logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের অর্থনীতি

ভারতের অর্থনীতি

ভূমিকা

ভারতের পরিকল্পনার ইতিহাস পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বেকারত্ব ভারতের দারিদ্র্য

সরকারি উদ্যোগ

সরকারি উদ্যোগ ভারতের বিভিন্ন উন্নয়ন ভারতের জাতীয় আয় কৃষি সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কর কাঠামো

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভাণ্ডার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংস্থা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ গ্রুপ 8(G-8) গ্রুপ 20(G-20) OECD BRICS ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন NAFTA APEC এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন BENELUX MERCOSUR উপসাগরি সহযোগিতা সংস্থা কেন্দ্রীয় আমেরিকা অখণ্ডতা পদ্ধতি

ভারতীয় অর্থনীতির বিবর্তন

আদমশুমারি-২০১১ ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ভারতীয় কর কাঠামো


বন্টন

  • কিছু কর পাপ্ত ক্ষমতানুসারে সংগৃহীত, ইহা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক আদায়কৃত এবং সংরক্ষিত। মূলধন, কর্পোরেশন কর, আমদানি-রপ্তানির উপর কর সমূহ ধরা হয় (কৃষিজমি ছাড়া) ।

  • কিছু কর কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ক্ষমতা অনুযায়ী সংগৃহীত ও আদায়কৃত হয় কিন্তু রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সেগুলি ভাগাভাগি হয় । কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকা অনুযায়ী এই কেন্দ্রীয় আবগারি কর ছাড়া ওষুধপত্র বিষয়ক ও প্রসাধন সামগ্রীর উপর কর ধরা হয় । কৃষিজমি আয় ছাড়া উত্তরাধিকারী কর, সম্পতিকর এই করের অন্তর্গত । বিজ্ঞাপন, ক্রয় বিক্রয়ের উপর কর, শেয়ার থেকে আদায়কৃত কর, রেলপথের মাধ্যমে মালপত্র এবং যাত্রীর ভাড়ার উপর কর ধার্য করা হয়।

  • কিছু কর কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক আরোপিত হয় কিন্তু রাজ্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং সংগৃহীত হয় । এই করগুলি হল দলিল পত্রাদিতে আরোপিত কর ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকা এবং ওষুধ পত্রাদি ও পসাধনী সামগ্রীর উপর আরোপিত কর।

  • জমি জমা সংক্রান্ত কর এবং দলিল পত্রাদির উপর আরোপিত কর-এর মালিকানা রাজ্যগুলির উপর থাকে।


করের পরিকাঠামো

(১) প্রত্যক্ষ কর

  • ব্যক্তিগত আয়, আইন দ্বারা গঠিত সমিতি কর, সম্পত্তি কর এবং সম্পদ করগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ।

  • ভারতে আয়কর উন্নত ধরনের অর্থাৎ করের হার একই রকমের নয় । কিন্তু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করও বাড়তে থাকে । দুই দশক ধরে করের হার ক্রমাগত হ্রাসের দিকে কারণ করদাতাদের উৎসাহ দান কালো টাকার বৃদ্ধি এড়ানোর জন্য।

(২) পরোক্ষ কর

  • পরোক্ষ করগুলি হ্ল-বিক্রয় কর, আবগারি কর এবং আমদানি রপ্তানির উপর আরোপিত কর।

  • ভারত সরকার কেন্দ্রীয় আবগারি কর থেকে সর্বাধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে।


কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক

  • ভারত কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্বের উৎস বন্টনের ব্যবস্থা সুগঠিত করেছে । আমাদের সংবিধান অবশিষ্ট ক্ষমতা সংগ্রহ করে । আইনের ২৬৮ এবং ২৯৩ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ব্যাখা করে।

  • যদিও কিছু কর রাজ্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয় যেগুলি আরোপ করে এবং সংগ্রহ করে এবং রাজ্যগুলি এই করসমূহে অংশ থাকে এবং কিছু কর আছা যেগুলি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ও আদায়ীকৃত কিন্তু সেগুলি রাজ্য সরকারগুলিকে হস্তান্তর করে।

  • সংবিধান অবশিষ্ট ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তুত করে দেয় । এর দ্বারা পরিষ্কার ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষমতা বিভাজন করে দেয়।

(A) সংবিধানের সপ্তম তপশিলের ১নং তালিকা দ্বারা তালিকাভুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকাঃ

  • (1) কৃষি আয় ছাড়া আয়ের কর সমূহ।

  • (2) কর্পোরেশন কর।

  • (3) আমদানি-রপ্তানি কর।

  • (4) মদের উপর ধার্য কর, নিদ্রাকারক ঔষধ কর যা ঔষধ সংক্রান্ত বা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহৃত হয় না।

