দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া দেশসমূহের সংস্থা (ASEAN)
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অবস্থিত ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগঠনের দশটি দেশ হল এই সংস্থায় অন্তর্গত।
১৯৬৭ সালে ৮ই আগস্ট ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, এবং থাইল্যান্ড এই সংস্থাটি গড়ে তোলে । তারপর থেকে ব্রুনেই, মায়ানমার (বার্মা), কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম সদস্যপদ গ্রহণ করে ।
এর লক্ষ্য হল-সদস্যদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটাকে তরান্ধিত করা, সামাজিক উন্নতিসাধন, সংস্কৃতির উন্নতিসাধনা করা । এবং আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখা এবং স্থিতিশীল করা, এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে সুযোগ সুবিধার পার্থক্য শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনা করা।
ASEAN ৪.৪৬ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার স্থান দখল করে আছে যা পৃথিবীর মোট ভূভাগের ৩%এবং এর জনসংখ্যা হল ৬০০মিলিয়ন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যাদ্দর ৮.৮%। এর ভূভাগের তিনগুণ বৃহত্তম হল এর সমুদ্র অঞ্চল।
যদি ASEAN একটি সত্তা হত তাহলে এটি পৃথিবীর মধ্যে নবম বৃহত্তম অর্থনীতি অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হত । এটি ইউ. এস. এ, চিন, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইউনিটেড কিংডম এবং ইতালির পিছনে থাকত।
ASEAN চিন, কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং বর্তমানে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
২০১০ সালের ১লা জানুয়ারি ASEAN India বাণিজ্য মুক্তাঞ্চল রূপে ফলপ্রসূ হয়েছে।
ASEAN India দ্রব্যসামগ্রীর উপর বাণিজ্য স্বাক্ষর পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিগণিত হয়েছে । এই বাজারটি প্রায় ১.৮বিলিয়ন লোক সহ এবং২.৮ ট্রিলন ইউ.এস.ডলারের GDP বাজারে পরিণত হয়েছে । দুটি চালু অঞ্চলের উৎপাদিত দ্রব্যের ৯০% শুল্ক উদারীকরণ ASEAN-FTA দেখাবে । এখানকার বিশেষ উৎপাদিত দ্রব্যগুলি হল-পাম তেল (কাঁচা ও পরিশোধিত), কফি, কালো চা এবং গোলমরিচ । ২০১৬ সালের মধ্যে ৪০০০ দ্রব্যসামগ্রীর উপর শুল্ক উঠে যাবে।