মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights)
সংবিধান রচনার অনেক আগে থেকেই মৌলিক অধিকারের প্রশ্নটি জাতীয় কংগ্রেস আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। ১৯৩১ সালে ভারতের জাতীয় ক্রাচি অধিবেশনে কংগ্রেস সর্দার প্যাটেল-এর সভাপতিত্বে মৌলিক অধিকারের উপর সংকল্প গ্রহণ করেছিল।
মৌলিক অধিকার ও আইনি অধিকারের মধ্যে পার্থক্য
সাধারণ আইনি অধিকার দেশের সাধারণ আইন দ্বারা সুরক্ষিত ও বলবৎযোগ্য। আইনি অধিকার লঙ্ঘিত হকে অত্যাচারিত ব্যক্তি নিম্ন আদালতে মামলা করতে পারেন অথবা প্রধান বিচারালয়ে আজ্ঞালেখ (রিট) জারি করার জন্য আবেদন করতে পারেন। অন্যদিকে মৌলিক অধিকার হল সেই অধিকার যার জন্য সুপ্রিমকোর্টে সরাসরি আবেদন করা যায়।
মৌলিক অধিকারের প্রকৃতি
অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার-এই দুটি ক্ষেত্র বাদে কোনো ব্যক্তিবিশেষের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মৌলিক অধিকারের রক্ষাকবচ পাওয়া যায় না। মৌলিক অধিকারের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র রাষ্ট্রের কোনো কাজের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়। উপযুক্ত দুতি ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত রক্ষাকবচ রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের বিরুদ্ধেই পাওয়া যায়।
প্রশাসনিক কার্যকারিতা অথবা জাতীয় সংহতি রক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্র মনে করলে সশস্ত্র বাহিনী, আরক্ষা বাহিনী, আর্যা সামরিক বাহিনী প্রকৃতির কিছু মৌলিক অধিকার রদ করতে পারে।
অনুচ্ছেদ ২০ ও ২১-এ বর্নিত মৌলিক অধিকারগুলি ব্যতিরেকে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলি রাষ্ট্রপতি স্থগিদ রাখতে পারেন।