logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের অর্থনীতি

ভারতের অর্থনীতি

ভূমিকা

ভারতের পরিকল্পনার ইতিহাস পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বেকারত্ব ভারতের দারিদ্র্য

সরকারি উদ্যোগ

সরকারি উদ্যোগ ভারতের বিভিন্ন উন্নয়ন ভারতের জাতীয় আয় কৃষি সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কর কাঠামো

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভাণ্ডার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংস্থা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ গ্রুপ 8(G-8) গ্রুপ 20(G-20) OECD BRICS ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন NAFTA APEC এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন BENELUX MERCOSUR উপসাগরি সহযোগিতা সংস্থা কেন্দ্রীয় আমেরিকা অখণ্ডতা পদ্ধতি

ভারতীয় অর্থনীতির বিবর্তন

আদমশুমারি-২০১১ ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ


বিশ্বব্যাংক সমূহ নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলি স্থাপন করেছে।

  • (1) ইন্টারন্যাশন্যান ব্যাংক ফর রিকনস্‌ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভলপ্‌মেন্ট (IBRD)

  • (2) ইন্টারন্যাশন্যান ডেভলমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (IDA)

  • (3) ইন্টারন্যাশন্যান ফিনান্স কমিশন (IFC)

  • (4) মাল্টিল্যাটারেল ইনভেস্টমেন গ্যারান্টি এজেন্সি (MIGA)

  • (5) ইন্টারন্যাশন্যান সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অফ ইনভেস্টমেনন্ট ডিসপিউটস্‌ (ICSID)

*আই. ডি. এ. ও আই. বি. আর. ডি অয়ার্ল্ড ব্যাংক স্থাপন করেছে । এর প্রধান হলেন জিম ইয়াং কিম ।


১. ইন্টারন্যাশন্যান ব্যাংক ফর রিকনস্‌ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভলপ্‌মেন্ট্‌ (IBRD)

  • ব্রিটন উডস সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আই. বি. আর. ডি. আই. এম. এফ-এর সঙ্গে এটি স্থাপিত করে । সেকারণে আই. এম. এফ এবং আই. বি. আর. ডি-কে ব্রেটন উডস টুইন নামে খ্যাত । এর সদর কার্যালয় হচ্ছে ওয়াশিংটন ডি. সি. ।

  • বর্তমানে ১৮৮টি দেশ আই. বি. আর. ডি.-এর সদস্য হয়েছে ।

  • এর উদ্দেশ্য হল সদস্য দেশগুলির রাজ্যগুলির পুনর্গঠন ও উন্নতি বিধানে সহায়তা করা ।

  • সঠিক কারণে ব্যাংক ঋণদান করে কিন্তু সেই সঙ্গে শর্ত থাকে যে সুদ ও কমিশন থেকে দেশগুলিকে লাভ বাড়াতে হবে । এই ঋণগুলি হয় দীর্ঘকালীন । ৫ বছর বাড়তি সময় সহ কুড়ি বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ।

  • বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের দ্বারা ঋণ প্রদান করা হতে পারে ।

  • সদস্য দেশসমূহের তাদের রাজ্যের রাজনৈতিক বিভাজন বা বেসরকারি ব্যাবসা সংগঠন সমূহের জন্য ঋণ প্রদান করা হতে পারে । ঋণগ্রহীতা যদি সরকার স্বয়ং না হয় তাহলে সদস্যভুক্ত সরকারের গ্যারান্টির প্রয়োজন হয় ।

  • ২০১০ সালের উন্নয়নশীল দেশগুলি মূলত চিনের পদক্ষেপ বৃদ্ধি করার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ভোটিং ক্ষমতা পরিমার্জিত বা সংশোধিত করা হয় । বেশি ভোটিং ক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলি হল—ইউ. এস. এ (১৫.৫৮%), জাপান (৬.৮৪%), চিন (৪.৪২%), জার্মানি (৪.০০%), ইউনাইটেড কিংডম (৩.৭৫%), ফ্রান্স (৩.৭৫%), ভারত (২.৯১%), রাশিয়া (২.৭৭%), সৌদি আরব (২.৭৭%), এবং ইতালি (২.৬৪%) ।


আই. বি. আর. ডি এবং আই. এম. এফ-এর মধ্যে পার্থক্য

  • ব্যাংক ঋন দেয় যখন ফান্ড বিক্রি কর অর্থাৎ বিশেষ কোনো দেশে ফান্ড শর্ট হওয়ার প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করে।

  • উন্নয়নের জন্য ও পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘকালীন অগ্রিম দানে সহায়তা করে । যেখানে আই. এম. এফ স্বল্পকালীন অগ্রিম দানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যাবসা-বাণিজ্যে বৃদ্ধি ঘটানোর সহজ পন্থার উদ্ভব ঘটায় ।


(২) ইন্টার ন্যাশান্যাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (IDA)

  • আই. ডি. এ. হল আই. বি. আর. ডি. এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং সফ্‌ট লোন উইনডো অফ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক নামে পরিচিত।

  • ১৯৬০ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর এটি স্থাপিত হয়।

  • এটি সদস্য দেশসমূহকে ঋণদান করে এবং দীর্ঘকালীন ঋণে কোনো সুদ ধার্য করা হয় না । কিন্তু ঋণের উপর ০.৭৫% বাৎসরিক মাথাপিছু ৭৮৫ ডলারের কম । সর্বাপেক্ষা কম উন্নত দেশগুলির ক্ষেত্রে ৮০ বছরের জন্য এবং অন্যান্য দেশগুলির ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়।

  • আই. বি. আর. ডি-র সদস্য হিসাবে আই. বি. আর. ডি-র, কর্মীবৃন্দ, অফিসার এবং এর ডিরেক্টরদের নির্দেশ দান করে।


(৩)ইন্টার ন্যাশান্যাল ফিনান্স্‌ কর্পোরেশন (IFC)

  • এটি ১৯৫৬ সালে স্থাপিত হয় । আই. এফ. সি. ১৯৫৭ সালে ইউনাইটেড নেশনস্‌ (জাতি সংঘের)-এর বিশেজ্ঞও মাধ্যম হিসাবে পরিচিত ।

  • এই প্রতিষ্ঠান উন্নয়নশীল দেশের বেকারকারি শিল্প কারখানায় কোনো সরকারি গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হবে । এবং ওই দশগুলিতে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগও করা হয়ে থাকে ।