আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভান্ডার
*ব্রেটন উডসের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে ২৭ শে ডিসেম্বর ১৯৪৫ সালে ওয়াশিংটন ডি. সি. তে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভান্ডার স্থাপিত হয় । কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১লা মার্চ এটির লানদেন শুরু হয় ।
*এর মূলত সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৫ । বর্তমানে ১৮৮টি দেশ এর সদস্য ।
*আই. এম. এফ-এর বর্তমান ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন ক্রিসটাইন ল্যাগারডে ।
আই. এম. এফ-এর উদ্দেশ্য সমূহ
*আন্তজার্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার উন্নতি করণ ।
*আন্তর্জাতিক ব্যাবসা বাণিজ্যের ভারসাম্য সুনিশ্চিত করণ ।
*বিনিময় হারের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করণ ।
*বহুমুখী লেনদেন প্রথার উন্নতিকরণের দ্বারা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ নূন্যতম করণ ।
*লেনদেনের ভারসাম্যে যেসকল সদস্য দেশের যদি প্রতিকূল অর্থনৈতিক গরমিল দেখা দেয় তার সহযোগিতা করার জন্য অনুদান অনুমোদন করণ ।
*প্রধান কাজ হল বিনিময় হারকে স্থিতিস্থাপক করা ।
*আন্তর্জাতিক ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করার জন্য সদস্য দেশগুলিকে সুযোগ সুবিধা দান করা ।
আন্তর্জাতিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বিনিময়ের মন্দাভাব ত্যাগ করা ।*আই. এম. এফ-এর মূলধনের উৎস বিশেষ অর্থ পাওয়ার অধিকারি অন্তর্ভুক্ত করা । এবং নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী সদস্যগণ অর্থ দিয়ে থাকে সে বিষয়ে যখন তারা আই. এম. এফ-এর যোগদান করবে তার হিসাব নির্ধারণ করা ।
*নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী সমান অর্থ প্রতিটি আই. এম-এফ-এর সদস্যের দেওয়া প্রয়োজন । অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তুলনামূলক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে সদস্যদের নির্ধারিত অর্থ চাঁদা হিসাবে দিতে হয় । এই প্রদত্ত নির্ধারিত অর্থ ২৫%-এর বেশি হয় না এবং ইহা সংরক্ষিত জমা হিসাবে থাকে এবং এই অর্থ সদস্যের নিজস্ব মুদ্রায় দিতে হয় ।
*এই নির্ধারিত অর্থের পরিমাণ বৈদেশিক বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নির্ধারিত হয় । এবং সদস্য দেশ-এর থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে । এর নিয়ম নীতি বিষয়ে আই. এম. এফ তে ভোটদানের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে । সর্বাপেক্ষা বেশি অংশের সদস্য দেশগুলি হল প্রথম স্থানে ইউ. এস. এ, জাপান, জার্মানি, দ্বিতীয় স্থানে ও তৃতীয় স্থানে । ভারতের স্থান ত্রয়োদশতম (মোট অংশের শেয়ার হল ১.৯৬১%) ।
*সদস্য দেশগুলি স্বল্পকালীন ও মধ্যবর্তী-কালীন অসুবিধা দূর করার জন্য আই. এম. অর্থ সাহায্য করতে পারে । কিন্তু যদি তাদের শর্ত সীমার মধ্যে থাকে এবং অর্থ তোলার অধিকার থাকে ।
*সদস্য দেশগুলিকে অর্থ তোলা বা ঋণ গ্রহণ করার ক্ষমতা দান করা হয়েছে যে জমানো অর্থ তারা ব্যবহার করে, তাদের দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারে সঞ্চিত অর্থ লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতি মেটানোর জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে ।
বিশেষ অর্থ তোলার ক্ষমতা বা অধিকার
*বিশেষ অর্থ তোলার ক্ষমতা বা অধিকার হচ্ছে অতিরিক্ত সংরক্ষিত জমা বৈদেশিক মুদ্রা যা আই. এম. এফ-সীমা নিরূপণ করে ও গচ্ছিত রাখে ।
*নগদ অর্থ প্রদানে এটি করা হয় না । আই. এম. এফ সদস্য দেশগুলির কাছে অর্থ প্রদানের জন্য দাবি করে এবং তারা বিনিময় করতে পারে । তারা কেবল ইউরো কারেন্সি, জাপানিজ ইয়েন, পাউন্ড স্টালিং বা ইউ. এস. ডলার বিনিময় করতে পারে । এস. ডি. আর প্রকৃতপক্ষে আই. এম. এফ সদসু দেশের কাছে প্রচ্ছন্নভাবে দাবি করতে পারে সোনা ব্যতীত বিনিময় প্রথার সংরক্ষিত জমার উপর । যা ওই দেশগুলি স্বাভাবিক ভাবে গচ্ছিত রাখে ।
*পছন্দমতো বিনিময় মুদ্রার সংরক্ষিত জমা কমে গেল ১৯৬৯ সালে এটি গঠিত হয়; প্রধানত সোনা এবং এউ.এস. ডলার, প্রধান চারটি মুদ্রার গুরুত্ব অনুসারে এস. ডি. আর-এর সীমা নির্ধারিত হয়, এগুলি হল-ইউরো কারেন্সি, ইউ. এস. ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, এবং জাপানিজ ইয়েন ।
*আই. এম. এফ প্রাইভেট পার্টিগুলি যারা ভোগ বা ব্যবহার করে না তাদের দ্বারা এস. ডি. আর সি দেশগুলিকে বন্টন করে দেয় ।