  • (5) কৃষিজমি ছাড়া সম্পত্তি কর ও উত্তরাধিকারী সংক্রান্ত কর।

  • (6) ব্যাক্তিগত বা কোম্পানি কৃষিজমি ছাড়া মূলধনী সম্পদ কর।

  • (7) অর্থনীতি সংক্রান্ত দলিলপত্রের উপর রাজস্ব কর।

  • (8) ভবিষ্যৎ বাজার বা কোম্পানির কাগজ বিনিময় রাজস্ব কর ছাড়া।

  • (9) বিজ্ঞাপন ও সংবাদপত্র ক্রয় বিক্রয়ের উপর কর।

  • (10) রেলওয়ে মাল বহন ভাড়া ও যাত্রী ভাড়ার উপর কর।

  • (11) রেলওয়ে প্রান্তদেশ যত্রী ভাড়া, বিমান ভাড়া, জলপথের যাত্রী ভাড়ার উপর কর।

  • (12) আন্তঃরাজ্যের মধ্যে দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কর।

(B) রাজ্যগুলি এক্তিয়ারে থাকা সপ্তম তপশিলের দ্বিতীয় তালিকা

  • (1) ভূমি রাজস্ব ।

  • (2) সংবাদপত্র ছাড়া দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের উপর কর ।

  • (3) কৃষিখেত্র থেকে আয়ের উপর কর ।

  • (4) ভূমি ও পাকা বাড়ির উপর কর ।

  • (5) কৃজমির উপর উত্তরধিকারী বা সম্পত্তি কর ।

  • (6) মদ এবং নিদ্রাকারক দ্রব্যের উপর আবগারী কর ।

  • (7) স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করে এমন দ্রব্যসামগ্রীর উপর ধার্য কর ।

  • (8) বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ বিক্রির উপর কর ।

  • (9) খনিজ দ্রব্যের (পার্লিয়ামেন্ট দ্বারা কোনো নির্ধারিত আরোপিত) উপর কর ।

  • (10) যানবাহন, পশু এবং নৌকার উপর কর ।

  • (11) অর্থনৈতিক দলিলপত্র ছাড়া দলিলপত্রাদির উপর কর ।

  • (12) দ্রব্যসামগ্রীর এবং আন্তর্জাতিক জলপথ ভ্রমণের উপর কর ।

  • (13) আমোদপ্রমোদ, জুয়াখেলা প্রভৃতির উপর কর ।

  • (14) সড়ক শুল্ক ।

  • (15) পেশার উপর কর, ব্যাবসাবাণিজ্য ও চাকুরি কর ।

  • (16) মাথাপিছু গণনা কর ।

  • (17) সংবাদপত্র প্রদত্ত নিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপনের উপর কর ।

(C) সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার কর্তৃক সংগৃহীত কর ও লেভিছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার তালিকাভুক্ত, কিছু কর আংশিকভাবে বা পুরোপুরিভাবে রাজ্যসকারগুলির মধ্যে-বন্টন করা হয় । এগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে বন্দোবস্ত করা আছে ।

  • (1) যে করসমূহ কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ধার্য কিন্তু রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রযোজ্য এবং সংগৃহীত এগুলি হল লিখিত দলিলপত্রাদির উপর আরোপিত কর ও অষুধপত্রাদিতে । যেমন-মদ ও নিদ্রাকারক ওষুধপত্রাদিতে আরোপিত কর ।

  • (2) যে করসমূহ কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ধার্য ও সংগৃহীত হয় কিন্তু লোকসভা কর্তৃক নির্ধারিত ভাবে সেগুলি রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে বন্টিত হয় ।

এই করগুলি হল-
  • (a) উত্তরাধিকারী এবং সম্পত্তি কর।

  • (b) যাত্রী ও মালপত্র খালাস করার উপর কর।

  • (c) শেয়ার বাজারে লেনদেন ও ভবিষ্যৎ বাজারের উপর কর।

  • (d) বিজ্ঞাপন ও সংবাদপত্র কেনা-বেচার উপর কর।

  • (e) কেন্দ্রীয় আয়কর এবং আবগারী কর কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ধার্য ও সংগৃহীত হয় কিন্তু নিয়ম-নির্দিষ্ট ভাবে রাজ্য সরকারগুলি তার অংশ পেয়ে থাকে।

  • (f) কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ১৯৫৭ সাল থেকে রাজ্য সরকারের বিক্রয় করের পরিবর্তে ধার্য মিলে তৈরি বস্ত্রাদি, চিনি এবং তামাক-এর উপর কর সমূহ সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে বন্টিত হয়।


ফিনান্স্‌ কমিশন

  • কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ফিনান্স কমিশন অর্থনৈতিক সম্পর্ক নির্ধারিত করে । সংবিধানের ২৮০ ধারা অনুযায়ী রাষ্টপতি অপরিকল্পিত রাজস্বের উতসগুলির বিশেষ অধিকারের পুনরায় প্রাপ্তি বিষয়ে ফিনান্স কমিশন গঠন করেন । এই বিষয়গুলির বিষয়ে ফিনান্স কমিশনের কাজ হল রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ করা ।

ফিনান্স কমিশন স্থাপিত চেয়ারম্যান কার্যকরী স্থায়িত্বকাল রিপোর্ট দাখিলের বছর
(১) ১৯৫১ কে. সি. নিয়োগী ১৯৫২-৫৭ ১৯৫২
(২) ১৯৫৬ কে. সোনথানম্‌ ১৯৫৭-৬২ ১৯৫৬* এবং ১৯৫৭
(৩) ১৯৫০ এ. কে. চন্দ ১৯৬৭-৬৬ ১৯৬১
(৪) ১৯৬৪ পি. ভি. রাজামান্নার ১৯৬৬-৬৯ ১৯৬৫
(৫) ১৯৬৮ মহাবীর ত্যাগী ১৯৬৯-৭৪ ১৯৬৮* এবং ১৯৬৯
(৬) ১৯৭২ ব্রহ্নানন্দ রেড্ডি ১৯৭৪-৭৯ ১৯৭৩
(৭) ১৯৭৭ জে. এম. শিলেট ১৯৭৯-৮৪ ১৯৭৮
(৮) ১৯৮৩ ওয়াই. বি. চৌহান ১৯৮৪-৮৯ ১৯৮৩* এবং ১৯৮৪
(৯) ১৯৮৭ এন. কে. পি.। সালভে ১৯৮৯-৯৫ ১৯৮৯
(১০) ১৯৯২ কে. সি পন্থ ১৯৯৫-২০০০ নভেম্বর ২৬, ১৯১৪
(১১) ১৯৯৮ এ. এম. খুশরো ২০০০-২০০৫ জানুয়ারি ১৫, ২০০০, ৭ জুলাই ২০০০ এবং ৩১ আগস্ট ২০০০
(১২) ২০০৩ সি. রঙ্গরাজন ২০০৫-২০১০ ৩০ নভেম্বর ২০০৪
(১৩) ২০০৭ বিজয়. এল. কেলকার ২০১০-২০১৫ ২০০৯
(১৪) ২০১২ ড: ওয়াই. ভি. রেড্ডি ২০১৫-২০২০ ২০১৪

অন্তর্বর্তী রিপোর্ট

  • (১) মোট সংগৃহীত করের অংশ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে বন্টন করা হয় এবং এরকম করের অংশ রাজ্যগুলির মধ্যে বন্টন করা হয়।

  • (২) এই নীতি হল কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলি অনুদান হিসাবে দিয়ে থাকে।

  • (৩) অর্থনীতি সংক্রান্ত যে-কোনো বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক যুক্ত হয়।


ত্রয়োদশতম ফিনান্স্‌ কমিশনের সুপারিশঃ অগ্রগণ্য বিষয়

  • ৩০.৫% এর তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারের করের ৩২% রাজ্যগুলি বর্তমানে পায় ।

  • ২.৫% পর্যন্ত স্থানীয় সংগঠনকে অনুদান হিসাবে দেওয়া হয় ।

  • ৩৭.৫% তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারের মোটমাট রাজত্বের ৩৯.৫% রাজ্য সরকারগুলিকে বিলি করে দেওয়া হয় ।


রাজস্ব সম্বন্ধীয় সংশোধন

  • ২০০১-১৫ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব উদ্‌বৃত্ত হওয়ে উচিত।

  • কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ঋন ডি. ডি. পি-এর ৬৮% সীমিত রাখা উচিত যা বর্তমান ৮২% এ বর্তমান।

  • বড়ো রকম অর্থনৈতিক ধাক্কায় রাজ্যগুলিকে ঋণদানে শিথিলতা দানের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত একে উন্নত করা।

  • মধ্যবর্তীকালীন অর্থনৈতিক পরিকল্পনাতে প্রতিশ্রুতির কথা থাকা উচিত।


দ্রব্যসামগ্রী ও পরিসেবা কর সম্বন্ধে

  • দ্রব্যসামগ্রী ও পরিসেবা করের জন্য এক হার বজায় রাখা উচিত ।

  • পরিপূর্ণ ভাবে ভোগের উপর ভিত্তি করে কর এবং চুজ্ঞিকর জি. এস. টি গঠন করতে কোনো বিশেষ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত কর উচিত ।

  • কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার কর্তৃক পেট্রোল, ডিজেল, অ্যালকোহল, তামাক-এর উপর অতিরিক্ত কর ধার্য জি. এস. টি করতে পারে ।

  • সরকারি পরিসেবা অপ্রক্রিয়াকরণ খদ্যের উপর, স্বাস্থ্য বিষায়ক, শিক্ষা এবং শ্রমিক নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের ক্ষেত্রে লেনদেন রেহাই দেওয়া উচিত ।