ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার
অনুচ্ছেদ ২৫ : প্রত্যেক নাগরিককেই তার বিবেকের স্বাধীনতা, নিজস্ব ধর্ম অবলম্বন, পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে এই স্বাধীনতা-
(ক) জনশৃঙ্খলা, জননৈতিকতা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষ।
(খ) রাষ্ট্র প্রয়োজন মনে করলে কোনো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক কার্যকলাপ যা ধর্মীয় কাজের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত, তা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অনুচ্ছেদ ২৬ : ধর্মীয় বিষয় সংক্রান্ত কার্য পরিচালনার স্বাধীনতা-জনশৃঙ্খলা, জননৈতিকতা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থ ব্যতিরেকে প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকের এই অধিকার আছে যে তারা-
(ক) ধর্মীয় ও দাতব্য উদ্দেশ্যে যে-কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও রক্ষণ করতে পারবে।
(খ) তাদের ধর্মবিষয়ক কার্যাবলি পরিচালনা করতে পারবে।
(গ) স্থাবর ও আস্থাবর সম্পত্তির মালিক হতে পারবে।
(ঘ) আইন অনুযায়ী এই ধরণের সম্পত্তি পরিচালনা করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ ২৭ : কোনো ধর্মের প্রচার, প্রসার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো সম্প্রদায় বা ব্যক্তিকে কর দিতে বাধ্য করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ ২৮ : নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষাদানের স্বাধীনতা ১ নং উপধারা অনুযায়ী, সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মশিক্ষা দান নিষিদ্ধ।
২নং উপধারা অনুযায়ী, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি স্বীকৃত কিন্তু কোন ট্রাস্ট দ্বারা গঠিত সেখানে ধর্মীয় শিক্ষাদানের ব্যাপারে ১ নং উপধারা প্রযোজ্য হবে না।
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত বা রাষ্ট্রের দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয় তাহলে এই ধরণের প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তিকে বা তার অভিভাবকের (অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে)বিনা সম্মতিতে তাকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ ২৯ : শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদানের স্বার্থরক্ষা-
(১) সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যারা ভারত ভূখণ্ডের যে-কোনো অংশের বাসিন্দা, তাঁদের নিজ নিজ ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতির চর্চা করার ও রক্ষা করার অধিকার আছে।
(২) সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম, বংশ, বর্ণ, ভাষা, শ্রেণি- এইসব কারণে কাউকে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ ৩০ : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার।
(১) সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, সে ভাষার ভিত্তিতেই হোক বা ধর্মের ভিত্তিতে, তাদের পছন্দমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার ও পরিচালনা করার অধিকার থাকবে।
(২) রাষ্ট্র এই ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাঙ্গুলিকে সাহায্য দেওয়ার সময় কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ভিত্তিতে বৈষম্য করবে না যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত।
অনুচ্ছেদ ৩১ : ১৯৭৮ সালের ৪৪তম সংবিধান সংশোধনার মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে।