পেশ করা হয়। যদিও সেই আদেশের কোনো পরিবর্তন করা যায় না।

  • চারবার এই কমিশন স্থাপিত হয়েছে-১৯৫২, ১৯৬৩, ১৯৭৩ এবং ২০০২ সালে। সরকার ২০০১ সালের জনগণনার আগে পর্যন্ত ১৯৭৬ সালের কমিশন স্থগিদ রাখে যাতে রাজ্যের পরিবার পরিকল্পনা কার্যসূচি লোকসভার প্রতিনিধিত্বে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়। এর ফলশ্রুতি হল এই যে, নির্বাচন কেন্দ্রগুলি সমতা হারাল এবং দেখা গেল সর্বাধিক ভোটারযুক্ত নির্বাচন কেন্দ্রতে রয়েছে ৩০ লাখ ভোটার আর সবচেয়ে কম ভোটারযুক্ত নির্বাচন কেন্দ্রে রয়েছে ৫০ হাজার ভোটার।

  • সর্বশেষ সীমানা নির্ধারক কমিশন ২০০১ সালের জনগণনার পরে ২০০২ সালের ১২ই জুলাই গঠিত হয়েছিল। এর চেয়ারম্যান ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কুলদীপ সিং।

দ্রষ্টব্যঃ

২০০৮ সালের মে মাসে তিন পর্যায়ে হওয়া কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন হল ২০০২ সালের সীমানা নির্ধারক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস হওয়া নির্বাচন কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে প্রথম নির্বাচন।