ভারতীয় সংবিধানের অনুকৃত বৈশিষ্ট্য সমূহ
*. ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ শতাংশকেই ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের পরিমার্জিত সংস্করণ বলা যায়। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সহ বেশ কিছু মূল কাঠামো উক্ত আইনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল।
*. দেশীয় উৎস ছাড়াও নানা বিদেশি রাষ্ট্রের সংবিধান থেকে সংবিধান প্রণেতারা কিছু বিষয় গ্রহণ করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের সংবিধান থেকে
১. নিয়মতান্ত্রিক প্রধান-রাষ্ট্রপতি (রানীর মতো)
২. মন্ত্রীমণ্ডলীয় পদ্ধতি
৩. প্রধানমন্ত্রী পদ
৪. সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা
৫. দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ
৬. নিম্নকক্ষ অধিক শক্তিশালী
৭। মন্ত্রীপরিষদ নিম্নকক্ষের কাছে দায়বদ্ধ
৮. লোকসভার অধ্যক্ষ
৯. একক নাগরিকত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান থেকে
১. লিখিত সংবিধান
২. রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক প্রধান ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৩. উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে রাজ্যসভার সভাপতি
৪. মৌলিক অধিকার
৫. সুপ্রিমকোর্ট
৬. প্রাদেশিক ব্যবস্থা বা রাজ্যগঠন
৭. আইন ও আইনগত পুনর্বিবেচনা করার স্বাধীনতা
৮. প্রস্তাবনা
৯. সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ
পূর্ববর্তী সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে
১. মৌলিক কর্তব্য
২. পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান থেকে
১. সমবর্তী সূচি
২. প্রস্তাবনার ভাষা
৩. ব্যাবসা-বাণিজ্যের ও আদান-প্রদানের ব্যবস্থা
জাপানের সংবিধান থেকে
১. সুপ্রিমকোর্টের কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত আইন
জার্মানির ওয়েইমার সংবিধান থেকে
১. জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান থেকে
১. সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি
কানাডার সংবিধান থেকে
১. যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতির সঙ্গে কেন্দ্র প্রবণতা
২. কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন এবং কেন্দ্রের হাতে অবশিষ্ট ক্ষমতা
আয়ারল্যান্ড-এর সংবিধান থেকে
১. রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতির ধারণা
২. রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি
৩. রাষ্ট্রপতির দ্বারা রাজ্যসভার সদস্যদের মনোনয়ন